এশিয়া কাপের জন্য গতকাল দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৬ জনের দলে জায়গা হয়নি নাঈম শেখের। তাঁকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করতে না পারায় দলে সুযোগ হয়নি নাঈমের।
আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নাঈমের বাদ পড়া প্রসঙ্গে লিপু বলেন,
‘কাউকে দল থেকে বাদ দেওয়ার আগে অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়। তিনি সামর্থ্যের কতটুকু করতে পারলেন বা তাঁকে যতটুকু সুযোগ দেওয়া হলো, সে সুযোগটুকু যথেষ্ট কি না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে নাঈম শেখ কঠোর পরিশ্রম করেছে, তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন, আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু তিনি নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেননি। সেটা তাঁর জন্য এবং দলের জন্য ভালো হতো। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি।’
শ্রীলঙ্কার পর নিজেদের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন নাঈম। ছন্দ খুঁজে পেতে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাঠানো হয়। সেখানে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ৬ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৯৩ রান। ভালো না করায় বাদ দিতে এক রকম বাধ্য হন নির্বাচকেরা।
সে প্রসঙ্গ টেনে লিপু বলেন,
‘আরেকটু লোয়ার চ্যালেঞ্জে টপ এন্ড ক্রিকেটে সেখানেও তিনি ঠিক ভালো করতে পারলেন না। আমার বিশ্বাস নাঈম শেখ এখন জানে তাঁকে এই জায়গাটা পুনরুদ্ধার করতে হলে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জে সফল হতে হলে তাঁকে আরও উন্নতি করতে হবে। উন্নতি করতে হলে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কিংবা কোচিং প্যানেলের পক্ষ থেকে যা যা সহায়তা করা দরকার, আমরা সেটা অব্যাহত রাখব।’
২৮ আগস্ট ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
২৮ আগস্ট ২০২৫, ৩:৩৩ পিএম
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর ৩টিতেই হেরে গেছে তারা। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডাচদের কাছে পরাজয় ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যর্থতা।
এবার প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলবে লিটন কুমার দাসের দল। এই ফরম্যাটে ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো, পাঁচ ম্যাচে জয় চারটিতে। তাই বলে নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নিতে চান না লিটন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, সামনের সিরিজে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারলে হারতেও পারেন তারা। তবে সব ম্যাচে জেতার জন্যই নামবেন তারা।
দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে লিটনের প্রশ্নোত্তর পর্ব দেখে নেওয়া একনজরে
পাওয়ার হিটিং নিয়ে দলের ভাবনা
লিটন: দেখেন, কেউ আসলে তো দুই-তিন দিনে পুরোপুরি বদলে দিতে পারবে না। তবে তার (জুলিয়ান উড) কিছু থট প্রসেস ছিল প্র্যাকটিসের, যেগুলো নতুন মনে হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা কাজ করেছি। দেখা যাক, বাদ বাকিটা এখন... এখনও তো ম্যাচ খেলিনি সে আসার পরে। আমাদের একটা ম্যাচও হয়নি। নেদারল্যান্ডসের সিরিজ দিয়েই দেখা যাবে যে বাংলাদেশ টিম এখান থেকে কতখানি ডেভেলপ করেছে।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কা দলে নতুন মুখ ভিশেন হালামবাগে |
![]() |
গত এক মাসের অনুশীলন ক্যাম্প সম্পর্কে
লিটন: এই জার্নিটা খুবই ভালো ছিল। পাকিস্তান সিরিজের সময়ও বলেছিলাম যে আমাদের একটা ব্রেক থাকবে এবং ফিটনেস অনেক বড় এখনকার ক্রিকেটে, যেটা আমরা করেছি। ফিটনেসের প্রতি ফোকাস ছিল আমাদের সবার।
ফিটনেসের পর আমরা আমাদের স্কিলেরও ডেভেলপ করার চেষ্টা করেছি। ওভারঅল আমি যদি দেখি আমাদের প্রিপারেশন ভেরি গুড। আপনি এত ভালো ফ্যাসিলিটি সহকারে প্রিপারেশন খুব কমই পাওয়া যায়। আমার মনে হয় বাংলাদেশ টিম লাস্ট যে ব্রেক ছিল, ব্রেকের পর থেকে খুব ভালো প্রিপারেশনে আছে।
নেদারল্যান্ডস সিরিজে এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ
লিটন: না! দেখেন যেকোনো ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচই আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। নেদারল্যান্ডও ভালো টিম। হয়তোবা তারা এই কন্ডিশনে খুব একটা খেলে না। তবে যদি ভালো উইকেটে ক্রিকেট হয়, তারা ভালো উইকেটে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। তাই দুই সাইডেই চ্যালেঞ্জ থাকবে... আর অবশ্যই যদি এশিয়া কাপের আগে আমাদের হাতে ওই সুযোগ থাকে কিছু ক্রিকেটার দেখার, আমরা দেখব। তবে এটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট। আপনাকে জেতার জন্যই যেতে হবে।
এই সিরিজ ভালো করলে এশিয়া কাপের রিয়েলিটি চেক
দেখেন, আপনি এশিয়া কাপে যখন খেলবেন, ভিন্ন দল থাকবে। সেই দল আমরা এখানে আনতে পারব না। তবে প্রায় একই কন্ডিশন থাকবে আমার মনে হয়। আমরা সবাই জানি আবুধাবি ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট হয়। সিলেটও অনেকটাই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট।
তো মিল যদি আমি দেখতে চাই, ওইদিক দিয়ে থাকবে। আর আপনি যে কথাটা বললেন যে ২০০-২৫০ রান করাটা, এটা একটা অভ্যাসেরও বিষয়। আমরা যদি করতে পারি খুবই ভালো। না করতে পারলেও আমরা ওই ধারাবাহিকতা চেষ্টা করব যে ওইখানে কীভাবে পৌঁছানো যায়।
আরও পড়ুন
ফাতেমা মুজিবকে ছাড়াই শুরু জুলাই রেভুলেশন চ্যাম্পিয়নশিপ |
![]() |
এশিয়া কাপের আগে এই সিরিজ হেরে গেলে সমালোচনার ঝড়ে পড়ার ঝুঁকি
লিটন: না, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে এমন কোনো দল নেই যে ছোট দল। তো আমরা... আমরা সবসময় খেলি জেতার জন্য এবং আগে বা ভবিষ্যতেও যতগুলো ম্যাচ খেলব সব জেতার জন্যই যাব।
বাংলাদেশ এর আগেও অনেক দলের কাছে হেরেছে, নতুন কিছু না। যদি হেরে যাই, হেরে যেতেই পারি। দুইটা দলই খেলতে এসেছে, একটা দল জিতবে, একটা দল হারবে। আমরা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারতেছি, এটা হচ্ছে মূল।
ফ্লাডলাইট নিয়ে কনসার্ন?
লিটন: ফ্লাডলাইট কেমন? না, কয়েকদিন প্র্যাকটিস করলাম ভালো। আরেকটু লাইট যদি বাড়ানো যায় তাহলে অবশ্যই আরও ভালো। তবে মিরপুরের চেয়ে এখানে ভালো।
ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কাজের ফল তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে নাকি আরও সময় প্রয়োজন?
লিটন: এক-দুই দিন বা সেশনে আপনি আসলে খুব একটা ডেভেলপ করতে পারবেন না। আমরা যারা ক্রিকেট এখানে খেলি, অলমোস্ট সাত-আট বছর ধরে হয়ে গেছে, কারো কারো ১০ বছর হয়ে গেছে। তো সবার একটা প্যাটার্ন তো থাকে। যে যার প্যাটার্নে ক্রিকেট খেলতেছে। তার ভেতরে চেষ্টা করতেছে যে ভিন্ন কিছু আনার জন্য। বাট এটা দেখা যাবে আপনার একটু সময় দিতে হবে। কোনো কিছু তো এক-দুইদিনে চেঞ্জ হয়ে যায় না। যদি একটু সময় কন্টিনিউ আমরা ওই ফোকাসে থাকতে পারি, হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে চেঞ্জ হবে।
আরও পড়ুন
চ্যালেঞ্জ লিগে সাবেক ইপিএল ফুটবলারের বিপক্ষে খেলতে হবে সাদ-তপুদের |
![]() |
পারভেজ ইমনের চোট, সৌম্য সরকার থাকতে পারতেন কিনা
লিটন: দল তো দিয়ে দিয়েছে, এটা আপনারাও জানেন। পারভেজ ইমনের বিষয়টা এখনও আমি নিশ্চিত নই। ম্যানেজমেন্ট বা ফিজিওর তরফ থেকে আমার কাছে কোনো ইনফরমেশন আসেনি। আর সৌম্য তো আমাদের ব্যাকআপ অপশনেই আছে। সো যদি কখনো প্লেয়ার ইনজুরড হয়, যে পজিশনের কথা বললেন, তাহলে অবশ্যই সে আসবে।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতিটা কীভাবে নিচ্ছেন?
লিটন: আগেও বললাম যে এখানকার কন্ডিশনের মতো ওখানেও হওয়ার চান্স আছে । তো কয়েকদিন ধরে প্র্যাকটিস করেছি। একটা ম্যাচও খেলেছি আমরা। আর আমরা জানি এখানকার কন্ডিশন কী হতে পারে এবং আমাদের প্লেয়াররাও সব জানে যে ওখানে কন্ডিশন কী হতে পারে। চেষ্টা করব কন্ডিশনটা কাজে লাগিয়ে যেন ম্যাচের রেজাল্ট বের করতে পারি।
নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসানের ব্যাপারে
লিটন: আমি তো খুব খুশি যে আমার দলে দুজন ক্রিকেটার যুক্ত হয়েছেন। এমন না যে, যারা এখান থেকে দলে নেই, তারা খারাপ প্লেয়ার। তারাও বাংলাদেশের জন্য অনেক... অনেক কিছু করেছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও আবারও তারা হয়তোবা আবার কামব্যাক করবে। সোহান এবং সাইফ লাস্ট বিগত অনেকগুলো বছর ধরেই তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। স্পেশালি সোহান ভাই তো অনেকদিন ধরেই মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলছে।
আরও পড়ুন
শেষ ম্যাচে শারমিন-স্বর্ণার ফিফটি |
![]() |
সাইফের যে জিনিসটা, সাইফের লাস্ট বিপিএল ও গ্লোবাল সুপার লিগ। আবার একটা গেম খেলে এলো অস্ট্রেলিয়াতে। তার যে খেলার যে প্যাটার্নটা ছিল, আমার কাছে মনে হয় আমাদের এমন একটা প্লেয়ার দরকার ছিল যে কিনা একটু অ্যাগ্রেসিভ মাইন্ডে ক্রিকেট খেলতে পারবে মিডল অর্ডারে এবং এক-দুই ওভার যার কাছ থেকে বোলিং পাওয়া যায়। ওই জন্যই কিন্তু সাইফকে নেওয়া।
চেষ্টা করব যে সাইফ তার যে ক্যালিবারটা আছে, যেটা সে ন্যাশনাল টিমের বাইরে যে গ্রেড ক্রিকেটগুলো ছিল ওখানে খেলেছে, সেগুলো এখানেও খেলার চেষ্টা করবে। যদি তারা সুযোগ পায়, আমি চেষ্টা করব... আমি চাইবো তারা যেন তাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
এক-দুই ম্যাচ পরে যে তারা বাদ পড়ে যাবে, জিনিসটা এমন না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, যেকোনো সময় আপনার অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলার জন্য আপনি আউট হয়েই যেতে পারেন। এটা টিম ম্যানেজমেন্ট বুঝব যে প্লেয়ারটা কী রকম খেলার চেষ্টা করছে। যদি বুঝি যে না, সে টিমের জন্য সবকিছু দিতে প্রস্তুত, অবশ্যই টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাক করবে।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আয়োজিত উইমেন'স চ্যালেঞ্জ লিগের শেষ ম্যাচেও হলো না বড় রান। তবে ব্যক্তিগতভাবে রানের দেখা পেলেন শারমিন সুলতানা ও স্বর্ণা আক্তার। দুজনই খেললেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে বিসিবি লাল দলকে ২ উইকেটে হারায় বিসিবি সবুজ দল। আগে ব্যাট করে ১৩ বল বাকি থাকতে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় শারমিনের লাল দল। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় স্বর্ণার লাল দল।
চার ম্যাচে এটিই লাল দলের একমাত্র জয়। সবুজ দলও জিতেছে একটি মাত্র ম্যাচ। টুর্নামেন্টের তৃতীয় দল ছিল ছেলেদের অনূর্ধ্-১৫ জাতীয় দল। তারা চার ম্যাচের সবকটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন
চ্যালেঞ্জ লিগে সাবেক ইপিএল ফুটবলারের বিপক্ষে খেলতে হবে সাদ-তপুদের |
![]() |
শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লাল দলকে একাই টেনে নেন শারমিন। তার উদ্বোধনী সঙ্গী ইশমা তানজিম ৩২ বলে ১৭ রান করে আউট হন।
এরপর হতাশ করেন সুমাইয়া আক্তার (৯), নিগার সুলতানা জ্যোতি (৯), রিতু মনি (৬), মিষ্টি রানি (৯), ফাহিমা খাতুনরা (০)। ফলে বেশি বড় হয়নি লাল দলের সংগ্রহ।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শারমিন। ১২১ বলে ৪ চারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চার ম্যাচে ১২৬ রান নিয়ে তিনিই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
সবুজ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্বর্ণা। ফারিহা তৃষ্ণার শিকার ২ উইকেট।
