আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
এমনটা কমই দেখা যায়। হুট করেই একই দিনে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন প্রথমে বাবর আজম ও পরে টিম
সাউদি। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ
এই পেসার।
৩৮ বছর বয়সী সাউদির
স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটার টম লাথাম। চলতি মাসে ভারত সফর দিয়ে অধিনায়ক
হিসেবে কাজ শুরু হবে তার।
সাউদি ২০২২ সালে কেন
উইলিয়ামসনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে অধিনায়কত্ব
করেছেন। ছয়টি জয়, ছয়টি হারের সাথে রয়েছে দুটি ড্র। সবশেষ শ্রীলঙ্কা কাছে ধবলধোলাই
হয়েছে কিউইরা।
শ্রীলঙ্কা থেকে আসার
পর অকল্যান্ড বিমানবন্দরে নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি জানান টেস্টে ৩৭৮ উইকেট শিকারী সাউদি।
“হ্যাঁ। কোচ গ্যারি স্টেডের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যেমনটা আমরা প্রতিটি সিরিজের শেষে করি। সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমারই ছিল আমার এবং এই দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই টমের সময়।”
বল হাতে দলের সবচেয়ে
অভিজ্ঞ পেসার সাউদির নিজের ফর্মও এই বছর স্পটলাইটে ছিল। তিনি তার শেষ আট টেস্টে মাত্র
১২টি উইকেট নিয়েছেন। অধিনায়ক না থাকায় এখন দেখার বিষয় হবে যে, আসছে ভারত সিরিজে তিনি
দলে জায়গা ধরে রাখতে পারেন না।
লাথাম এর আগে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে
৯ বার টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। ভারতে তিন টেস্টের সফরের জন্য নিউজিল্যান্ডের
১৫ সদস্যের স্কোয়াড এই সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে।
২১ এপ্রিল ২০২৫, ৪:৫৮ পিএম
পাকিস্তান জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন বেশ আগেই। তবে জেসন গিলেস্পির সেই অধ্যায়টা খুব একটা সুখকর হয়নি। কারণ, সাবেক অস্ট্রেলিয়া পেসারের দাবি, তাকে পাওনা অর্থ এখনও বুঝিয়ে দেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এই অভিযোগে বিরক্ত তারা। পিসিবির উল্টো অভিযোগ, পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন গিলেস্পি।
২০২৪ সালের এপ্রিলে দুই বছরের চুক্তিতে যথাক্রমে গিলেস্পিকে লাল বলের এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কার্স্টেনকে সাদা বলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। তবে, পাকিস্তান দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নানা নাটকীয়তায় ছয় মাসের মধ্যে দুজনকেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
চাকরি ছাড়ার পর থেকে গিলেস্পি প্রায়ই পিসিবির কার্যক্রম এবং পরিচালনা পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। সাবেক এই পেসার সম্প্রতি দাবি করেন, এখনও পিসিবির কাছ থেকে পারিশ্রমিকের কিছু পাওয়ার অপেক্ষা করছেন তিনি এবং এই ব্যাপারে তাকে কিছুই বলা হচ্ছে না।
তবে পিসিবি গিলেস্পির এই দাবি অস্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে।
“পিসিবির মুখপাত্র বলেছেন যে, আমাদের সাবেক প্রধান কোচ চার মাসের নোটিশ দেওয়ার সময়সীমা না মেনে হঠাৎ করে তার পদ ছেড়ে দিয়েছেন, যা আমাদের সাথে তার চুক্তির শর্তাবলীর স্পষ্ট লঙ্ঘন। তার সাথে চুক্তিতে স্পষ্টভাবে দুই পক্ষের জন্য প্রযোজ্য একটি নোটিশ দেওয়ার সময়কালও উল্লেখ করা হয়েছে এবং কোচ এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পিসিবির বিরুদ্ধে পাওনা টাকা না দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ আনেন গিলেস্পি।
“ঘটনার ভেতরে না গিয়ে বলতে চাই, আমি এখনও পিসিবিতে কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে কিছু পারিশ্রমিকের জন্য অপেক্ষা করছি। তাই তাদের বলতে চাই, যথাসময়ে এটা নিয়ে আলোচনা করুন। তবে এটা বলতেই হবে যে, ব্যাপারটা কিছুটা হতাশাজনক ছিল। তবে আশা করি শীঘ্রই এটার একটা সমাধান করা হবে।”
ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর প্রথম দিনে বোলাররাও ছিলেন অনুজ্জ্বল। তবে দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ালেন তারা। দারুণ এক স্পেলে ফাইফারে তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় ভালো একটা লিড পেয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। শাদমান ইসলাম দ্রুত ফিরলেও চাপ সামলে শেষ বিকেলে বাংলাদেশকে মোটামুটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রাখলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক।
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৫৭ রান, এখনও পিছিয়ে ২৫ রানে। বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে করে ২৭৩ রান।
বিনা উইকেটে ৬৭ রানে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়েকে সকালের প্রথম ঘণ্টায় চাপে ফেলেন নাহিদ রানা। গতিময় এই পেসার প্রথমে স্লিপে ক্যাচ বানান বেন কুরানকে (১৮ রান)। খানিক বাদে ফিফটি করা ব্রিয়ান বেন্নেটকেও শিকার বানান তিনি।
আরও পড়ুন
ভোট না দিতে পাপন ভাই এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন : পাইলট |
![]() |
অন্যপ্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া হাসান মাহমুদও করছিলেন সুন্দর বোলিং। প্রতিদানও পেয়ে যান। ক্লিন বোল্ড করেন নিক ওয়েলচকে। ৮৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
ক্রেইগ ইরভানকে নিয়ে সিন উইলিয়ামস কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা চালান। তবে জুটি বড় হতে দেননি নাহিদ। ফিরতি স্পেলে এসে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ইরভানকে।
চাপের মুখে জিম্বাবুয়ের লিড নেওয়ার পেছনে অবদান রেখে উইলিয়াম উপহার দেন দারুণ এক ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগে খেলেন ১০৮ বলে ৫৯ রানের নক।
এরপর মিরাজের জোড়া শিকারে এক পর্যায়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২২৩। তবে প্রতিপক্ষকে অল্পে বেঁধে ফেলার কাজটা আর করতে পারেননি বোলাররা। ২৮ রানে অপরাজিত থাকা রিচার্ড এনগারভা অন্য বোলারদের নিয়ে দলের রান পার করেন ২৭০।
সেটাও বাড়তে পারত আরও, যদি না জ্বলে উঠতেন মিরাজ। ৮ মাস আর ৬ টেস্ট পর আবারও লাল বলের ক্রিকেটে ৫ উইকেট পান এই ডানহাতি স্পিনার। ৫২ রানে তার নামের পাশে ৫ উইকেট।
আরও পড়ুন
কানাডার টি-১০ লিগে নিবন্ধিত হলেন মিরাজ-তানজিদ |
![]() |
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আরও একবার হতাশ করেন শাদমান। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে আউট হওয়ার আগে করতে পারেন মাত্র চার রান।
তবে সেই ধাক্কা দ্রুতই বাংলাদেশ কাটিয়ে ওঠে জয় ও মুমিনলের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে। প্রতিপক্ষের বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করে রান তুলে নেন দ্রুততার সাথে। ৬ বাউন্ডারিতে ২৮ রান করেছেন জয়। আর ৩ চারের মারে ১৫ রান মুমিনুলের।
বিসিবির সবশেষ পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ থেকে নির্বাচন করে হেরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। যে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পেছনে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছিল বিসিবির তৎকালীন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের - টি-স্পোর্টসের শামীম চৌধুরীকে দেয়া সাক্ষাতকারে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
টি-স্পোর্টস : সাবেক ক্রিকেটারদের জন্য ক্যাটাগরি-থ্রি থাকতে বিসিবির সর্বশেষ নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ থেকে আপনি নির্বাচন করেছেন?
পাইলট : ইচ্ছা ছিল, ক্রিকেট যখন খেলেছি, রিটায়ার করার পর ক্রিকেটিং নলেজ কাজে লাগাবো। তাই রাজশাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছি। রাজশাহী বিভাগকে আমি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নিতে চেয়েছি। রাজশাহী বিভাগের ক্রিকেটকে একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করার প্লান ছিল। যেনো রাজশাহী বিভাগের ক্রিকেট কর্মকান্ড দেখে অন্য বিভাগগুলো দৌড়ায়, তাদের কাজ বেড়ে যায়।
টি-স্পোর্টস : বিসিবির নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তো আপনি একটা শিক্ষা পেয়েছেন নিশ্চয়ই?
পাইলট : রাজশাহী বিভাগ থেকে আমাকে বিসিবির কাউন্সিলরশিপ দেওয়া হয়। এই বিভাগে বিসিবির একটি পরিচালক কোটার বিপরীতে ভোট ৯টি। ১টি বিভাগ থেকে, অন্য ৮টি জেলা থেকে। আমি ২টি ভোট পেয়েছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বপন ভাই পেয়েছেন ৭টি ভোট। কিন্তু নির্বাচনে দেখলাম আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী টাকা পয়সা বিনিয়োগ করেছেন। নির্বাচনে টাকা-পয়সা যখন বিনিয়োগ করবো, তখন তো বোর্ডে যেয়ে টাকা ইনকাম করতে হবে। বিসিবির গঠণতন্ত্র এতোটাই দুর্বল যে এমনভাবে করা হয়েছে যে কেউ টাকা খরচ করে নির্বাচন করে এখানে জিতে যাবে। ক্রিকেটিং নলেজের দরকার নেই এখানে।
টি-স্পোর্টস : শোনা গেছে, জেলা-বিভাগের কাউন্সিলররা একজোট হয়ে আপনাকে হারিয়ে দিয়েছে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পেছনে আরও কি কারণ আছে?
পাইলট : নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে টের পেলাম, আমি পাস করতে পারবো না। বেশ ক'জন কাউন্সিলর আমাকে বলেছেন, আপনি উপর মহলের সঙ্গে কথা বলেন। ডিসিরাও বলেছেন, আমাদের খুব ইচ্ছা আপনি যেনো জয়ী হন। কিন্তু জানতে পারলাম বিসিবি সভাপতি পাপন ভাই ডিসিদের বলেছেন, আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী যেনো পাস করেন। ডিসিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, তৎকালীন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুরের ছেলে, উনি ডিসিদেরকে ফোন দিয়ে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। ইমরুল কায়েসের বাড়ি মেহেরপুরে। ওর সঙ্গে কথা বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পিএস-কে ফোন দিয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করলাম। উনি আমাকে খুব সম্মান করেছেন। উনি আমার কথা শুনে বললেন-' আমার দুর্ভাগ্য যে আপনার জন্য কিছুই করতে পারছি না। আমার সিনিয়র রাজণীতিবিদের কথা শুনতে পালন করতে হচ্ছে।' পাপন সাহেবের বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান ওনার উকিল বাবা, সেই দায়িত্ববোধ থেকে উনি পাপন সাহেবের নির্দেশ পালন করেছেন, তা বুঝতে পারলাম। উনি পরিষ্কার করে বললেন-' পাপন সাহেব যদি বলেন, তাহলে ডিসিদের সেই নির্দেশ না দিয়ে কী উপায় আছে ? আপনি বরং পাপন ভাইকে ঠিক করেন। বাকিটা আমি ঠিক করে দিব।'
টি-স্পোর্টস : বিসিবি সভাপতি নিজেই তাহলে নির্বাচনে হার-জিত নির্ধারণ করে দিয়েছেন?
পাইলট : মন্ত্রানালয় থেকে বেরিয়ে এসে পাপন ভাই-কে ফোন দিলাম। উনি বললেন-' আমি বেক্সিমকোতে আছি, তুমি চলে এসো। ওনার সঙ্গে প্রায় দেড়-দুই ঘন্টা কথা হলো। উনি বললেন-' বিসিবির পরিচালক হতে চাও, এ কথা যদি তুমি আগে বলতে তাহলে তোমাকে ক্লাব থেকে ব্যবস্থা করে দিতাম।' আমি বললাম আমি কেনো আপনাকে তিন মাস আগে বলবো। আমি সিম্পল ওয়েতে নির্বাচনে যাবো। আমার কথা শুনে উনি বললেন-' স্বপন সাহেব আমাকে দিয়ে সব ম্যানেজ করেছেন। তখন বুঝলাম আগে থেকে সব কিছু ম্যানেজ হয়েছে। তারপরও আমি বললাম, আপনি যদি ডিসিদের নিরপেক্ষ থাকতে বলেন, তাহলে খুশি হবো।
টি-স্পোর্টস : যখন জানতে পারলেন, নির্বাচনে আপনি জিততে পারবেন না, তখন কেনো প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেন না ?
পাইলট : অনেকের সঙ্গে এসব বিষয় শেয়ার করলে তারা আমাকে বলেছেন-' আপনি জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার, অধিনায়ক। তাই মান-সম্মানের ব্যাপার। আপনি বরং নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। আমি তাদেরকে বলেছি-একজন ব্যবসায়ীর কাছে এভাবে হার মেনে নেয়া যায় না। যার জন্য নির্বাচন করেছি। মাথা উঁচু করে হাসতে হাসতে হেরেছি। নির্বাচনে আমি হেরে যাওয়ার পর মানুষজন বলেছেন-যার ক্রিকেট নলেজ নেই, তার কাছে একজন সাবেক অধিনায়ক হেরে গেলো। ভোটারদেরও বিবেক বলে কিছু নেই।
টি-স্পোর্টস : বিসিবি সভাপতির ফেভার নিয়ে যিনি পরিচালক পদে নির্বাচিত হলেন, রাজশাহী বিভাগের ক্রিকেটে ওনার ভুমিকা কেমন ?
পাইলট : রাজশাহী বিভাগের কথা বাদ দেন, যে জায়গা থেকে উনি কাউন্সিলরশিপ পেয়ে নির্বাচনে জিতেছেন, সেই পাবনা জেলায় গত ১০ বছর ধরে ক্রিকেট লিগ হয় না। তাও আবার উনি বিসিবির পরিচালক থাকা অবস্থায়।
টি-স্পোর্টস : টাকা-পয়সা এবং প্রশাসনের কাছে আপনি হেরেছেন ? তামিমও তো বিসিবিতে আসতে চাইছেন। তাকেও কী এমন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে না?
পাইলট : বিসিবির বর্তমান গঠনতন্ত্রটা সেভাবে করা হয়নি। যে কেউ টাকা খরচ করে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবে। তামিমের মতো ক্রিকেটারও যদি চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বিসিবি কোটায় পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে আসতে চায়, তা পারবে না। টাকা-পয়সা খরচ করা ছাড়া সম্ভব নয়। অথচ ভাবুন তো। তামিম যদি ভারত কিংবা নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে, তাহলে ব্যাপারটা বিসিবির জন্য কতোটা ভাল হবে। সাকিব যদি খুলনা বিভাগ থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে চায়, তার বেলায়ও এমনটাই হবে। সাকিব-তামিম তো চুরি করার জন্য আসবে না। আমার প্রশ্ন, কেনো এমন হবে?
দলে অনিয়মিত হওয়ার জেরে এক বছর আগে জায়গা হারিয়েছিলেন ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বার্ষিক চুক্তিতে। তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় ফিরেছেন দুই ব্যাটারই।
সোমবার বিসিসিআই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা। সেখানে এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে জায়গা হয়েছে চারজনের। তারা হলেন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জাসপ্রিত বুমরাহ এবং রবীন্দ্র জাদেজা। তাদের মধ্যে বুমরাহ বাদে বাকি তিনজনই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন।
আরও পড়ুন
তদন্তের মাঝেই টেকনিক্যাল কমিটির কনভেনর মনি'র পদত্যাগ! |
![]() |
অনুমিতভাবেই গত বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন বাদ পড়েছেন, যিনি গেল বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।
ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের অন্যতম সদস্য আইয়ার আইয়ার গ্রেড বি-তে আছে। সেখানে তার সঙ্গী হিসেবে আছেন কুলদীপ যাদব, আকসার প্যাটেল, ইয়াশাশভি জয়সওয়াল এবং ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার ইয়াদাভ।
অনেকটা সময় ধরেই ভারতের জাতীয় দলের বাইরে থাকা কিষান ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালে। তার জায়গা হয়েছে গ্রেড সি-তে।
আরেক কিপার-ব্যাটার রিশাভ পান্ত গ্রেড বি থেকে গ্রেড এ-তে উন্নতি করেছেন। এই ক্যাটাগরিতে আরও আছেন মোহাম্মদ সিরাজ, লোকেশ রাহুল, শুবমান গিল, হার্দিক পান্ডিয়া এবং মোহাম্মদ শামি।
আরও পড়ুন
মিরাজের ফাইফারের পর বাংলাদেশের ফাইটব্যাক |
![]() |
চুক্তির তালিকায় নতুন মুখ নিতিশ কুমার রেড্ডি, ধ্রুব জুরেল, অভিষেক শর্মা, সরফরাজ খান, আকাশ দীপ, বরুণ চক্রবর্তী এবং হার্ষিত রানা আছেন গ্রেড সি-তে।
গত গ্রেড সি-তে থাকা শার্দুল ঠাকুর, কেএস ভারত, আভেশ খান এবং জিতেশ শর্মারা এবারের কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
প্রথমবারের মত হতে যাওয়া কানাডা সুপার ৬০ টি-টেন লিগে অংশ নেওয়ার জন্য নিলামের জন্য তুমুল সাড়া মিলেছে। ছেলেদের ও মেয়েদের লিগ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেনা বেশ কিছু নাম রয়েছে সেখানে। বাংলাদেশ থেকে নাম দিয়েছেন দুজন, অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ও ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম - এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
সাবেক ভারত ক্রিকেটার যুবরাজ সিং এই টুর্নামেন্টের প্রচারণার কাজ করছেন। এখানে খেলার জন্য ছেলেদের ও মেয়েদের লিগ মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১৩০০ জনেরও বেশি খেলোয়াড়। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের কেউ নেই এই তালিকায়।
সব মিলিয়ে নাম দিয়েছেন ৩৪টি দেশের ক্রিকেটার। ছেলেদের মধ্যে আছেন ১ হাজার ১৩৫ জন, আর নারী লিগের জন্য ২৩৫ জন। মোট আট দল অংশ নেবে টুর্নামেন্টে।
মিরাজ, তানজিদ ছাড়াও সাবেক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বেশ কয়েকজন বড় নাম আছেন নিবন্ধিত খেলোয়াড়দের তালিকায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফিন অ্যালেন, সিকান্দার রাজা, নাসিম শাহ, অ্যালেক্স হেলস, শামার জোসেফ, জেসন রয়, কেশব মহারাজ, টিম সেইফার্ট, টিম সাউদি, জিমি নিশাম, আজম খান, লুঙ্গি এনগিডি, রাইলি রুসো, ক্রিস লিন, জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে ফ্লেচার, কাইল মেয়ার্স, তাবরাইজ শামসি, মার্টিন গাপটিল, দাভিদ মালানরা।
নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন ম্যাডি গ্রিন, ফ্রান জোনাস, রোজমেরি মেয়ার, ইডেন কারসন, তাজমিন ব্রিটস, অ্যামি স্মিথ, লরেন উইনফিল্ড-হিল, জেস জোনাসেন, শবনম ইসমাইল, ফাতিমা সানা।
টুর্নামেন্টের আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিলামের খসড়ার তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ছেলেদের ও মেয়েদের টুর্নামেন্ট দুটিই আগামী জুলাইয়ে শুরুর কথা রয়েছে।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
৩০ দিন আগে