২৪ আগস্ট ২০২৫, ১:০১ পিএম
কেশব মহারাজের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে উড়িয়ে মারলেন ট্রাভিস হেড। অল্পের জন্য সীমানা ছাড়া করতে পারলেন না। লং অফে সহজ ক্যাচ নিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। খুব কাছে গিয়েও দেড়শ ছুঁতে পারলেন না বাঁহাতি ওপেনার। তবে ফেরার আগে গড়লেন জুটির রেকর্ড।
ম্যাকাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ২৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন হেড ও মিচেল মার্শ। মহারাজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে হেডের বিদায়ে ভেঙেছে ২০৫ বলের এই রেকর্ডগড়া জুটি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের আফগানিস্তান সিরিজের সূচি চূড়ান্ত |
![]() |
ওয়ানডে ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো দলের উদ্বোধনী জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ। ২০০৩ সালের ইংল্যান্ডের বিক্রম সোলাংকি ও মার্কাস ট্রেসকোথিক মিলে গড়েছিলেন ঠিক ২০০ রানের জুটি। প্রায় ২২ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় এখন মার্শ ও হেড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চম আড়াইশ রানের জুটি। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে হেডের ২৮৪ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড। আগের চারটি আড়াইশ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই এক পাশে ছিলেন ওয়ার্নার।
অথচ এই ম্যাচের আগে ২৪ ইনিংস ধরে ওপেনিংয়ে কোনো শতরানের জুটি পায়নি অস্ট্রেলিয়া। সেই খরা ঘুচিয়ে নতুন রেকর্ডই গড়লেন মার্শ ও হেড।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই প্রথম টস জেতার পর ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে ঝড় তোলেন মার্শ ও হেড। স্বাভাবিকভাবেই বেশি আগ্রাসী ছিলেন হেড। মাত্র ৩২ বলে ফিফটি করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরে সেঞ্চুরি ছুঁতে তার লাগে ৮০ বল। ওয়ানডেতে ২৪ ইনিংস পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন
এক বছরের জন্য ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার গতিতারকা |
![]() |
ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিকে ১৪২ রান পর্যন্ত টেনে নেন হেড। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় সাজান ১০৩ বলের ইনিংস।
হেডের বিদায়ের পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শ। এরপর আর টিকতে পারেননি। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৬ বলে ১০০ রান করে আউট হন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৬৯ রান।
২৮ আগস্ট ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
২৮ আগস্ট ২০২৫, ৩:৩৩ পিএম
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের সময়সূচিতে বড় পরিবর্তন আনল ইউয়েফা। আগের আসরগুলোর চেয়ে তিন ঘণ্টা এগিয়ে আনা হলো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের সময়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগের আসরগুলোতে ফাইনাল ম্যাচ শুরু হতো সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান সময় রাত ৯টায়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সামনের আসরের ফাইনাল ম্যাচ শুরু হবে সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান সময় সন্ধ্যা ৬টায়। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, এটি রাত ১০টা।
হাঙ্গেরির রাজধানী, বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় ২০২৬ সালের ৩০ মে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন আসরের ফাইনাল ম্যাচ। ওই ম্যাচ থেকেই কার্যকর হবে ফাইনাল শুরুর নতুন সময়।
আরও পড়ুন
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারলে হারতেও পারি: লিটন |
![]() |
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই পরিবর্তনের কারণও জানিয়েছে ইউয়েফা।
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচের দিনটী সবার জন্য যেন সত্যিকারের উপভোগ্য হয়ে ওঠে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যারা মৌসুমের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাব ফুটবল ম্যাচে (স্টেডিয়ামে) উপস্থিত থাকতে চায়, সেইসব পরিবার ও শিশুদের জন্য এমন একটা আবহ তৈরি করতে চাই, যেন তাদের জন্য সবকিছু সহজ হয়ে ওঠে।”
সময় এগিয়ে আনা অবশ্য শুধু ফাইনাল ম্যাচের জন্য। বাকি ম্যাচগুলো আগের সময়ে হবে। ফাইনালের আগপর্যন্ত মঙ্গল ও বুধবার শুরুর দিকে বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ও শেষের ভাগে রাত ২টায় শুরু হয় খেলা।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর ৩টিতেই হেরে গেছে তারা। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডাচদের কাছে পরাজয় ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যর্থতা।
এবার প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলবে লিটন কুমার দাসের দল। এই ফরম্যাটে ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো, পাঁচ ম্যাচে জয় চারটিতে। তাই বলে নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নিতে চান না লিটন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, সামনের সিরিজে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারলে হারতেও পারেন তারা। তবে সব ম্যাচে জেতার জন্যই নামবেন তারা।
দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে লিটনের প্রশ্নোত্তর পর্ব দেখে নেওয়া একনজরে
পাওয়ার হিটিং নিয়ে দলের ভাবনা
লিটন: দেখেন, কেউ আসলে তো দুই-তিন দিনে পুরোপুরি বদলে দিতে পারবে না। তবে তার (জুলিয়ান উড) কিছু থট প্রসেস ছিল প্র্যাকটিসের, যেগুলো নতুন মনে হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা কাজ করেছি। দেখা যাক, বাদ বাকিটা এখন... এখনও তো ম্যাচ খেলিনি সে আসার পরে। আমাদের একটা ম্যাচও হয়নি। নেদারল্যান্ডসের সিরিজ দিয়েই দেখা যাবে যে বাংলাদেশ টিম এখান থেকে কতখানি ডেভেলপ করেছে।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কা দলে নতুন মুখ ভিশেন হালামবাগে |
![]() |
গত এক মাসের অনুশীলন ক্যাম্প সম্পর্কে
লিটন: এই জার্নিটা খুবই ভালো ছিল। পাকিস্তান সিরিজের সময়ও বলেছিলাম যে আমাদের একটা ব্রেক থাকবে এবং ফিটনেস অনেক বড় এখনকার ক্রিকেটে, যেটা আমরা করেছি। ফিটনেসের প্রতি ফোকাস ছিল আমাদের সবার।
ফিটনেসের পর আমরা আমাদের স্কিলেরও ডেভেলপ করার চেষ্টা করেছি। ওভারঅল আমি যদি দেখি আমাদের প্রিপারেশন ভেরি গুড। আপনি এত ভালো ফ্যাসিলিটি সহকারে প্রিপারেশন খুব কমই পাওয়া যায়। আমার মনে হয় বাংলাদেশ টিম লাস্ট যে ব্রেক ছিল, ব্রেকের পর থেকে খুব ভালো প্রিপারেশনে আছে।
নেদারল্যান্ডস সিরিজে এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ
লিটন: না! দেখেন যেকোনো ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচই আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। নেদারল্যান্ডও ভালো টিম। হয়তোবা তারা এই কন্ডিশনে খুব একটা খেলে না। তবে যদি ভালো উইকেটে ক্রিকেট হয়, তারা ভালো উইকেটে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। তাই দুই সাইডেই চ্যালেঞ্জ থাকবে... আর অবশ্যই যদি এশিয়া কাপের আগে আমাদের হাতে ওই সুযোগ থাকে কিছু ক্রিকেটার দেখার, আমরা দেখব। তবে এটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট। আপনাকে জেতার জন্যই যেতে হবে।
এই সিরিজ ভালো করলে এশিয়া কাপের রিয়েলিটি চেক
দেখেন, আপনি এশিয়া কাপে যখন খেলবেন, ভিন্ন দল থাকবে। সেই দল আমরা এখানে আনতে পারব না। তবে প্রায় একই কন্ডিশন থাকবে আমার মনে হয়। আমরা সবাই জানি আবুধাবি ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট হয়। সিলেটও অনেকটাই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট।
তো মিল যদি আমি দেখতে চাই, ওইদিক দিয়ে থাকবে। আর আপনি যে কথাটা বললেন যে ২০০-২৫০ রান করাটা, এটা একটা অভ্যাসেরও বিষয়। আমরা যদি করতে পারি খুবই ভালো। না করতে পারলেও আমরা ওই ধারাবাহিকতা চেষ্টা করব যে ওইখানে কীভাবে পৌঁছানো যায়।
আরও পড়ুন
ফাতেমা মুজিবকে ছাড়াই শুরু জুলাই রেভুলেশন চ্যাম্পিয়নশিপ |
![]() |
এশিয়া কাপের আগে এই সিরিজ হেরে গেলে সমালোচনার ঝড়ে পড়ার ঝুঁকি
লিটন: না, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে এমন কোনো দল নেই যে ছোট দল। তো আমরা... আমরা সবসময় খেলি জেতার জন্য এবং আগে বা ভবিষ্যতেও যতগুলো ম্যাচ খেলব সব জেতার জন্যই যাব।
বাংলাদেশ এর আগেও অনেক দলের কাছে হেরেছে, নতুন কিছু না। যদি হেরে যাই, হেরে যেতেই পারি। দুইটা দলই খেলতে এসেছে, একটা দল জিতবে, একটা দল হারবে। আমরা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারতেছি, এটা হচ্ছে মূল।
ফ্লাডলাইট নিয়ে কনসার্ন?
লিটন: ফ্লাডলাইট কেমন? না, কয়েকদিন প্র্যাকটিস করলাম ভালো। আরেকটু লাইট যদি বাড়ানো যায় তাহলে অবশ্যই আরও ভালো। তবে মিরপুরের চেয়ে এখানে ভালো।
ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কাজের ফল তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে নাকি আরও সময় প্রয়োজন?
লিটন: এক-দুই দিন বা সেশনে আপনি আসলে খুব একটা ডেভেলপ করতে পারবেন না। আমরা যারা ক্রিকেট এখানে খেলি, অলমোস্ট সাত-আট বছর ধরে হয়ে গেছে, কারো কারো ১০ বছর হয়ে গেছে। তো সবার একটা প্যাটার্ন তো থাকে। যে যার প্যাটার্নে ক্রিকেট খেলতেছে। তার ভেতরে চেষ্টা করতেছে যে ভিন্ন কিছু আনার জন্য। বাট এটা দেখা যাবে আপনার একটু সময় দিতে হবে। কোনো কিছু তো এক-দুইদিনে চেঞ্জ হয়ে যায় না। যদি একটু সময় কন্টিনিউ আমরা ওই ফোকাসে থাকতে পারি, হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে চেঞ্জ হবে।
আরও পড়ুন
চ্যালেঞ্জ লিগে সাবেক ইপিএল ফুটবলারের বিপক্ষে খেলতে হবে সাদ-তপুদের |
![]() |
পারভেজ ইমনের চোট, সৌম্য সরকার থাকতে পারতেন কিনা
লিটন: দল তো দিয়ে দিয়েছে, এটা আপনারাও জানেন। পারভেজ ইমনের বিষয়টা এখনও আমি নিশ্চিত নই। ম্যানেজমেন্ট বা ফিজিওর তরফ থেকে আমার কাছে কোনো ইনফরমেশন আসেনি। আর সৌম্য তো আমাদের ব্যাকআপ অপশনেই আছে। সো যদি কখনো প্লেয়ার ইনজুরড হয়, যে পজিশনের কথা বললেন, তাহলে অবশ্যই সে আসবে।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতিটা কীভাবে নিচ্ছেন?
লিটন: আগেও বললাম যে এখানকার কন্ডিশনের মতো ওখানেও হওয়ার চান্স আছে । তো কয়েকদিন ধরে প্র্যাকটিস করেছি। একটা ম্যাচও খেলেছি আমরা। আর আমরা জানি এখানকার কন্ডিশন কী হতে পারে এবং আমাদের প্লেয়াররাও সব জানে যে ওখানে কন্ডিশন কী হতে পারে। চেষ্টা করব কন্ডিশনটা কাজে লাগিয়ে যেন ম্যাচের রেজাল্ট বের করতে পারি।
নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসানের ব্যাপারে
লিটন: আমি তো খুব খুশি যে আমার দলে দুজন ক্রিকেটার যুক্ত হয়েছেন। এমন না যে, যারা এখান থেকে দলে নেই, তারা খারাপ প্লেয়ার। তারাও বাংলাদেশের জন্য অনেক... অনেক কিছু করেছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও আবারও তারা হয়তোবা আবার কামব্যাক করবে। সোহান এবং সাইফ লাস্ট বিগত অনেকগুলো বছর ধরেই তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। স্পেশালি সোহান ভাই তো অনেকদিন ধরেই মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলছে।
আরও পড়ুন
শেষ ম্যাচে শারমিন-স্বর্ণার ফিফটি |
![]() |
সাইফের যে জিনিসটা, সাইফের লাস্ট বিপিএল ও গ্লোবাল সুপার লিগ। আবার একটা গেম খেলে এলো অস্ট্রেলিয়াতে। তার যে খেলার যে প্যাটার্নটা ছিল, আমার কাছে মনে হয় আমাদের এমন একটা প্লেয়ার দরকার ছিল যে কিনা একটু অ্যাগ্রেসিভ মাইন্ডে ক্রিকেট খেলতে পারবে মিডল অর্ডারে এবং এক-দুই ওভার যার কাছ থেকে বোলিং পাওয়া যায়। ওই জন্যই কিন্তু সাইফকে নেওয়া।
চেষ্টা করব যে সাইফ তার যে ক্যালিবারটা আছে, যেটা সে ন্যাশনাল টিমের বাইরে যে গ্রেড ক্রিকেটগুলো ছিল ওখানে খেলেছে, সেগুলো এখানেও খেলার চেষ্টা করবে। যদি তারা সুযোগ পায়, আমি চেষ্টা করব... আমি চাইবো তারা যেন তাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
এক-দুই ম্যাচ পরে যে তারা বাদ পড়ে যাবে, জিনিসটা এমন না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, যেকোনো সময় আপনার অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলার জন্য আপনি আউট হয়েই যেতে পারেন। এটা টিম ম্যানেজমেন্ট বুঝব যে প্লেয়ারটা কী রকম খেলার চেষ্টা করছে। যদি বুঝি যে না, সে টিমের জন্য সবকিছু দিতে প্রস্তুত, অবশ্যই টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাক করবে।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আয়োজিত উইমেন'স চ্যালেঞ্জ লিগের শেষ ম্যাচেও হলো না বড় রান। তবে ব্যক্তিগতভাবে রানের দেখা পেলেন শারমিন সুলতানা ও স্বর্ণা আক্তার। দুজনই খেললেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে বিসিবি লাল দলকে ২ উইকেটে হারায় বিসিবি সবুজ দল। আগে ব্যাট করে ১৩ বল বাকি থাকতে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় শারমিনের লাল দল। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় স্বর্ণার লাল দল।
চার ম্যাচে এটিই লাল দলের একমাত্র জয়। সবুজ দলও জিতেছে একটি মাত্র ম্যাচ। টুর্নামেন্টের তৃতীয় দল ছিল ছেলেদের অনূর্ধ্-১৫ জাতীয় দল। তারা চার ম্যাচের সবকটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন
চ্যালেঞ্জ লিগে সাবেক ইপিএল ফুটবলারের বিপক্ষে খেলতে হবে সাদ-তপুদের |
![]() |
শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লাল দলকে একাই টেনে নেন শারমিন। তার উদ্বোধনী সঙ্গী ইশমা তানজিম ৩২ বলে ১৭ রান করে আউট হন।
এরপর হতাশ করেন সুমাইয়া আক্তার (৯), নিগার সুলতানা জ্যোতি (৯), রিতু মনি (৬), মিষ্টি রানি (৯), ফাহিমা খাতুনরা (০)। ফলে বেশি বড় হয়নি লাল দলের সংগ্রহ।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শারমিন। ১২১ বলে ৪ চারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চার ম্যাচে ১২৬ রান নিয়ে তিনিই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
সবুজ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্বর্ণা। ফারিহা তৃষ্ণার শিকার ২ উইকেট।
আরও পড়ুন
ফাতেমা মুজিবকে ছাড়াই শুরু জুলাই রেভুলেশন চ্যাম্পিয়নশিপ |
![]() |
রান তাড়ায়ও অগ্রণী ভূমিকা রাখেন স্বর্ণা। ৮ চারের সঙ্গে ১ ছক্কায় ৫৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ অলরাউন্ডার। শেষ দিকে আফিয়া আসিমা ইরা ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
এছাড়া সোবহানা মোস্তারি ১৪ ও ফারজানা হক পিঙ্কি ১৩ রান করেন।
লাল দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফাহিমা ও বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা।
উইমেন'স চ্যালেঞ্জ লিগ শেষে এখন সপ্তাহখানেকের বিশ্রামে থাকবেন নারী ক্রিকেটাররা। এরপর সিলেটে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবেন তারা।
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেলেন ভিশেন হালামবাগে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সামনের সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ২০ বছর বয়সী ব্যাটারকে নিলো শ্রীলঙ্কা।
গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সিরিজ থেকে মোট ৫টি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। হালামবাগের প্রথম সুযোগ পাওয়া সিরিজের দলে ফিরেছেন নুয়ানিদু ফার্নান্দো, কামিল মিশানা, দুশান হেমান্থ ও দুশমন্থ চামিরা।
তাদের সুযোগ করে দিতে জায়গা হারালেন আভিশকা ফার্নান্দো, দিনেশ চান্দিমাল, জেফ্রি ভ্যান্ডারসাই, ইশান মালিঙ্গা ও চোটে থাকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
সম্প্রতি এসএলসি টি-টোয়েন্টি লিগে আলো ছড়িয়েছেন হালামবাগে, নুয়ানিদু ও মিশারা। তাই তাদেরকে পুরস্কার দিলেন নির্বাচকরা।
আরও পড়ুন
সিরিজ জেতার পূর্ণ বিশ্বাস আছে: নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক |
![]() |
হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই মাঠে পরের দুই ম্যাচ ৬ ও ৭ তারিখ। এর আগে ২৯ ও ৩১ আগস্ট দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে দুই দল।
এরপর এশিয়া কাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যাবে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, নুয়ানিদু ফার্নান্দো, কামিন্দু মেন্ডিস, কামিল মিশারা, ভিশেন হালামবাগে, দাসুন শানাকা, দুনিথ ওয়েলালাগে, চামিকা করুনারত্নে, মাহিশ থিকশানা, দুশান হেমান্থ, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা, দুশমন্থ চামিরা, বিনুরা ফার্নান্দো।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে সেরা হয়ে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করার সুখস্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দলের। সেই সাফল্য থেকে পাওয়া বিশ্বাস কাজে লাগিয়ে এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিততে চান দলটির অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার বাংলাদেশে এসেছে নেদারল্যান্ডস। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরদিন প্রথম অনুশীলন করে তারা। অনুশীলনে নামার আগে এডওয়ার্ডস বলেন, সিরিজ জেতার পূর্ণ বিশ্বাস আছে তাদের।
“অবশ্যই আমাদের সিরিজ জেতার বিশ্বাস আছে। আমার মতে, আমরা সব সিরিজেই জেতার জন্য মাঠে নামি। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার আশাই করছি। আর আমরা যদি যথেষ্ট ভালো খেলতে পারি, তাহলে অবশ্যই সিরিজ জেতার ভালো সুযোগ আছে।”
আরও পড়ুন
রেকর্ড গড়ে তৃতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ |
![]() |
গত মাসে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে সেরা হয়ে আগামী বছর ভারতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস। যেখানে তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো জায়গা নিশ্চিত করে ইতালি।
ওই টুর্নামেন্টে চার ম্যাচের তিনটিতে জেতে ডাচরা। সেখানে ভালো করার বিশ্বাসই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রেরণা বললেন স্কট এডওয়ার্ডস।
“আমার মতে, বেশ কিছু দিন ধরেই পুরো দলের মধ্যে ইতিবাচক বিশ্বাস আছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে আমরা বেশ কিছু খুব চাপের ম্যাচ খেলেছি। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে যে আমরা নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারাতে পারি।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও সতর্ক নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
সমর্থকদের ‘সরি’ বললেন ইউনাইটেড কোচ |
![]() |
“আপনি যখন দেশের বাইরে খেলতে যাবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্বাগতিক দল তাদের মাঠ ও কন্ডিশন সম্পর্কে বেশি জানবে। তাই চ্যালেঞ্জটা মূলত দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার, উইকেট ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার। এটিই করতে হবে আমাদের।”
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় ৬টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি দুই ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর।
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে