৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪৪ পিএম

বড় শট যে খেলতে পারেন, বয়সভিত্তিক দল থেকেই সেটা সাইফ হাসান দেখিয়ে আসছেন। তবে গ্লোবাল সুপার লিগের পর চলতি বিপিএলে নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন রংপুর রাইডার্স ব্যাটার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ফিফটি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আশা জেগেছিল সেঞ্চুরিরও। সেটা না হওয়ায় অবশ্য হতাশা নেই সাইফের। বরং তার চাওয়া আরও ভালো করার।
গ্লোবাল সুপার লিগে কয়েকটি ভালো ইনিংস খেলা সাইফ বিপিএলে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দেখা পান আসরে নিজের প্রথম ফিফটির। তবে সিলেটের বিপক্ষে ছাড়িয়ে যান সাম্প্রতিক সব ইনিংসকেই। চার-ছয়ের মিশেলে উপহার দেন ৮০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস, যা রংপুরকে ২০৫ রান তাড়ায় ৮ উইকেটে জয় পেতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
আরও পড়ুন
| হেলস ১১৩, সাইফ ৮০, রংপুরের চারে চার |
|
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাইফ বলেছেন, প্রক্রিয়া মেনেই পাচ্ছেন সাফল্য। “আমার মনে হয় ফ্লোতেই খেলেছি। যে বলটা পেয়েছি, সেটার মেরিট অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি আমরা। তাই যখন যেমন বল ছিল, সেই অনুযায়ী খেলার চেষ্টাটা ছিল। তেমন বিশেষ কিছু ছিল না যেমন এখন আমি মারব, পরে তুমি মারবা। তবে, বলের মেধা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি।”
সাইফ যখন আউট হন, তখন তিনি ও অ্যালেক্স হেলস দুজনই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। ইংলিশ ব্যাটার শতক তুলতে পারলেও ২০ রান দূরেই থামতে হয় সাইফকে। অমন দারুণ ব্যাটিংয়ের পর একটা সেঞ্চুরির আক্ষেপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তবে সাইফ এগিয়ে রাখছেন দলের জন্য তার অবদানকেই। “সেঞ্চুরি মিসে কোনো আক্ষেপ নেই৷ দল জিতেছে, এটাই বড় কথা। এমনই খেলার চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুন
| সিলেটেও জয়ের ধারায় রংপুর? তাসকিন-বিজয়দের ছন্দ ধরে রাখার লড়াই |
|
এই বিপিএলে সাইফকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ছন্দে। শটের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনই আগের চেয়ে তার মধ্যে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার পরিণতবোধও চোখে পড়ার মত। হেলসের সাথে ১৮৬ রানের জুটিতে আক্রমণ করেছেন নিজে কখনও, আবার মাঝে মাঝে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দিয়েছেন সেই সুযোগ।
এই উন্নতিতে জাতীয় দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের অবদান দেখছেন সাইফ। “অবশ্যই প্ল্যান ছিল, আমি সালাহউদ্দিন স্যারের সাথে অনেকদিন কাজ করেছি৷ স্যার আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছেন। সাথে টিম ম্যানেজমেন্টও। আমার মনে হয় ভালো হচ্ছে, তবে আরও ভালো করতে হবে।”
No posts available.
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৭:২৮ পিএম
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৬:২১ পিএম
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৫:০০ পিএম

জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ রান। স্ট্রাইকে সাব্বির রহমান। নাহিদুল ইসলামের বলে ওয়াইড লং দিয়ে উড়িয়ে মারলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। এক দিন বাকি থাকতেই জিতে গেল রাজশাহী বিভাগ। অন্য ম্যাচে সেঞ্চুরির জন্য ৭ রানের অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিম।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনাকে ৭ উইকেটে হারায় রাজশাহী। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৯ রানের লক্ষ্য তারা ২৩.৫ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে।
দুই ম্যাচে এটিই রাজশাহীর প্রথম জয়। প্রথম রাউন্ডে জেতা খুলনা এবার পেল পরাজয়ের তেতো স্বাদ।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। শাকির হোসেন শুভ্রর ৮৯ রানের ভর করে ২৬৮ রানে থামে রাজশাহী। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা অলআউট হয় ২৫৫ রানে। খুলনার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৯ রানের।
প্রথম ইনিংসে ৫ রানে ৩ ও পরেরবার ৩৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া এসএম মেহেরব হাসান জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ২৬ রান করেন তরুণ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ঢাকার চেয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে সিলেট। ঢাকার ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬০ রান।
বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৭০ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত মুশফিক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯তম সেঞ্চুরির আশায় মঙ্গলবার ব্যাট করতে নামবেন তিনি।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম ও বরিশাল ম্যাচে সোমবার খেলা হয় মাত্র ১৫ ওভার। চট্টগ্রামের ৩৫৮ রানের জবাবে বরিশালের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬৬ রান।
কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সোমবার একটি বলও হয়নি। ময়মনসিংহের ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানের জবাবে রংপুরের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮ রান।

আইসিসি লিগ টু-এর ম্যাচে রীতিমতো লজ্জার রেকর্ড গড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ে আজ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছিল আলিশান শরাফুরা। যেখানে অতিথিদের ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৯ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বনিম্ন দলীয় রান। এর আগে ২০২৩ সালে নেপালের বিপক্ষে তারা ৭১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরের রেকর্ড জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের, যারা ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল।
দুবাইয়ে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েন সাইতেজা মুক্কামল্লা ও মিলিন্দ কুমার। সেঞ্চুরি তুলে নেন দুই ব্যাটারই; গড়েন অপরাজিত ২৬৪ রানের জুটি।
সাইতেজা ১৪৯ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা। মিলিন্দ ১২৫ বলে অপরাজিত ১২৩ রান করেন, তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও একটি ছক্কা।
দুই ব্যাটারের বীরত্বে যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় স্কোর গিয়ে ঠেকে ২৯২ রানে। যদিও এদিন ২৮ রানের মধ্যেই তিনটি উইকেট হারিয়েছিল অতিথিরা। ব্যক্তিগত ৫ রানে আউট হন স্মিথ প্যাটেল, ২ রানে শায়ান জাহাঙ্গীর, আর মোনাক প্যাটেল করেন ১৫ রান।
জবাব দিতে নেমে ১৬ রানে ৭ উইকেট হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০ রান আসে জুনাইদ সিদ্দিকীর ব্যাট থেকে। দুই অঙ্কের রান করতে সক্ষম হন একমাত্র এই ডানহাতি পেসার। তিনজন ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে, আর দুইজন করেন মাত্র ১ রান করে। সবমিলিয়ে ৪৯ রানে থেমে যায় আমিরাতের ইনিংস।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন রুশিল উগারকার। সৌরভ নেত্রভালকরের দখলে ছিল আরও ৩টি উইকেট।

প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরেও পরের দুই ম্যাচে দারুণ জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাল থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যার সৌজন্যে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে।
ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই হবে ফয়সালাবাদে। ২০০৮ সালের পর প্রথমবার এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সিরিজে দুটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সীমান্ত উত্তেজনার কারণে সূচি বদলে যায়।
ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতি হয়েছিল ২০০৮ সালের ১১ এপ্রিল, সেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত ১৬টি ওয়ানডে হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বিশ্বকাপ ম্যাচ রয়েছে—একটি ১৯৮৭ বিশ্বকাপে এবং তিনটি ১৯৯৬ বিশ্বকাপে।
পাকিস্তান এই মাঠে ১২ ওয়ানডে খেলেছে, যার মধ্যে ৯টি জয় এবং ৩টি হার। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এখানে ৫টি ওডিআই খেলেছে, যার মধ্যে ২টি জয় এবং ৩টি হার। দুই দলের মধ্যে মোট ৮৭টি ওডিআই ম্যাচ হয়েছে, পাকিস্তান ৩৪টি জিতেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৫২টি জিতেছে। পাকিস্তানে, ১৬টি ম্যাচে দুই দল সমানভাবে ৮টি করে জিতেছে।
ফয়সালাবাদে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ওয়ানডে খেলেছে। পাকিস্তান দুটি ম্যাচে জিতেছে (১৯৯৪ ও ২০০৭ সালে), দক্ষিণ আফ্রিকা একবার জিতেছে (২০০৩ সালে)।
ফয়সালাবাদে ক্রিকেট ফেরার দিনে ওয়ানডে নেতৃত্বে অভিষেক হবে শাহিন শাহ আফ্রিদির। ইকবাল স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলনৈ শেষে এই বাঁহাতি পেসার বললেন, ‘১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে আসায় খুব রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো খেলেছে দল, সেই ধারাবাহিকতা আমরা ওয়ানডেতেও চালিয়ে যেতে চাই।’
ওয়ানডে সিরিজের সূচি
নভেম্বর ৪ – প্রথম ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৬ – দ্বিতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৮ – তৃতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাওয়া চোটে প্রায় ৩ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেলেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকেও প্রায় ২ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি অবশ্য এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যেতে চান না। যথাযথ পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর টি স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, সোহান ও শরিফুলকে আপাতত ১০ দিনের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
“সোহান, শরিফুলের ক্ষেত্রে একই আপডেট। দুজনকেই সামনের ১০ দিন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই সময়ে তাদের ফিজিওথেরাপি চলতে থাকবে। ১০ দিন পর আমার তাদের অবস্থা পর্যালোচনা করব। পরে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যাবে।”
তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ডান পায়ের গোড়ালি মচকে যাওয়া সোহান প্রায় ৩ সপ্তাহ খেলাধুলা সম্পর্কিত কিছু করতে পারবেন না। যার ফলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুর দিকে হয়তো পাওয়া যাবে না অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটারকে।
আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে শরিফুলকে ২ সপ্তাহ খেলাধুলা থেকে দূরে থাকতে হবে। আগামী ২১ নভেম্বরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে তরুণ বাঁহাতি পেসারের।
চট্টগ্রামে গত শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারে হঠাৎ গোড়ালিতে চেপে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন সোহান। তৎক্ষনাৎ দৌড়ে আসেন ফিজিও। পরে প্রাথমিক শুশ্রূষা নিয়েও অবস্থার উন্নতি না ঘটায় স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে।
এছাড়াও ম্যাচ চলাকালে হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্বস্তির কথা জানান শরিফুল। ম্যাচে ২ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি তাকে।

দারুণ ছন্দে আছেন মার্নাস লাবুশেন। আসন্ন অ্যাশেজে রানের বন্যা বইয়ে দিতেই যেন প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। এই গ্রীষ্মে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে সাত ম্যাচে পাঁচ সেঞ্চুরি করেছেন লাবুশেন।
সবশেষ আজ লাবুশেনের ব্যাটে ভর করেই ওয়ান-ডে কাপে নিউ সাউথ ওয়েলসকে ৯৬ রানে হারিয়েছে কুইন্সল্যান্ড। সোমবার সিডনির ক্রিকেট সেন্ট্রালে লাবুশেন ১১১ বলে ১০১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ব্যাটে ভর করে কুইন্সল্যান্ড তোলে ৯ উইকেটে ২৮৭ রান, জবাবে নিউ সাউথ ওয়েলস গুটিয়ে যায় ১৯১ রানেই।
অ্যাশেজের অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে লাবুশেনের ফেরাটা অনেকটাই নিশ্চিত। সম্প্রতি টপ-অর্ডারের এই ব্যাটার মাঠে নেমেই রান উৎসবে মেসে উঠছেন । বছরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও এখন আবারও দুর্দান্ত সেই লাবুশেনকেই দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজের প্রস্তুতি নিতে টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে হেড |
|
আগের মতোই নিখুঁত কাভার ড্রাইভ, সুইপ শট কিংবা দারুনভাবে লেগ-স্টাম্পের বাইরের বল পা সরিয়ে খেলছেন লাবুশেন। আজ লেগ স্পিনার তানভির সাঙ্গাকে দারুণ সুইপ তিনটি চার মারেন।
ওয়ানডেতে সংস্করণে আজ তৃতীয় সেঞ্চুরর দেখা পান লাবুশেন। অবশ্য অস্ট্রেলিয়া দলের ওয়ানডেতে থেকে বাইরে আছেন তিনি। লিস ‘এ’ ক্রিকেটে এই তিন শতকের সঙ্গে শেফিল্ড শিল্ডেও কুইন্সল্যান্ডের হয়ে দু’বার তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন লাবুশেন। এর সবক’টিই তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে।
সব সংস্করণ মিলিয়ে সবশেষ সাত ম্যাচে আট ইনিংসে লাবুশেন করেছেন ৬৭৯ রান। ব্যাটিং গড় ৮৪.৮৭।
ধারণা করা হচ্ছে ২১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থে প্রথম টেস্টে লাবুশেনকে ওপেনার হিসেবে নামানো হতে পারে। অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন ও বো ওয়েবস্টারকে একাদশে জায়গা করে দিতেই ব্যাটিং পজিশনে পরিবর্তন আসতে পারে।