নিউ জিল্যান্ড দলে চোটের মিছিল |
![]() |
ক্রেইগ এরভিন (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, জনাথন ক্যাম্পবেল, বেন কারান, ব্র্যাড ইভান্স, ট্রেভর গুয়ান্ডু, ওয়েসলি মাদেভেরে, ক্লাইভ মাদান্দে, আর্নেস্ট মাসুকু, টনি মুনিয়োঙ্গা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড নগারাভা, নিউম্যান নিয়ামহুরি, সিকান্দার রাজা, ব্রেন্ডন টেলর ও শন উইলিয়ামস।
১৭ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
হেমো! এ লোক আবার কে? খুব বেশি ভূমিকা করার দরকার নাই। টনি হেমিং, বিসিবির টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের প্রধান। তবে হেমো যে তার ডাকনাম তা কী জানতেন?
তার মুখেই শোনা, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান বলেই কিনা বললেন ডাক নামেই তাকে ডাকতে। এমনিতে আলাপে কিউরেটররা উইকেট বা ক্রিকেট নিয়ে খুব একটা আলাপ করতে চাইবেন না তাই স্বাভাবিক, হেমোও তাই।
খাবারদাবার বা অন্যান্য স্পোর্টস নিয়েই তার সাথে আলাপ যেখানে মূখ্য চরিত্রে! বাংলাদেশের অনেক কিছু তার পছন্দের হলেও ঝাল একদমই পছন্দ করতেন না। টটেনহাম ফ্যান, খেলাও দেখেন জানালেন। আমি রিয়াল মাদ্রিদ পছন্দ করি বলে অনেকটা অভিযোগের সুরেই জানিয়েছেন,
‘বড় সব টটেনহাম (লুকা মদ্রিচ, গ্যারেথ বেল) তারকাই রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে যায়!’
সাইক্লিং খুবই পছন্দের, ভিক্টোরিয়ার সাবেক পেশাদার সাইক্লিস্ট হিসেবেও নিজেকে দাবি করেন। এমনকি ঢাকায় কিছু করার নেই এমন দিনে আড়াই-তিন ঘন্টা সাইক্লিংও করেন।
আরও পড়ুন
১ উইকেট নিয়েই ইতিহাস, ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেটশিকারির মৃত্যু |
![]() |
নানা দায়িত্বে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়াকা, এমসিজি, দুবাই আইসিসির ক্রিকেট একাডেমিতে। কাজ করেছেন ফুটবলেও। তার মুখ থেকেই শোনা বার্সায় গিয়ে কোর্সও করেছিলেন।
বাংলাদেশে তার প্রিয় ক্রিকেটার কে? ঠিক খোলাসা না করলেও তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলামে মুগ্ধ এই অজি। এই ছেলে দুটো দারুণ বল করে, স্বীকারও করলেন সারল্যে!
এ এক অদ্ভুত ‘হেমো’, যে কিনা জীবনের ৪০টা বছর কেবল মাঠেই কাটিয়ে দিলেন, সারল্যে-পরিশ্রমে-আর ক্রিকেটের মায়ায়!
২৬ আগস্ট ২০২৫, ৫:৫০ পিএম
ইংল্যান্ড ও ল্যাঙ্কাশায়ারের সাবেক ফাস্ট বোলার কেন শাটলওয়ার্থ মারা গেছেন। ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম উইকেটশিকারিও তিনি।
১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে মেলবোর্নে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে জন স্নোর সঙ্গে নতুন বল হাতে নেন শাটলওয়ার্থ। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কিথ স্ট্যাকপোলকে আউট করে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম উইকেটশিকারি বনে যান তিনি। খেলেছেন ওয়ানড, উইকটেও পেয়েছেন একটি। যেটা জায়গা করে নিল ইতিহাসের পাতায়।
কয়েক সপ্তাহ পর নিউজিল্যান্ডে প্রথম লিস্ট-এ ম্যাচেও বল হাতে ইতিহাস গড়েন শাটলওয়ার্থ। ওয়েলিংটনের বিপক্ষে এমসিসির হয়ে প্রথম বলটি করেন এবং দুই ওপেনারকে আউট করেন, যদিও ম্যাচটি জেতে ওয়েলিংটন।
টেস্টে নজরকাড়া অভিষেক হয়েছিল শাটলওয়ার্থের। ১৯৭০ সালের অ্যাশেজে ব্রিসবেন টেস্টে অভিষেকেই নেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে ৫ টেস্ট নিয়েছেন ১২ উইকটে।
আরও পড়ুন
পূজারার চোখে সেরা ইনিংস, ভয়ংকর বোলার ও প্রতিপক্ষ |
![]() |
সেন্ট হেলেন্সে জন্ম নেওয়া শাটলওয়ার্থ ১৯৬৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগ দেন। ক্লাবটির হয়ে ৪৮৪ এবং লেস্টারশায়ারের হয়ে আরও ৯৯ উইকেট শিকার করেন তিনি। ১৯৬৮ সালে এসেক্সের বিপক্ষে ৭/৪১ ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের সাফল্যে বড় অবদান রাখেন শাটলওয়ার্থ। গিলেট কাপের টানা তিন আসর ১৯৭০, ১৯৭১ ও ১৯৭২ জয়ের পাশাপাশি দুটি সানডে লিগ শিরোপাও জেতেন তিনি। ১৯৭২ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন, উইকেটের তালিকায় ছিলেন গ্যারি সোবার্সও।
পরে লেস্টারশায়ারে খেলার পর ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে লিগ ক্রিকেট খেলেন শাটলওয়ার্থ। কিছুদিন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার পর ফার্স্ট ক্লাস আম্পায়ার হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ২০২১ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন শাটলওয়ার্থ। ৮০ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং মানে শুধু রান নয়; ধৈর্য, মনোবল ও মানসিক দৃঢ়তাও। এ সবকিছুর প্রতিচ্ছবি যেন ছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। এশিয়ার মন্থর, অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি থেকে ইংল্যান্ডের সবুজ উইকেট, সব কন্ডিশনেই ভারতের আস্থার প্রতীক। ১৫ বছরের ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে ১০৩ টেস্ট, ৭১৯৫ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন পূজারা। জানিয়েছেন, নিজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ও কঠিন প্রতিপক্ষের নামও।
এক সাক্ষাৎকারে পূজারা জানালেন নিজের স্মরণীয় ইনিংসের কথা। তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ইনিংস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৫ সালে কলম্বোতে করা অপরাজিত ২৮৯ বলে ১৪৫ রান। এই ইনিংসের কল্যাণে ভারত প্রথম ইনিংসে পেয়েছিল লিড, জেতে সিরিজও।
ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস প্রসঙ্গে পূজারা বলেন,
‘সেটি ছিল একটি অপরাজিত ইনিংস, আমাকে ওপেন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সিরিজ তখন ১-১-এ সমতায়, এবং পিচ খুবই কঠিন ছিল। প্রথম দুই টেস্ট আমি খেলিনি, তাই সেই ইনিংসটি আমার কাছে স্মরণীয়।'
তবে ২০১৮ সালের অ্যাডিলেড টেস্টে করা ১২৩ রানকেও রাখলেন ওপরের দিকে, কারণ সেটিই ছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের প্রথম সিরিজ জয়। এ ছাড়া ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুতে অজিদের বিপক্ষে ৯২ রানের ইনিংসে এবং ২০২১ সালের গ্যাবা টেস্টের ৫৬ রানকে ভোলার নয় বলে উল্লেখ করেন পূজারা। সাবেক ভারতীয় ব্যাটার বলেন,
'অস্ট্রেলিয়ার শক্ত প্রতিরোধ ঠেকাতে দীর্ঘ সময় ব্যাট করা জরুরি ছিল। একবার থিতু হয়ে গেলে আরও শট খেলতে ইচ্ছা হয়, তবে সেই পরিস্থিতিতে রান করা খুবই কঠিন। ভালোভাবে ডিফেন্স করলে টিকে থাকা সম্ভব।'
পূজারার চোখের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তারা সহজে কাউকে জিততে দেয় না এবং তাদের পেসারদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। পূজারা বলেন,
‘অস্ট্রেলিয়া সহজে জিততে দেয় না। এমনকি বিজয় খুব কাছে থাকলেও তারা রান তোলাকে কঠিন করে তোলে। অষ্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্ত থাকা এবং পুরোপুরি প্রস্তুত থাকা জরুরি।'
আরও পড়ুন
সুপার ওভার জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৫ দল |
![]() |
অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের আগে ভালো প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ বললেন পূজারা,
‘যদি ভালোভাবে প্রস্তুত না থাকেন, তারা কৌশল, ধৈর্য এমনকি স্লেজিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করবে। এ কারণেই আমি কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি।'
২০১৭ সালে রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫২৫ বলে ২০২ রান ও ৬৭২ মিনিট লড়াই করেছিলেন পূজারা। সেটিও ছিল দুর্দান্ত এক ইনিংস। দীর্ঘ ইনিংস খেলার রহস্য প্রসঙ্গে বলেন
'ছোটবেলা থেকেই দুর্বল দলের হয়ে খেলতে গিয়ে বুঝেছিলাম, কেবল শতক যথেষ্ট নয়, জিততে হলে প্রয়োজন বড় ইনিংসের। সেই মানসিকতাই শিখিয়েছে ধৈর্য ও অধ্যবসায়।'
কোন দেশে রান করা সবচেয়ে কঠিন- সহজেই বললেন ইংল্যান্ডের কথা, ‘সবুজ উইকেটে অ্যান্ডারসন-ব্রডের বিপক্ষে খেলাই ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বলেন তিনি।' কঠিনতম বোলারদের তালিকায় পূজারা রেখেছেন ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, জেমস অ্যান্ডারসন ও প্যাট কামিন্সকে।
বাজবল যুগে নিজেকে শেষ শাস্ত্রীয় ব্যাটার মনে করেন কি না পুজারা? বললেন,
'এই উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। এখনকার ক্রিকেটাররা হোয়াইট বল ফরম্যাট থেকে উঠে আসে, তাই তাদের স্বাভাবিক খেলা আক্রমণাত্মক। তবে পরিস্থিতি বুঝে রক্ষণাত্মক কৌশলও যোগ করছেন তারা। আমার খেলা ছিল ডিফেন্সের ওপর, এখনকার প্রজন্মের খেলা আক্রমণাত্মক, তবে দুটোই ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫, ৫:১৫ পিএম
রোমাঞ্চের ভেলায় ভেসে ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। নিজেদের ৬ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারল না বাংলাদেশ নারী সবুজ দল। সহজ লক্ষ্যে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দিলেন ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়ক বায়জিদ বোস্তামি। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল তারা।
উইমেন'স চ্যালেঞ্জ কাপে মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচে সবুজ দলকে সুপার ওভারে হারায় অনূর্ধ্ব-১৫ দল। টুর্নামেন্টে নিজেদের চার ম্যাচের সবকটি জিতেই শিরোপা উল্লাস করে তারা।
সামনের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য খেলা টুর্নামেন্টে এই ম্যাচেই অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে পেরেছে মেয়েদের দল। অল্পের জন্য ম্যাচটি জিততে পারেনি তারা। তবে দলীয় পারফরম্যান্সের ছাপ রেখেছে।
মূল ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে অনূর্ধ্ব-১৫ দল। এক পর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৫ রানেই থামে সবুজ দলের ইনিংস। পরে সুপার ওভারে আর পেরে ওঠেনি তারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অনূর্ধ্ব-১৫ দলের শুরুটা ছিল বেশ বাজে। মাত্র ৪০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান, নিশিতা আক্তার নিশিরা।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান আফ্রিদি তারিক ও আফজাল হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। ৮৩ বলে ৫০ রান করে আউট হন আফ্রিদি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১০৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন আফজাল। আর ২ চার ১৮ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন প্রণব মন্ডল।
আরও পড়ুন
ওমানের এশিয়া কাপ দলে চার নতুন মুখ |
![]() |
সবুজ দলের সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন ১৭ বছর বয়সী অফ স্পিনার নিশিতা।
রান তাড়ায় অল্পেই আউট হন অভিজ্ঞ ফারজানা হক পিংকি। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন শারমিন সুপ্তা ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। শারমিন ৫৬ বলে ৩৬ ও রুবাইয়া ৬০ বলে ৩৩ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন।
এরপর সোবহানা মোস্তারি ও তাজ নেহার দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় সবুজ দল। স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন নাহিদা আক্তার। ২৬ বলে ২১ রান করে আউট হন স্বর্ণা।
পরে ফারজানা ইয়াসমিন (৩৬ বলে ১৪) ও রাবেয়া খান (২০ বলে ১৩) ছোট ছোট দুটি ইনিংস দলকে আরও এগিয়ে দেন।
শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। প্রথম বলে ২ রান নিলেও পরের বল ডট খেলেন রাবেয়া। তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান তিনি। পরে ক্রিজে গিয়ে পঞ্চম বলে ২ রান নেন সুলতানা খাতুন। কিন্তু শেষ বলে স্টাম্পড আউট হওয়ায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
ব্যাট হাতে ফিফটির পর বোলিংয়ে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন আফ্রিদি। তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
নিজেদের অভিষেক এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওমান। ১৭ সদস্যের দল রয়েছে চার নতুনমুখ। দলের নেতৃত্ব দেবেন ৩৬ বছর বয়সী যতিন্দর সিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এশিয়ার মহাদেশীয় লড়াইয়ে প্রথমবার খেলবে তারা।
ওমান দলের চমক- চার ক্রিকেটারের এখনো টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়নি। দলে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পেয়েছেন সুফিয়ান ইউসুফ, জিকরিয়া ইসলাম, ফয়সাল শাহ ও নাদিম খান। শুধু কুড়ি ওভার নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই তাঁদের অভিষেক হয়নি।
এশিয়া কাপে ওমান পড়েছে কঠিন গ্রুপে। তাদের সঙ্গে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন
রুট একদিন বড় খেলোয়াড় হবেন, অভিষেকেই বুঝেছিলেন শচীন |
![]() |
ওমানের প্রধান কোচ দুলিপ মেন্ডিস মনে করেন, বড় টুর্নামেন্টে শুধু দক্ষতা নয়, মানসিক দৃঢ়তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া আমাদের জন্য বড় সুযোগ। ভারত–পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেলা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। টি-টোয়েন্টি এমন সংস্করণ, যেখানে এক ওভারেই ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে।’
ভালো প্রস্তুতিও হয়েছে ওমানের। মেন্ডিস বললেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড়েরা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ পেয়েছে, আর অনুশীলনও হয়েছে যথেষ্ট মনোযোগী ও কঠিন। দক্ষতার পাশাপাশি চাপের ম্যাচে মানসিক শক্তিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এশিয়া কাপে ভালো কিছু করতে পারব এবং বিশ্বমঞ্চে ওমানকে ক্রমবর্ধমান ক্রিকেট শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে পারব।’
১২ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওমান নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে। ১৫ সেপ্টেম্বর আবুধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে দ্বিতীয় ম্যাচ। একই মাঠে ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষে ম্যাচে লড়বেন যতিন্দররা।
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওমান কখনো টি-টোয়েন্টি খেলেনি। আমিরাতের সঙ্গে ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৪টিতে।
ওমানের এশিয়া কাপ দল:
যতিন্দর সিং (অধিনায়ক), হাম্মাদ মির্জা, বিনায়ক শুক্লা, সুফিয়ান ইউসুফ, আশিষ ওদেদারা, আমির কালিম, মোহাম্মদ নাদিম, সুফিয়ান মাহমুদ, আরিয়ান বিশ্বাস, করন সোনাভালে, জিকরিয়া ইসলাম, হাসনাইন আলি শাহ, ফয়সাল শাহ, মুহাম্মদ ইমরান, নাদিম খান, শাকিল আহমদ, সময় শ্রীবাস্তব।