বর্ণিল এক ক্যারিয়ারে করেছেন অনেকে অনেক গোল। অবিশ্বাস্য সব গোলের কীর্তিও নেহায়েত কম নয়। তবে নানা কারণেই ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিওনেল মেসির হেড থেকে করা গোলটি আজও বিখ্যাত। স্বয়ং আর্জেন্টিনা কিংবদন্তির কাছেও মুহূর্তটি খুব কাছের। এই কারণেই সেই গোলটিকেই ক্যারিয়ারের সেরা বলে আখ্যা দিয়েছেন মেসি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে সেই ফাইনালে দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে এখনও হয় আলোচনা, কারণ মেসি সেটা করেছিলেন হেড থেকে। উচ্চতার কারণে তার পক্ষে হেড থেকে গোল করা বরাবরই কঠিন, সাথে ওই গোলটির সময় তাকে মার্ক করার জন্য ছিলেন দীর্ঘদেহী রিও ফার্দিনান্দ। তবে তাকেও চমকে ঝাঁপিয়ে হেডার থেকে আরেক দীর্ঘদেহী, গোলরক্ষক এডউইন ভ্যান ডার সারকে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠান মেসি।
সম্প্রতি একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এই গোলটিকে নিজের ক্যারিয়ার সেরা হিসেবে বেছে নেন মেসি।
“আমার ক্যারিয়ারে এমন অনেক গোল আছে, যেগুলো হয়তো আরও বেশি সুন্দর বা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হেড থেকে করা সেই গোলটি সবসময়ই আমার কাছে ভীষণ প্রিয়।”
ক্যারিয়ারে ৮০০-এর বেশি গোল করা মেসি ‘এ গোল ইন লাইফ’ নামের এক একটি চ্যারিটি ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে জানান তার সেরা গোলের কথা। এখানে তিনি শিল্পী রেফিক আনাদলের সাথে মিলে যৌথভাবে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করছেন।
এটিতে তারা দুজনেই স্বাক্ষর করবেন। এরপর সেটা নিউ ইয়র্কে ক্রিস্টিজের নিলামে তোলা হবে। নিলাম থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ বিভিন্ন মানবকল্যাণমূলক উদ্যোগে দান করা হবে।
উল্লেখ্য, ‘এ গোল ইন লাইফ’ ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করছে ইন্টার মায়ামি সিএফ ফাউন্ডেশন। মেসির অংশগ্রহণের এই শিল্পকর্মটি আগামী ১১ জুন নিউ ইয়র্কে ক্রিস্টিজ-এ নিলামের জন্য উন্মোচন করা হবে।
লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটানোর স্বীকৃতি হিসেবে সদ্যই জিতেছেন ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর ‘মৌসুম সেরা ফুটবলার’ পুরস্কার। তবে মোহামেদ সালাহর নজর আরও বড় খেতাবের দিকে। মিশর তারকা মনে করেন, এই বছর ব্যালন ডি’অর জেতার ভালো সম্ভাবনাই আছে তার।
২০২৪-২৫ মৌসুমে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় পার করেছেন সালাহ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩টি গোলের পাশাপাশি করেছেন ২৩টি অ্যাসিস্টও। আর প্রিমিয়ার লিগে ২৮ গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে আছেন সবার চেয়ে এগিয়ে। লিভারপুলের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড রেখেছেন বড় ভূমিকা।
আরও পড়ুন
মৌসুম সেরা ফুটবলারের খেতাব জিতলেন সালাহ |
![]() |
এসবের কারণে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষিত হতে যাওয়া ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হিসেবে নিজের সুযোগ দেখছেন সালাহ, নিজেই জানিয়েছেন স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
“আমার তো মনে হয় না এমন একটা মৌসুম আমার আগে কেটেছে। বড় শিরোপা জিতলাম, সাথে ছিল ব্যক্তিগত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তাই আমি বলব এটাই এই ক্লাবে থাকাকালীন সময়ে আমার এটা (ব্যালন ডি’অর) হেতার সেরা সুযোগ। কারণ, আমার জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য একটা মৌসুম, সাথে ছিল ট্রফি জেতা। তাই আমার মনে হয় এটা আমার জন্য ভালো সুযোগ বয়ে এনেছে।”
৩২ বছর বয়সী সালাহ গত এপ্রিলে অ্যানফিল্ডে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে তিনি এখন পর্যন্ত কখনই ব্যালন ডি’অর বা ফিফার দ্য বেষ্ট-এর একটিও জেতেননি। এবার অন্যতম ফেভারিট হলেও তাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দিতার মুখোমুখি হতে হবে বার্সেলোনার লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার সাথে।
কারণ এই দুজনও পার করেছেন নিজ নিজ ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম। যেহেতু গত মৌসুমের পারফরম্যান্স ব্যালন ডি’অর বিজয়ী নির্বাচনে রাখবে মূল ভূমিকা, তাই সালাহকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাবেন তারা। কেননা বার্সেলোনা এবার লা লিগা সহ জিতেছে আরও দুই ঘরোয়া শিরোপা।
আরও পড়ুন
মুগ্ধতা আর সম্মানে মদ্রিচকে স্মরণ জিদান-রোনালদো-এমবাপের |
![]() |
সালাহর স্বপ্নপূরণের পথে বাঁধা হতে পারেন উসমান দেম্বেলেও। ফরাসি এই ডিফেন্ডার পিএসজির হয়ে দারুণ এক মৌসুম কাটাচ্ছেন (৩২ গোল, ৭ অ্যাসিস্ট)। এরই মধ্যে জিতেছেন লিগ ওয়ান। তার ক্লাব যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে ফরাসি এই উইঙ্গারের সম্ভাবনাও বেশ বেড়ে যাবে।
মৌসুম শেষেই রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়বেন কার্লো আনচেলত্তি, নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার এসেছে ক্লাবের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বিদায় বেলায় আবেগ ধরে এসেছে অভিজ্ঞ এই কোচকে। বরাবরই রিয়ালের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা প্রকাশ করা আনচেলত্তি বললেন, স্প্যানিশ ক্লাবটির সাথে তার সম্পর্ক অটুট থাকবে আজীবন।
আগামী শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়েদারের লা লিগা ম্যাচ দিয়েই শেষ হবে আনচেলত্তির রিয়াল অধ্যায়। দ্বিতীয় মেয়াদে মাদ্রিদের দলটির দায়িত্ব নিয়ে জিতেছেন দুটি করে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ আরও কিছু শিরোপা। তবে এই মৌসুমে শিরোপাহীন থাকায় চুক্তির এক বছর বাকি থাকতেই তাকে ছেড়ে দিচ্ছে রিয়াল। আর আনচেলত্তির পরবর্তী ঠিকানা হতে যাচ্ছে ব্রাজিল জাতীয় দল।
তার আগে শুক্রবার বিশাল এক বিবৃতিতে রিয়ালের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন আনচেলত্তি।
“আজ আমরা আবার আলাদা পথ ধরতে যাচ্ছি। আজ আবার আমি হৃদয়ে ধারণ করছি প্রতিটি মুহূর্ত, যা রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে এই অসাধারণ দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমি পেয়েছি। এটা ছিলো অবিস্মরণীয় একটা সময়, আবেগময় এক অসাধারণ পথচলা। সময়টা ছিল শিরোপা, অর্জন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা হল… ক্লাবের ব্যাজকে প্রতিনিধিত্ব করার গর্বে পরিপূর্ণ। আমরা একসাথে যা যা অর্জন করেছি, তা মাদ্রিদিস্তাদের স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন থাকবে। আর এটা শুধু জয়ের কথাই নাই, জয়গুলো যেভাবে ধরা দিয়েছিল সেইসব মুহূর্তও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সেই জাদুকরী রাতগুলো ইতোমধ্যেই ফুটবল ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে গেছে।”
২০১৩ সালে প্রথমবার রিয়ালের কোচ হন আনচেলত্তি। তার হাত ধরেই রিয়াল জেতে ক্লাবটির দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, যা ‘লা দেসিমা’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে তার অর্জনের খাতা। তার ওপর দুই দফায় আস্থা রাখার জন্য রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেল আনচেলত্তির কণ্ঠে।
“ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, ক্লাব, আমার খেলোয়াড়, আমার স্টাফদের। আর সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা জানাই এই ক্লাবের দুর্দান্ত সমর্থকদের, যারা আমাকে তাদের খুব আপনজনের মতো অনুভব করতে দিয়েছেন। এখন শুরু হচ্ছে আমার নতুন অভিযান, তবে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আমার বন্ধন চিরস্থায়ী। আবার দেখা হবে, মাদ্রিদিস্তারা!”
লিভারপুলের হয়ে অবিস্মরণীয় একটি মৌসুম কাটানোর দারুণ স্বীকৃতি পেলেন মোহামেদ সালাহ। ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর ‘মৌসুম সেরা ফুটবলার’ পুরস্কার জিতেছেন মিশরীয় তারকা।
বৃহস্পতিবার তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মেয়েদের মধ্যে সেরা হয়েছেন আর্সেনালের স্ট্রাইকার অ্যালেসিয়া রুসো।
চলতি মৌসুমে লিভারপুলের জার্সিতে ব্যক্তিগতভাবে নিজের অন্যতম সেরা সময় পার করেছেন সালাহ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩টি গোল করার পাশাপাশি নামের পাশে রয়েছে ২৩টি অ্যাসিস্টও। লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড।
এই খেতাব জিতে সালাহ জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা।
“আমার জন্য এই পুরস্কার জেতাটা অনেক বড় ব্যাপার। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য অনুভূতি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন সম্মান পাওয়া বিশেষ কিছুই। তাছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের মাঝে এত বড় ব্যবধান থাকার কারণে এটা আরও অসাধারণ লাগছে।”
এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইংল্যান্ডের শত শত ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটে ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর মৌসুম সেরা খেলোয়াড় হলেন সালাহ। এর আগে তিনি এই খেতাব জিতেছিলেন ২০১৭-১৮ ও ২০২১-২২ মৌসুমে।
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগেও খ্যাতি পেয়েছিলেন, তবে সেটা কোনোভাবেই ছিল না কিংবদন্তি সমতুল্য। স্প্যানিশ ক্লাবে শুরুটাও ছিল মলিন। তবে লুকা মদ্রিচ যখন রিয়াল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন, তখন তিনি কেবল ক্লাবেরই নন, হয়ে গেছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদেরই একজন। ক্রোয়াট তারকা যে এমন সম্মানের প্রাপ্য, সেটা ফুটে উঠেছে তার সাবেক কোচ জিনেদিন জিদান ও দুই সতীর্থ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপের স্তুতিতে।
২০১২ সালে জোসে মরিনিয়োর ইচ্ছায় যখন টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে আসেন মদ্রিচ, তখন মিডফিল্ডে ছিলেন সেরা ছন্দের মেসুত ওজিল, কাকা, জাবি আলোনসো, সামি খেদিরারা। তবে সময়ের সাথে সাথে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার পাশাপাশি রিয়ালের মাঝমাঠের কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন তিনি। বলা যায়, গত এক যুগে রিয়ালের মিডফিল্ড ইঞ্জিন ছিলেন মদ্রিচই। এই মৌসুম শেষে ক্লাবটি ছাড়ার আগে তাই নামের পাশে রয়েছে সফল এক ক্যারিয়ার।
কোচ হিসেবে মদ্রিচকে খুব কাছ থেকে জিদান নিজেও ইতিহাসের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন। একবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারকে তিনি জানিয়েছেন বিশেষ প্রশংসাই।
“আমি যখন কোচ হিসেবে কাজ শুরু করলাম, তখন দেখলাম নম্বর ১০ খুব একটা আকর্ষণীয় নয়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এই জার্সির একটা ভার আছে। তাই আমি ড্রেসিংরুমে সবার কাছে জানতে চাইলাম, ১০ নম্বর জার্সি সেই পেতে পারে, যাকে তোমাদের কাছে মনে হয় যে সে ভুল করতে পারে না, কঠিন মুহূর্তে তোমরা যাকে পাস দিতে চাও। কথা শেষ করার পর দেখলাম সবাই মদ্রিচের দিকে তাকিয়ে আছে। ধন্যবাদ আর শুভকামনা লুকিতা!”
মদ্রিচের রিয়ালের আগমনের একদম প্রথম দিন থেকেই তাকে দেখেছেন রোনালদো। একসাথে দুজনে জিতেছে অসংখ্য শিরোপা। পর্তুগাল তারকার অনেক গোলে সরাসরি অবদান ছিল মদ্রিচের। সাবেক সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আল নাসর ফরোয়ার্ডও।
“সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ, লুকিতা। এই ক্লাবের হয়ে তোমার সাথে খেলা, দুর্দান্ত সব মুহূর্ত ভাগাভাগি করাটা আমার জন্য সম্মানজনক ছিল। আগামী দিনের জন্য তোমার প্রতি শুভকামনা রইল।”
জিদান ও রোনালদোর তুলনায় মদ্রিচের সাথে এক ক্লাবে কম সময়ই পার করেছেন এমবাপে। গত মৌসুমে তিনি যখন রিয়ালে নাম লেখান, তখন আলোচনায় ছিল জার্সি নম্বর ১০, যা তার পছন্দের। তবে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে অনেক আগে থেকেই যে এটি মদ্রিচের দখলে। তাই এমবাপে খেলছেন ৯ নম্বর জার্সিতে। তবে এসব ছাপিয়ে স্রেফ এক মৌসুমেই তিনিও মুগ্ধ হয়েছেন কাছ থেকে প্রতিভাবান এই মিডফিল্ডারকে দেখে।
মদ্রিদকে নিয়ে তাই বড় এক পোস্টই করেছেন ফরাসি তারকা।
“এই মৌসুমে তোমার সাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়া ছিল আমার জন্য সত্যিকারের এক সৌভাগ্যের ব্যাপার। ‘গ্রেটনেস’ কাকে বলে, সেটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। মদ্রিচ কেবল সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজনই নন, তিনি অসাধারণ মানসিকতার একজন মানুষও। তিনি বিশ্বের সেরা ক্লাবে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইতিহাস রচনা করেছেন এবং সম্ভাব্য সবকিছু অর্জন করেছেন। তবে তিনি আরও একটি মূল্যবান জিনিস অর্জন করেছেন, তা হল পুরো বিশ্বের সম্মান ও প্রশংসা। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ কিংবদন্তি।”
রিয়ালের জার্সিতে ৫৯০টি ম্যাচ খেলেছেন মদ্রিচ। জিতেছেন মোট ২৮টি শিরোপা, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৪টি লা লিগা। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের রেকর্ড তারই। আগামী শনিবার রিয়ালের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলবেন মাঝমাঠের এই শিল্পী।
কোচিং ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পেপ গার্দিওলার একটি উল্লেখযোগ্য দিক নির্দিষ্ট সংখ্যক খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করা। খুব বড় স্কোয়াড নিয়ে তাকে সেভাবে কাজ করতে দেখা গেছে কমই। তবে চলতি মৌসুমে চোট সহ নানা কারণে ম্যানচেস্টার সিটি স্কোয়াডের পরিধি বড় হয়ে গেছে, যা ভালো লাগছে না স্প্যানিশ কোচের। গার্দিওলা তাই হুশিয়ারি দিয়েছেন, স্কোয়াড ছোট না করলে চলে যাবেন সিটি ছেড়েই।
লোনে থাকা চারজন বাদে সিটির মূল স্কোয়াডে বর্তমানে ২৮ জন খেলোয়াড় আছেন। গত মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারানোর ম্যাচে নিয়মিত স্কোয়াডের তিন সদস্য সাভিনিয়ো, আব্দুকাদির খুসানোভ ও ক্লদিও ইচেভেরি দলে জায়গা পাননি। জেমস ম্যাকঅ্যাটি ও রিকো লুইসকে তো স্কোয়াডেই রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
এই ম্যাচের পর গার্দিওলা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তার স্কোয়াড ছোট করার আর্জি।
“আমি ক্লাবকে বলে দিয়েছি পাঁচ বা ছয়জন খেলোয়াড়কে বসিয়ে রাখতে চাই না। আমি এমনটা আসলেই চাই না। আর যদি এই অবস্থা তৈরি হয়, তাহলে আমি চলে যাব। যদি স্কোয়াড ছোট করা হয়, তাহলেই কেবল আমি থাকব।”
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্কোয়াডগুলোর একটি হল সিটির এই বিশাল খেলোয়াড়দের বহর, যার বাজারমূল্য ১.৩ বিলিয়ন ইউরো বলে নানা সময়ে এসেছে খবরে। তবে গত বছরের শেষের দিকে চোট সমস্যায় ভুগে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছিল গার্দিওলার দল।
এই সমস্যা কাটাতেই গেল জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে তারা ওমর মারমুশ, ভিতোর রেইস, খুসানোভ এবং নিকো গনজালেজকে দলে টানে। তবে বর্তমানে জন স্টোনস ও নাথান আকে ছাড়া সবাই ফিট হয়ে গেছেন। ফলে প্রতি ম্যাচেই বেঞ্চে বসেই কাটাতেই হচ্ছে অনেক খেলোয়াড়কে।
আরও পড়ুন
অবসরে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক |
![]() |
এই চিত্রের পরিবর্তন দ্রুতই দেখতে চান গার্দিওলা।
“এটা ক্লাবের জন্য চিন্তা করার বিষয়। আমি চাই না সবাই ফিট থাকার পরও স্কোয়াডে ২৪, ২৫ বা ২৬ জন খেলোয়াড় থাকুক। যদি কেউ চোট পায়, তাহলে আমাদের একাডেমি থেকে খেলোয়াড় নিয়ে আসব।”
গত নভেম্বরেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত সিটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন গার্দিওলা। সিটির কোচ হিসেবে এবারই প্রথমবার শিরোপাহীন মৌসুম কাটালেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
২৩ দিন আগে