আরও পড়ুন
ফাতেমা মুজিবকে ছাড়াই শুরু জুলাই রেভুলেশন চ্যাম্পিয়নশিপ |
![]() |
রান তাড়ায়ও অগ্রণী ভূমিকা রাখেন স্বর্ণা। ৮ চারের সঙ্গে ১ ছক্কায় ৫৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ অলরাউন্ডার। শেষ দিকে আফিয়া আসিমা ইরা ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
এছাড়া সোবহানা মোস্তারি ১৪ ও ফারজানা হক পিঙ্কি ১৩ রান করেন।
লাল দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফাহিমা ও বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা।
উইমেন'স চ্যালেঞ্জ লিগ শেষে এখন সপ্তাহখানেকের বিশ্রামে থাকবেন নারী ক্রিকেটাররা। এরপর সিলেটে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবেন তারা।
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেলেন ভিশেন হালামবাগে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সামনের সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ২০ বছর বয়সী ব্যাটারকে নিলো শ্রীলঙ্কা।
গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সিরিজ থেকে মোট ৫টি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। হালামবাগের প্রথম সুযোগ পাওয়া সিরিজের দলে ফিরেছেন নুয়ানিদু ফার্নান্দো, কামিল মিশানা, দুশান হেমান্থ ও দুশমন্থ চামিরা।
তাদের সুযোগ করে দিতে জায়গা হারালেন আভিশকা ফার্নান্দো, দিনেশ চান্দিমাল, জেফ্রি ভ্যান্ডারসাই, ইশান মালিঙ্গা ও চোটে থাকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
সম্প্রতি এসএলসি টি-টোয়েন্টি লিগে আলো ছড়িয়েছেন হালামবাগে, নুয়ানিদু ও মিশারা। তাই তাদেরকে পুরস্কার দিলেন নির্বাচকরা।
আরও পড়ুন
সিরিজ জেতার পূর্ণ বিশ্বাস আছে: নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক |
![]() |
হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই মাঠে পরের দুই ম্যাচ ৬ ও ৭ তারিখ। এর আগে ২৯ ও ৩১ আগস্ট দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে দুই দল।
এরপর এশিয়া কাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যাবে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, নুয়ানিদু ফার্নান্দো, কামিন্দু মেন্ডিস, কামিল মিশারা, ভিশেন হালামবাগে, দাসুন শানাকা, দুনিথ ওয়েলালাগে, চামিকা করুনারত্নে, মাহিশ থিকশানা, দুশান হেমান্থ, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা, দুশমন্থ চামিরা, বিনুরা ফার্নান্দো।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে সেরা হয়ে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করার সুখস্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দলের। সেই সাফল্য থেকে পাওয়া বিশ্বাস কাজে লাগিয়ে এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিততে চান দলটির অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার বাংলাদেশে এসেছে নেদারল্যান্ডস। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরদিন প্রথম অনুশীলন করে তারা। অনুশীলনে নামার আগে এডওয়ার্ডস বলেন, সিরিজ জেতার পূর্ণ বিশ্বাস আছে তাদের।
“অবশ্যই আমাদের সিরিজ জেতার বিশ্বাস আছে। আমার মতে, আমরা সব সিরিজেই জেতার জন্য মাঠে নামি। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার আশাই করছি। আর আমরা যদি যথেষ্ট ভালো খেলতে পারি, তাহলে অবশ্যই সিরিজ জেতার ভালো সুযোগ আছে।”
আরও পড়ুন
রেকর্ড গড়ে তৃতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ |
![]() |
গত মাসে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে সেরা হয়ে আগামী বছর ভারতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস। যেখানে তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো জায়গা নিশ্চিত করে ইতালি।
ওই টুর্নামেন্টে চার ম্যাচের তিনটিতে জেতে ডাচরা। সেখানে ভালো করার বিশ্বাসই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রেরণা বললেন স্কট এডওয়ার্ডস।
“আমার মতে, বেশ কিছু দিন ধরেই পুরো দলের মধ্যে ইতিবাচক বিশ্বাস আছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে আমরা বেশ কিছু খুব চাপের ম্যাচ খেলেছি। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে যে আমরা নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারাতে পারি।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও সতর্ক নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
সমর্থকদের ‘সরি’ বললেন ইউনাইটেড কোচ |
![]() |
“আপনি যখন দেশের বাইরে খেলতে যাবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্বাগতিক দল তাদের মাঠ ও কন্ডিশন সম্পর্কে বেশি জানবে। তাই চ্যালেঞ্জটা মূলত দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার, উইকেট ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার। এটিই করতে হবে আমাদের।”
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় ৬টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি দুই ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর।
অস্ট্রেলিয়া সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের শুরুটা একদম ভালো হলো না বাংলাদেশ 'এ' দলের। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম দিন মাত্র ১১৪ রানে গুটিয়ে গেছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের নেতৃত্বাধীন দল।
জবাবে প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে ফেলেছে স্বাগতিক দল। অর্থাৎ এরই মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ 'এ' দল।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি তরুণ ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি। জাতীয় দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় মাত্র ১৩ রান করে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ।
এরপর অমিত হাসান (২), মাহিদুল অঙ্কন (৯) ও ইয়াসির আলি রাব্বিও (১) অল্পেই আউট হয়ে যান। চার নম্বরে নেমে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন শাহাদাত হোসেন দিপু। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ চারে ৪৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি।
একপর্যায়ে মাত্র ৬৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন রকিবুল হাসান ও এনামুল হক। রকিবুল ২২ রান করে আউট হন আর দলের সর্বোচ্চ ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ১১ নম্বরে নামা এনামুল।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ওয়েস অ্যাগার, হেনরি থর্নটন ও জার্সি ওয়াদিয়া।
পরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইতিবাচক শুরু করেন বাংলাদেশ 'এ' দলের বোলাররা। পঞ্চাশের আগে স্বাগতিক দলের ৪ ব্যাটসম্যানকে আউট করে দেন তারা।
সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন জেইক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ও জেসন সাঙ্ঘা। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৯৬ রানের জুটি। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ বলে ৫২ রান করা ম্যাকগার্ককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান।
দিনের বাকি অংশে আর উইকেট পড়তে দেননি সাঙ্ঘা ও হ্যারি নিয়েলসেন। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তাদের সংগ্রহ ৬১ রান।
সাঙ্ঘা ১০৮ বলে ৮৩ ও নিয়েলসেন ৫২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন মুশফিক হাসান, হাসান মাহমুদ, নাঈম হাসান, হাসান মুরাদ ও এনামুল।
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে