বাবার পথ অনুসরণ করে ফুটবলে নাম লিখিয়েছেন আগেই। ক্লাব ফুটবলে বাবা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দল আল নাসরের বয়সভিত্তিক দলের নিয়মিত সদস্য ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়রের এবার হয়ে গেল পর্তুগাল দলে অভিষেক। মঙ্গলবার প্রথমবারের মত খেলেছেন দেশটির অ-১৫ দলের জার্সিতে।
ক্রোয়েশিয়ায় ভ্লাতকো মার্কোভিচ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাপানের বিপক্ষে ম্যাচে পর্তুগাল জয় পায় ৪-১ গোলে। শুরুত একাদশে জায়গা হয়নি রোনালদোর ছেলের।
৫৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে যখন নামেন ১৪ বছর বয়সী ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়র, তখন তার দল রাফায়েল ক্যাব্রালের হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে এগিয়ে।
সৌদি ক্লাব আল নাসরের একাডেমিতে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা ক্রিস্তিয়ানো এই ম্যাচেও খেলেন একই পজিশনে। তবে অভিষেকে পাননি গোলের দেখা।
সেটা না হলেও বাবা রোনালদো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছেলের নতুন অধ্যায় শুরুর দিনে। “তোমার পর্তুগাল দলে অভিষেকের জন্য অভিনন্দন।”
আগামী শুক্রবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে বুধবার ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়ররা গ্রিসের সাথে খেলবে। রোববার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ফিট ছিলেন, স্কোয়াডেও ছিলেন। তবে রহস্যজনকভাবে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে রদ্রিগোকে মাঠেই নামাননি কার্লো আনচেলত্তি। শুরুর একাদশে অনিয়মিত হলেও বদলি হিসেবে তার না খেলাটা জন্ম দেয় প্রশ্নের। এর কারণ হিসেবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো দিচ্ছে অবাক করার মত খবরই। তাদের দাবি, মিডিয়ায় কিলিয়ান এমবাপে ও জুড বেলিংহামকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতিতে বিরক্ত রদ্রিগো। তার জেরেই নাকি বার্সেলোনার সাথে খেলতে জানান অসম্মতি, ছাড়তে চান ক্লাবও। তবে আপাতত সেসব উড়িয়েই দিয়েছেন ব্রাজিল উইঙ্গার।
প্রথম খবরটি সত্যি হলে তা চমক জাগানোর মতোই হবে। কারণ। ২০২৩ সালে বেলিংহাম আসার পর খুব অল্প সময়েই তার সাথে দারুণ সম্পর্ক হয়ে যায় রদ্রিগোর। আক্রমণে তাদের রসায়নও দুর্দান্ত। তখন একাদশেও ছিলেন নিয়মিত। তবে ২০২৪ সালে এমবাপের আগমনের পর থেকে ক্রমেই একাদশের বাইরে ছিটকে গেছেন এই ফরোয়ার্ড। এই মৌসুমে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাকে নামানো হয়েছে বদলি হিসেবে বা তুলে নেওয়া হয়েছে এমবাপে, বেলিংহামদের মাঠে রেখে।
ফরাসি তারকা এমবাপে এই মৌসুমে রিয়ালে যোগ দিয়েই বনে গেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল তারই। সাথে রয়েছে দুটি এল ক্লাসিকোর হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে মিডফিল্ডার বেলিংহাম ফিট থাকলে নিয়মিতই খেলছেন একাদশে থেকে। এমনকি চোট নিয়েও খেলে গেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। অন্যদিকে ফিট থেকেও রদ্রিগো হয়েছেন ব্রাত্য।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিডিয়ায় এমবাপে ও বেলিংহামের যে প্রশংসা করা হয়, তাতে নাকি নাখোশ রদ্রিগো। সাথে রয়েছে একাদশে নিয়মিত না হওয়া। ফলে চিন্তা করছেন এই গ্রীষ্মেই ক্লাব ছাড়ার।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, রদ্রিগো দলের কারও সাথেই কথা বলছেন না এল ক্লাসিকোর পর থেকেই। কারণ, তার আশা ছিল এই মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণ হবে তাকে, এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে। সেটা না হওয়ায় জানাচ্ছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। সতীর্থরাও নাকি তার এমন আচরণে খুশি নন।
এই মৌসুমে রদ্রিগো লা লিগায় ৩০টি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। বেশিরভাগ সময়ই তাকে রাইট উইংয়ে খেলানো হয়েছে, যেখানে তাকে জায়গার জন্য লড়তে হচ্ছে ব্রাহিম দিয়াজ, আর্দা গুলের, এন্দ্রিক বা ক্ষেত্রেবিশেষে ফেদেরিকো ভালভের্দের সাথে।
সব মিলিয়ে তাই ভালো জোর পাচ্ছে রদ্রিগোর রিয়াল ছাড়ার খবর। তবে ইএসপিএন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রদ্রিগোর প্রতিনিধিরা ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে দলে তার অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সেই আলোচনায় নাকি এটাও উঠে এসেছে যে, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ রদ্রিগো নিজে এবং পেরেজও নাকি তাকে রিয়ালের জার্সিতেই দেখতে চান।
ইএসপিএন আরও জানিয়েছে, রদ্রিগোর প্রতিনিধিরা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর আগ্রহের খবর বাতাসে ভাসলেও তারা বরং অপেক্ষায় আছেন রিয়ালের নতুন কোচ জাবি আলোনসোর পরিকল্পনা জানার। সেটার ওপর ভিত্তি করেই ক্লাবে থাকা বা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তরুণ এই উইঙ্গার।
প্রায় তিন যুগের এক কোচিং ক্যারিয়ারে দায়িত্ব পালন করেছেন ইউরোপের সফল ও বিখ্যাত সব ক্লাবে। তবে কার্লো আনচেলত্তি বিভিন্ন সময়েই বলেছেন, রিয়াল মাদ্রিদ তার কাছে আবেগের এক নাম। এই মৌসুম শেষে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার ক্ষণে আরও একবার সেটাই জানালেন ইতালিয়ান এই কোচ। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে আজীবন হৃদয়ে লালন করবেন, বলেছেন আনচেলত্তি।
অবশ্য রিয়ালের সাথে তার সম্পর্কটা সেই ২০১৩ সাল থেকেই অবশ্য দুর্দান্ত। এবারের মত সেবারও শিরোপাহীন মৌসুমের পর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছিল তাকে। তবে আজ অবধি রিয়ালকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক কথা বলেননি তিনি। সবসময়ই ক্লাবকে আগলে রেখেছেন সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে। এসি মিলান, চেলসির, পিএসজির সাবেক এই কোচ এই মৌসুম শেষে রিয়ালের চাকরি ছেড়ে যোগ দেবেন ব্রাজিল জাতীয় দলে।
আরও পড়ুন
আনচেলত্তিই ‘হচ্ছেন’ ব্রাজিলের নতুন কোচ |
![]() |
মঙ্গলবার আনচেলত্তির সংবাদ সম্মেলনে তাই প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকলে এই আলোচনাই। সেখানেই ৬৪ বছর বয়সী এই কোচ জানান রিয়ালের প্রতি তার বিশেষ ভালোবাসার কথা।
“আমি রিয়াল মাদ্রিদকে ভালোবেসে যাবো এবং তারাও আমাকে ভালবাসবে। ক্লাবের কোচ পরিবর্তন করার দরকার হয়, এটাই জীবন। আমি খুব খুশি। রিয়াল মাদ্রিদের সাথে আমার কখনই কোনো সমস্যা হবে না। আমার কোনো আফসোস নেই। আমি এখানে আমার সময়টা উপভোগ করেছি। ভক্তদের সাথে আমার সম্পর্কটা দারুণ ছিল। আমাদের অবিস্মরণীয় কিছু কামব্যাকের সময় তারা শক্তি যুগিয়েছে এবং আমি নিশ্চিত যে ভক্তরা এগুলো ভুলে যাবে না।”
প্রথম দফায় রিয়ালের হয়ে একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা আনচেলত্তি রিয়ালে ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরেন। এই দফায় তার হাত ধরে ক্লাবটি দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পাশাপাশি জেতে দুটি লা লিগার শিরোপাও। অর্জনের দিক থেকে রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচ তিনিই।
আরও পড়ুন
আবেগে ভেসে, চোখের জলে বায়ার্নকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি মুলার |
![]() |
বিদায় বেলায় আনচেলত্তির কাছে রিয়ালের স্থান অনেক ওপরেই।
“কেউ যদি আমাকে বলত যে আমি এবার চার ববছরের মধ্যে ১১টি শিরোপা জিতব, তাহলে আমি বলতাম যে এটা অসম্ভব। আমি কেন চলে যাচ্ছি, সেটা অনেকটাই আমাদের জীবনের প্রতিটি বিষয়ের মতোই সরল। সবকিছুরই একটা শেষ থাকে। আমি এখানে আমার সময় উপভোগ করেছি।”
এই মৌসুমে রিয়ালের শেষ ম্যাচ আগামী ২৫ মে। আর তার পরদিন থেকেই ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন আনচেলত্তি, একদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দিয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।
গেল মাস থেকেই জোড়াল হচ্ছিল গুঞ্জন। রিয়াল মাদ্রিদ, কার্লো আনচেলত্তি বা ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) পক্ষ থেকে এখনও আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। তবে এসব খবরের নির্ভরযোগ্য সূত্র দা আথলেতিকের দাবি, রিয়ালের চাকরি ছেঁড়ে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নাকি চুক্তিতে সম্মত হয়ে গেছেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
আথলেতিক সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আনচেলত্তিকে এরই মধ্যে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সিবিএফ। তিনি আগামী ২৬ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন
‘ইয়ামাল বাচ্চা না, এমন পারফরম্যান্সই চায় বার্সা’ |
![]() |
চলতি মৌসুমে রিয়ালের শেষ ম্যাচ লা লিগায় আগামী ২৫ মে। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিই হবে ক্লাবটির ডাগআউটে ৬৫ বছর বয়সী আনচেলত্তির শেষ ম্যাচ।
রিয়ালের সাথে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ থাকায় আনচেলত্তিকে পেতে ব্রাজিলকে একটা সমঝোতায় যেতে হত স্প্যানিশ ক্লাবটির সাথেও। মাঝে কিছু বিষয় নিয়ে দূরত্ব তৈরির খবর আসলে অনিশ্চয়তা জাগে আনচেলত্তির নেইমারদের কোচ হওয়া নিয়ে।
তবে আথলেতিকদের দাবি, তিন পক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় যাওয়ার পর আনচেলত্তিকে নিয়োগ দিয়েছে সিবিএফ। এর মাধ্যমে আনচেলত্তি হচ্ছেন ব্রাজিলের ছেলেদের দলের ইতিহাসে প্রথম বিদেশি প্রধান কোচ।
ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচ আনচেলত্তি এর আগে কখনই জাতীয় দলের কোচিং করারননি। এই অধ্যায়ে তার মূল চ্যালেঞ্জ ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ, যার বাছাইপর্ব থেকে এখনও মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করতে পারেননি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন
ডিফেন্সের ভুলেই ডুবেছে রিয়ালের তরী, মত আনচেলত্তির |
![]() |
ব্রাজিলের কোচের দায়িত্বে দরিভাল জুনিয়রের স্থলাভিষিক্ত হবেন আনচেলত্তি, যিনি মার্চে ১৪ মাস দায়িত্ব পালন করার পর বরখাস্ত হন। আনচেলত্তির অধীনে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ হবে আগামী ৬ জুন, ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেটার স্কোয়াড ঘোষণা হবে আগামী ২৬ মে।
আনচেলত্তি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালে ফিরে আসেন। দুই দফায় রিয়ালের কোচ হিসেবে তার অর্জনের মধ্যে রয়েছে ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ২টি লা লিগা শিরোপা সহ আরও অনেক শিরোপা। এই মৌসুমে অবশ্য বাজে সময় কাটছে তার। সব প্রতিযোগিতা থেকে খালি হাতে ফেরা রিয়াল লা লিগায় তিন রাউন্ড হাতে রেখে বার্সেলোনার চেয়ে পিছিয়ে আছে ৭ পয়েন্টে।
চলতি মৌসুমে নিজেকে প্রতি ম্যাচেই নিয়ে যাওয়া লামিন ইয়ামাল আরও একবার জ্বলে ওঠেন এল ক্লাসিকোতে। গোল করে ও করিয়ে বার্সেলোনার জয়ে রাখেন বড় অবদান, যে কাজটা তিনি করে চলেছেন নিয়মিতভাবেই। শীর্ষ একটি ১৭ বছর বয়সী একজন ফুটবলারের জন্য এমন পারফরম্যান্স অবিশ্বাস্য ব্যাপারই বটে। তবে কোচ হান্সি ফ্লিক মনে করেন, ইয়ামালের কাছ থেকে তাদের চাওয়া এখন ঠিক এমনটাই।
জোড়াতালি দেওয়া রিয়ালের রক্ষণকে ৯০ মিনিট জুড়েই গতি, স্কিল ও ড্রিবলিংয়ে বারবার বিপদে ফেলেন ইয়ামাল। ৩২তম মিনিটে ফেররান তরেসের পাস থেকে কাট করে বক্সের ভেতর বাঁদিক থেকে বা পায়ের কোনাকুনি এক শটে জালের দেখা পান স্প্যানিশ উইঙ্গার, যা ম্যাচে নিয়ে আসে ২-২ স্কোরলাইনের সমতা। পরে আরও দুই গোল দিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জেতে ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন
ডিফেন্সের ভুলেই ডুবেছে রিয়ালের তরী, মত আনচেলত্তির |
![]() |
ইয়ামাল এত অল্প বয়সে বিশাল দায়িত্ব কীভাবে সামলাচ্ছেন, সেই প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক প্রশংসায় ভাসান তরুণ এই ফরোয়ার্ডকে।
“ইয়ামাল বাচ্চা ছেলে না। সে কী করতে পারে তা প্রতিনিয়ত দেখাচ্ছে। তার নিজের সামর্থ্যে অগাধ বিশ্বাস আছে। সে খুব স্মার্টও। সে আজ গোল করে আমাদের আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল, যা ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি গোল। ১৭ বছর বয়সী একজনের জন্য এটা আসলেই খুব উঁচুমাপের পারফরম্যান্স। আমরা তার কাছ থেকে ঠিক এটাই চাই।”
এই জয়ে তিন ম্যাচ হাতে রেখে লা লিগা জয় নিশ্চিত করতে বার্সেলোনার এখন মাত্র দুটি পয়েন্ট দরকার। দুইয়ে থাকা রিয়াল পিছিয়ে ৭ পয়েন্টে। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিয়ল বা আগামী বুধবার রিয়াল মায়োর্কার সাথে ড্রপ করলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে দলটি।
আরও পড়ুন
৭ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সার, বিফলে এমবাপের হ্যাটট্রিক |
![]() |
ফ্লিক অবশ্য এখনই রোমাঞ্চিত হচ্ছেন না।
“এটাই তো ফুটবল। আপনি জানেন না সামনে কী হতে পারে। তবে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের আরও দুটি পয়েন্ট দরকার। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা অর্জন করে ফেলতে চাই।”
শুরুতেই দুই গোল হজম করে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে দেওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে চার গোল হজম করে বসা – নিশ্চিতভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন ডিফেন্ডাররা। বার্সেলোনার সাথে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের হারে প্রকটভাবে ফুটে ওঠে দলটির রক্ষণভাগের অদক্ষতা। কোচ কার্লো আনচেলত্তি মনে করেন, এমন কিছু ভুল ছিল তাদের, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মত নয়।
রোববারের ক্লাসিকোতে অবশ্য খর্বশক্তির রক্ষণভাগ সাজায় রিয়াল। এদের মিলিতাও, আন্টোনিও রুডিগার, দানি কারভাহাল, ফেরল্যান্ড মেন্ডি এবং ডেভিড আলাবাদের সবাই ছিলেন চোটের কারণে অনুপস্থিত। ফলে সেরা সময় পেছনে ফেলে আসা লুকাস ভাজকেস, দুই অনভিজ্ঞ রাউল আসেন্সিও, ফ্রাংক গার্সিয়া ও মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনিকে দিয়ে সাজানো রিয়ালের ডিফেন্স তাল সামলাতে পারেনি ইয়ামাল-রাফিনিয়াদের, হারতে হয়েছে ৪-৩ গোলে।
আরও পড়ুন
৭ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সার, বিফলে এমবাপের হ্যাটট্রিক |
![]() |
রক্ষণভাগের ভুল নিয়ে হতাশা আনচেলত্তি শোনালেন উন্নতির কথা।
“আমরা কিছু অবিশ্বাস্য ভুল করেছি, যা আমাদের বারবার বিপদে ফেলেছি। শীর্ষ একটি দলের বিপক্ষে এমন একটা উঁচু মানের ম্যাচে আপনাকে আপনার খেলার সেরা স্তরে থাকতে হবে। আমরা আক্রমণে ভালো খেলেছি, তবে এটা স্পষ্ট যে আমাদের রক্ষণে আরও অনেক উন্নতি করতে হবে।”
লা লিগায় এই মৌসুমে রিয়ালই একমাত্র দল, যারা এই ম্যাচ সহ মোট চারবার নিজেরা ভুল করার পরপরই হজম করেছে গোল। নিজেদের বক্সে রাইট ব্যাক ভাজকেস বল হারিয়ে একটি গোল হজমের পর আরেকটি গোলে তিনি দাঁড়িয়ে যান বল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকা কিলিয়ান এমবাপের সামনে, যিনি এই ম্যাচে করেন হ্যাটট্রিক।
আরও পড়ুন
ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্স, ক্ষুব্ধ ভক্তদের হামলা ট্রেনিং গ্রাউন্ডে |
![]() |
তবে সমালোচনা না করে আনচেলত্তি ঢাল হয়েছেন শিষ্যদের।
“আমরা দৃষ্টিকটু কিছু ভুল করেছি, বার্সা আমাদের প্রাপ্য শাস্তিও দিয়েছে সেটার। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, আমরা এই ম্যাচটা খেলেছি পাঁচ ডিফেন্ডারকে ছাড়াই।”
এই জয়ে বার্সেলোনার লিগ জয় প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পথে। তিন ম্যাচ হাতে রেখে ৮২ পয়েন্ট কাতালান ক্লাবটির। আর দুইয়ে থাকা রিয়ালের অর্জন ৭৫ পয়েন্ট। শেষ তিন রাউন্ডে বড় মিরাকেল না ঘটলে তাই আনচেলত্তির দলের শিরোপা ধরে রাখার আশা শেষই।
১৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৭ দিন আগে