২৮ আগস্ট ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর ৩টিতেই হেরে গেছে তারা। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডাচদের কাছে পরাজয় ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যর্থতা।
এবার প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলবে লিটন কুমার দাসের দল। এই ফরম্যাটে ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো, পাঁচ ম্যাচে জয় চারটিতে। তাই বলে নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নিতে চান না লিটন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, সামনের সিরিজে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারলে হারতেও পারেন তারা। তবে সব ম্যাচে জেতার জন্যই নামবেন তারা।
দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে লিটনের প্রশ্নোত্তর পর্ব দেখে নেওয়া একনজরে
পাওয়ার হিটিং নিয়ে দলের ভাবনা
লিটন: দেখেন, কেউ আসলে তো দুই-তিন দিনে পুরোপুরি বদলে দিতে পারবে না। তবে তার (জুলিয়ান উড) কিছু থট প্রসেস ছিল প্র্যাকটিসের, যেগুলো নতুন মনে হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা কাজ করেছি। দেখা যাক, বাদ বাকিটা এখন... এখনও তো ম্যাচ খেলিনি সে আসার পরে। আমাদের একটা ম্যাচও হয়নি। নেদারল্যান্ডসের সিরিজ দিয়েই দেখা যাবে যে বাংলাদেশ টিম এখান থেকে কতখানি ডেভেলপ করেছে।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কা দলে নতুন মুখ ভিশেন হালামবাগে |
![]() |
গত এক মাসের অনুশীলন ক্যাম্প সম্পর্কে
লিটন: এই জার্নিটা খুবই ভালো ছিল। পাকিস্তান সিরিজের সময়ও বলেছিলাম যে আমাদের একটা ব্রেক থাকবে এবং ফিটনেস অনেক বড় এখনকার ক্রিকেটে, যেটা আমরা করেছি। ফিটনেসের প্রতি ফোকাস ছিল আমাদের সবার।
ফিটনেসের পর আমরা আমাদের স্কিলেরও ডেভেলপ করার চেষ্টা করেছি। ওভারঅল আমি যদি দেখি আমাদের প্রিপারেশন ভেরি গুড। আপনি এত ভালো ফ্যাসিলিটি সহকারে প্রিপারেশন খুব কমই পাওয়া যায়। আমার মনে হয় বাংলাদেশ টিম লাস্ট যে ব্রেক ছিল, ব্রেকের পর থেকে খুব ভালো প্রিপারেশনে আছে।
নেদারল্যান্ডস সিরিজে এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ
লিটন: না! দেখেন যেকোনো ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচই আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। নেদারল্যান্ডও ভালো টিম। হয়তোবা তারা এই কন্ডিশনে খুব একটা খেলে না। তবে যদি ভালো উইকেটে ক্রিকেট হয়, তারা ভালো উইকেটে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। তাই দুই সাইডেই চ্যালেঞ্জ থাকবে... আর অবশ্যই যদি এশিয়া কাপের আগে আমাদের হাতে ওই সুযোগ থাকে কিছু ক্রিকেটার দেখার, আমরা দেখব। তবে এটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট। আপনাকে জেতার জন্যই যেতে হবে।
এই সিরিজ ভালো করলে এশিয়া কাপের রিয়েলিটি চেক
দেখেন, আপনি এশিয়া কাপে যখন খেলবেন, ভিন্ন দল থাকবে। সেই দল আমরা এখানে আনতে পারব না। তবে প্রায় একই কন্ডিশন থাকবে আমার মনে হয়। আমরা সবাই জানি আবুধাবি ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট হয়। সিলেটও অনেকটাই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট।
তো মিল যদি আমি দেখতে চাই, ওইদিক দিয়ে থাকবে। আর আপনি যে কথাটা বললেন যে ২০০-২৫০ রান করাটা, এটা একটা অভ্যাসেরও বিষয়। আমরা যদি করতে পারি খুবই ভালো। না করতে পারলেও আমরা ওই ধারাবাহিকতা চেষ্টা করব যে ওইখানে কীভাবে পৌঁছানো যায়।
আরও পড়ুন
ফাতেমা মুজিবকে ছাড়াই শুরু জুলাই রেভুলেশন চ্যাম্পিয়নশিপ |
![]() |
এশিয়া কাপের আগে এই সিরিজ হেরে গেলে সমালোচনার ঝড়ে পড়ার ঝুঁকি
লিটন: না, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে এমন কোনো দল নেই যে ছোট দল। তো আমরা... আমরা সবসময় খেলি জেতার জন্য এবং আগে বা ভবিষ্যতেও যতগুলো ম্যাচ খেলব সব জেতার জন্যই যাব।
বাংলাদেশ এর আগেও অনেক দলের কাছে হেরেছে, নতুন কিছু না। যদি হেরে যাই, হেরে যেতেই পারি। দুইটা দলই খেলতে এসেছে, একটা দল জিতবে, একটা দল হারবে। আমরা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারতেছি, এটা হচ্ছে মূল।
ফ্লাডলাইট নিয়ে কনসার্ন?
লিটন: ফ্লাডলাইট কেমন? না, কয়েকদিন প্র্যাকটিস করলাম ভালো। আরেকটু লাইট যদি বাড়ানো যায় তাহলে অবশ্যই আরও ভালো। তবে মিরপুরের চেয়ে এখানে ভালো।
ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কাজের ফল তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে নাকি আরও সময় প্রয়োজন?
লিটন: এক-দুই দিন বা সেশনে আপনি আসলে খুব একটা ডেভেলপ করতে পারবেন না। আমরা যারা ক্রিকেট এখানে খেলি, অলমোস্ট সাত-আট বছর ধরে হয়ে গেছে, কারো কারো ১০ বছর হয়ে গেছে। তো সবার একটা প্যাটার্ন তো থাকে। যে যার প্যাটার্নে ক্রিকেট খেলতেছে। তার ভেতরে চেষ্টা করতেছে যে ভিন্ন কিছু আনার জন্য। বাট এটা দেখা যাবে আপনার একটু সময় দিতে হবে। কোনো কিছু তো এক-দুইদিনে চেঞ্জ হয়ে যায় না। যদি একটু সময় কন্টিনিউ আমরা ওই ফোকাসে থাকতে পারি, হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে চেঞ্জ হবে।
আরও পড়ুন
চ্যালেঞ্জ লিগে সাবেক ইপিএল ফুটবলারের বিপক্ষে খেলতে হবে সাদ-তপুদের |
![]() |
পারভেজ ইমনের চোট, সৌম্য সরকার থাকতে পারতেন কিনা
লিটন: দল তো দিয়ে দিয়েছে, এটা আপনারাও জানেন। পারভেজ ইমনের বিষয়টা এখনও আমি নিশ্চিত নই। ম্যানেজমেন্ট বা ফিজিওর তরফ থেকে আমার কাছে কোনো ইনফরমেশন আসেনি। আর সৌম্য তো আমাদের ব্যাকআপ অপশনেই আছে। সো যদি কখনো প্লেয়ার ইনজুরড হয়, যে পজিশনের কথা বললেন, তাহলে অবশ্যই সে আসবে।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতিটা কীভাবে নিচ্ছেন?
লিটন: আগেও বললাম যে এখানকার কন্ডিশনের মতো ওখানেও হওয়ার চান্স আছে । তো কয়েকদিন ধরে প্র্যাকটিস করেছি। একটা ম্যাচও খেলেছি আমরা। আর আমরা জানি এখানকার কন্ডিশন কী হতে পারে এবং আমাদের প্লেয়াররাও সব জানে যে ওখানে কন্ডিশন কী হতে পারে। চেষ্টা করব কন্ডিশনটা কাজে লাগিয়ে যেন ম্যাচের রেজাল্ট বের করতে পারি।
নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসানের ব্যাপারে
লিটন: আমি তো খুব খুশি যে আমার দলে দুজন ক্রিকেটার যুক্ত হয়েছেন। এমন না যে, যারা এখান থেকে দলে নেই, তারা খারাপ প্লেয়ার। তারাও বাংলাদেশের জন্য অনেক... অনেক কিছু করেছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও আবারও তারা হয়তোবা আবার কামব্যাক করবে। সোহান এবং সাইফ লাস্ট বিগত অনেকগুলো বছর ধরেই তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। স্পেশালি সোহান ভাই তো অনেকদিন ধরেই মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলছে।
আরও পড়ুন
শেষ ম্যাচে শারমিন-স্বর্ণার ফিফটি |
![]() |
সাইফের যে জিনিসটা, সাইফের লাস্ট বিপিএল ও গ্লোবাল সুপার লিগ। আবার একটা গেম খেলে এলো অস্ট্রেলিয়াতে। তার যে খেলার যে প্যাটার্নটা ছিল, আমার কাছে মনে হয় আমাদের এমন একটা প্লেয়ার দরকার ছিল যে কিনা একটু অ্যাগ্রেসিভ মাইন্ডে ক্রিকেট খেলতে পারবে মিডল অর্ডারে এবং এক-দুই ওভার যার কাছ থেকে বোলিং পাওয়া যায়। ওই জন্যই কিন্তু সাইফকে নেওয়া।
চেষ্টা করব যে সাইফ তার যে ক্যালিবারটা আছে, যেটা সে ন্যাশনাল টিমের বাইরে যে গ্রেড ক্রিকেটগুলো ছিল ওখানে খেলেছে, সেগুলো এখানেও খেলার চেষ্টা করবে। যদি তারা সুযোগ পায়, আমি চেষ্টা করব... আমি চাইবো তারা যেন তাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
এক-দুই ম্যাচ পরে যে তারা বাদ পড়ে যাবে, জিনিসটা এমন না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, যেকোনো সময় আপনার অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলার জন্য আপনি আউট হয়েই যেতে পারেন। এটা টিম ম্যানেজমেন্ট বুঝব যে প্লেয়ারটা কী রকম খেলার চেষ্টা করছে। যদি বুঝি যে না, সে টিমের জন্য সবকিছু দিতে প্রস্তুত, অবশ্যই টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাক করবে।
৩০ আগস্ট ২০২৫, ৫:১৭ পিএম
আক্রমণে এসে প্রথম বলেই সাফল্য পেলেন তাসকিন আহমেদ। ঝড় তোলার আভাস দেওয়া ম্যাক্স ও'ডাউডকে ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার।
তাসকিনের স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় লিডিং এজ হয় ও'ডাউডের। শর্ট কাভারে সহজ ক্যাচ নেন জাকের আলি অনিক। উল্লাসে ফেটে পড়েন তাসকিন।
৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ বলে ২৩ রান করে ফেরেন ও'ডাউড। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান অনিল তেজা নিদামানুরু। আরেক ওপেনার বিক্রমজিত সিং ৪ বলে ২ রানে অপরাজিত।
আরও পড়ুন
চার বছর পর সুযোগ পেলেন সাইফ |
![]() |
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেখ মেহেদি হাসানের প্রথম ওভারে ৩ রানের বেশি নিতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। পরের ওভারে শরিফুল ইসলামের ওপর ঝড় তোলেন ও'ডাউড। দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনটি চার মারেন ডাচ ওপেনার।
মেহেদির পরের ওভারে ম্যাচের প্রথম ছক্কা মেরে দেন ও'ডাউড। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩.৩ ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৫ রান।
দুই চারের সঙ্গে বিশাল এক ছক্কায় ৯ বলে ১৯ রানের ইনিংস। তাতেই ইতিহাস গড়ে ফেললেন কাইরন পোলার্ড। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে করে ফেললেন ১৪ হাজার রান। এর সঙ্গে ৩৩২ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একসঙ্গে ১৪ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেই বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটারের। এমনকি ১০ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের কীর্তিও নেই কোনো ক্রিকেটারের।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে নামা পোলার্ড।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৭১২ ম্যাচের ৬৩৩ ইনিংসে ব্যাট করে পোলার্ডের সংগ্রহ ঠিক ১৪ হাজার রান। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিনি ফিফটি করেছেন ৬৪টি। আর স্ট্রাইক রেট ১৫০.৯৭!
এই ফরম্যাটে ১৪ হাজার রান করা বিশ্বের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার পোলার্ড। তার আগে এই মাইফলক স্পর্শ করা একমাত্র ক্রিকেটার তারই জাতীয় দলের সতীর্থ ক্রিস গেইল। অবসরের আগে ৪৫৫ ইনিংসে ১৪ হাজার ৫৬২ রান করেছেন ইউনিভার্স বস।
এরই মধ্যে ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন গেইল। তাই পোলার্ডের সামনে সুযোগ আছে গেইলকে ছাড়িয়ে এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার। সেজন্য হয়তো তাকে খেলতে হবে আরও কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ।
এছাড়া বলতে পোলার্ডের নামের পাশে আছে ৪২৫ ইনিংসে ৩৩২ উইকেট। পার্ট টাইম মিডিয়াম পেসার হিসেবেই বেশি খেলেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে ৪ উইকেট নিয়েছেন ৮ বার। তার সেরা বোলিং ফিগার ১৫ রানে ৪ উইকেট।
দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে অল্পসংখ্যক রান আর উইকেট জাতীয় দলের হয়ে নিয়েছেন পোলার্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে ১০১ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ৫৬৯ রান করেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে এই সংস্করণে তার প্রাপ্তি ৪২ উইকেট।
দীর্ঘ প্রায় চার বছরের অপেক্ষার পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিয়ে মূল জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেলেন সাইফ হাসান।
মাঝে ২০২৩ সালে হাংজু এশিয়ান গেমসে তিনটি ম্যাচ অবশ্য খেলেছিলেন সাইফ। সেই ম্যাচগুলোর আন্তর্জাতিক মর্যাদাও ছিল। তবে একই সময়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলায়, ওই আসরে কোনো দেশ তাদের মূল দল পাঠায়নি।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলার পর আর এই ফরম্যাটে জাতীয় দলের হয়ে খেলার ডাক পাননি টপ-অর্ডার ব্যাটার।
তাই প্রায় চার বছরের বিরতি দিয়ে আবার টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবেন সাইফ। সব মিলিয়ে আগের পাঁচ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৫২ রান। বল হাতে কোনো উইকেট নেই।
এছাড়া বাংলাদেশের একাদশে তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। পেস বিভাগে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন দুই বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে যুবাদের ইংল্যান্ড সফর |
![]() |
আর লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের সঙ্গে আছেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। দলের প্রয়োজনে সাইফ হাসানকেও অফ স্পিন করতে দেখা যাবে।
বাংলাদেশ একাদশ:
তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক (উইকেটোরক্ষক), শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
নেদারল্যান্ডস একাদশ:
ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিত সিং,অনিল নিদামানুরু, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), নোয়াহ ক্রোয়েস, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, শরিজ আহমাদ, ড্যানিয়েল ডোরাম, টিম প্রিঙ্গেল।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে কয়েনভাগ্য পাশে পেলেন লিটন কুমার দাস। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ডাচদের অল্পে আটকে রেখে ম্যাচ জেতার লক্ষ্য তার।
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরপর দুই সিরিজ জেতার সুখস্মৃতি সঙ্গে নিয়ে এই সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এশিয়া কাপের আগে আরেকটি ইতিবাচক ফলের আশায় বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন।
নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস বলেছেন, টস হেরেও সমস্যা নেই তাদের। আগে ব্যাট করে যথেষ্ট রান করে ম্যাচ জিততে চান সফরকারী অধিনায়ক।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় ৫৩৯ দিন পর টি-টোয়েন্টি খেলা হবে এই ম্যাচ দিয়ে। এই মাঠে আগে ব্যাট করে জয় মাত্র ৩টি। আর পরে ব্যাট করা দল জিতেছে ১০ ম্যাচ।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর হবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়। তবে কদিন আগে জিম্বাবুয়ে সফর করে এলেও, এখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল যাবে ইংল্যান্ডে খেলতে। এই সফরের পেছনে কারণ হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার কথা বললেন প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলতে রোববার রাতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এক দিন বিরতি আর এক দিন অনুশীলনের পর সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা।
এরপর ৫ তারিখ থেকে শুরু হবে মূল সিরিজ।
ইংল্যান্ড সফরের জন্য রওনা হওয়ার আগের দিন মিরপুরে বিসিবি জাতীয় একাডেমি ভবনের সামনে হয় আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন পর্ব। ছবি তোলা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে যুবাদের প্রধান কোচ জানান, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের অভিজ্ঞতার জন্য ইংল্যান্ড যাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন
চাইনিজ তাইপের জালে দুই হালি গোল বাংলাদেশের |
![]() |
“আমি মনে করি, (ইংল্যান্ড সফরের) মূল কারণ হলো ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া। আমরা কেন আগে আফ্রিকা আর এখন ইংল্যান্ডের মতো ভিন্ন মহাদেশে সফরে যাচ্ছি তার মূল কারণ হলো—খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ধরনের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা দেওয়া।”
“এসব সফরের মূল কারণ খেলোয়ারদের পরীক্ষা করা। তারা কীভাবে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয় এবং কেমন পারফরম্যান্স করে। যাতে দুই বছর শেষে যখন বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসবে, তখন ছেলেরা বহু রকম কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রস্তুত থাকে। এটাই আসল কারণ।”
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে হবে যুব বিশ্বকাপের ১৬তম আসর। বিশ্বকাপের আগে আর দুটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের পর ঘরের মাঠে অক্টোবরে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।
আরও পড়ুন
লর্ডসে ঘুরতে ও স্টোকসের সঙ্গে দেখা করতে চান তামিম |
![]() |
এই দুই সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের চূড়ান্ত কম্বিনেশন সাজিয়ে নেওয়ার আশা যুব দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের।
“আমাদের কম্বিনেশন যদি দেখেন... এখন কিছু ইনজুরি আছে যেমন ইমন ইনজুরিতে। তো যারা আসছে তাদের এখন চান্স। স্যারও এটাই বললেন। কম্বিনেশনের ব্যাপারে... এরপর অক্টোবরে সম্ভবত আমাদের আফগানিস্তান সিরিজ। আমরা সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি। এটাও একটা ভালো অভিজ্ঞতা।”
ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচ লাফবোরোতে, ৫ ও ৭ সেপ্টেম্বর। এরপর ব্রিস্টনে ১০ তারিখ তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে তারা। সবশেষে বেকেনহ্যামে গিয়ে ১২ ও ১৪ সেপ্টেম্বর সফরের শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে তামিমের দল।
মূল সিরিজ শুরুর আগে লাফবোরোতে ৩ সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ।
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে