দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ বলেই পরিস্থিতি যতোই নাজুক হোক না কেন, সবসময়ই আলোচনায় থাকে তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনার কথা। আর্সেনালের সাথে প্রথম লেগে বিশাল ব্যবধানে হারের পরও তাই জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির দলের কামব্যাকের কথা। বিষয়টি নিয়ে খুব ভালোভাবেই অবগত আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতাও। আর তাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে কোনো ছাড় দেবে না তার দল।
আর্সেনালের ম্যানেজার মিকেল আর্টেটা তার খেলোয়াড়দের বুধবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সাহসী হতে এবং নিজেকে বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং স্প্যানিশ জায়ান্টদের প্রত্যাবর্তন অস্বীকার করেছেন।
শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে রীতিমতো চমক উপহার দেয় আর্সেনাল। ডেকলান রাইসের জোড়া গোল ও মিকেল মেরিনোর এক গোলে জেতে ৩-০ ব্যবধানে। ফলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগের আগে ভীষণ চাপে পড়ে গেছে এমবাপে-ভিনিসিয়ুসরা। তবে এই প্রতিযোগিতায় বারবার অবিশ্বাস্য সব ফিরে আসার গল্প রচনা করার কারণে অনেকেই হিসাবের বাইরে রাখছেন না রিয়ালকে।
সেটা আচ করতে পারছেন আর্তেতাও। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাই সাবধান করে দিলেন দলকে।
“আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল, এই ম্যাচটা জিততে হবে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে লন্ডনে আমরা জিতেছিলাম। রিয়াল মাদ্রিদ আমাদের যে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, আমরা সেখানে যেতে চাই না। আমি এটা (রিয়ালের ফিরে আসার সম্ভাবনা) বুঝতে পারি, কারণ এটি তাদের ইতিহাসের অংশ। তাদের এই ধরণের (কামব্যাক) পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সেই অধিকার আছে।”
প্রথম লেগে আর্সেনাল ৩-০ গোলে জেতায় ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে হলেও রিয়ালকে কমপক্ষে তিন গোল করতেই হবে। কাজটা আরও কঠিন, কারণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর এক ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল হজম করেনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
তবুও সাবধানী আর্তেতা।
“আমাদের জয়ের জন্য লড়াকু মানসিকতা দেখাতে হবে। সাহসী হতে হবে, প্রাধান্য দেখাতে হবে এবং দৃড়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। আর নিজেদের মাঝে এই বিশ্বাস থাকা দরকার যে, আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল হতে পারি এবং ম্যাচটা জিততে পারি।”
৪ মে ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
বিষয়টি চমকপ্রদই বটে। অভিষেকের পর থেকেই ব্রাজিল জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। অথচ সেই রাফিনিয়া কিনা অভিষেকের আগে সন্দিহান ছিলেন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা নিয়েই! বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, ইতালির হয়ে খেলার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন তিনি।
রাফিনিয়ার বাবা রাফায়েল দায়াস বেলোলি ইতালীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তার ছেলে ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্য হন। এমনকি বার্সেলোনার তারকার এখন রয়েছে ইতালিয়ান পাসপোর্টও। আজ্জুরিদের পক্ষ থেকে ব্রাজিল দলে অভিষেকের আগে বেশ চেষ্টা করা হলে তাতে সায় ছিল রাফিনিয়ারও। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। ফলে ব্রাজিলকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন এখন।
কীভাবে ইতালির হয়ে খেলার খুব কাছাকাছি গিয়েও সিদ্ধান্ত বদল করেন, সোমবার সাংবাদিক ইসাবেলা প্যাগলিয়ারিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছেন রাফিনিয়া।
“আমি ইতালি জাতীয় দলের ডাকে সাড়া দেওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম। ইতালির ইউরো ২০২০ দলে আমারও থাকার কথা ছিল। আমি দলে জায়গা পাওয়ার পথেই ছিলাম। তবে পাসপোর্টটা সময় মত হাতে না আসায় সেটা আর হয়নি। সেই সময়ে ইতালি জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আমার খোঁজ নিত। জর্জিনিয়ো আমাকে সারাক্ষণ ফোন করত। সেই সময়েও আমার মনে এক শতাংশ আশা ছিল যে আমি ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলব আর সেটাই হয়েছে পরে। কারণ, ভাগ্যক্রমে আমার ইতালিয়ান পাসপোর্টটা সময়মতো প্রস্তুত হয়নি।”
রাফিনিয়া যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন, সেই সময়ে তিনি প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডের হয়ে খেলছিলেন। এরপর ২০২২ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। যদি ২০২১ সালে ইতালির হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে রাফিনিয়া হতেন সেই স্কোয়াডের দ্বিতীয় ব্রাজিল-ইতালির পাসপোর্টধারী খেলোয়াড়। রবের্তো মানচিনির ইউরো জয়ী স্কোয়াডে থাকা মিডফিল্ডার জর্জিনিয়োর বাবা জন্মসূত্রে ব্রাজিলিয়ান।
ইতালির ডাকে সাড়া না দেওয়া রাফিনিয়া ওই বছরই প্রথম ডাক পান ব্রাজিল দলে। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে অভিষেক হয় ২৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের। এর এক সপ্তাহ পর উরুগুয়ের বিপক্ষে করেন জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোল। এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের হয়ে ৩৩টি ম্যাচ খেলে ১১টি গোল করেছেন প্রতিভাবান এই ফুটবলার।
গত কয়েক মাস ধরে চলা গুঞ্জনই সত্যি হল শেষ পর্যন্ত। এই মৌসুমেই লিভারপুলে দীর্ঘ অধ্যায় শেষ হচ্ছে ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
এই মৌসুমের শুরু থেকেই অবশ্য বারবার আলোচনায় আসছিল খবরটি। লিভারপুলের প্রস্তাব নাকচ করে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের চুক্তি নবায়ন না করায় তা একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। আগামী জুনে শৈশবের ক্লাবে শেষ হবে তার চুক্তির মেয়াদ।
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগময় এক ভিডিওতে ২৬ বছর বয়সী আলেকজান্ডার-আর্নল্ড প্রিয় ক্লাবকে বিদায় জানিয়েছেন। “লিভারপুল ফুটবল ক্লাবে ২০টি বছর কাটানোর পর সময় এসেছে এটা নিশ্চিত করার যে এই মৌসুম শেষে আমি চলে যাচ্ছি। অনায়াসেই এটা আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি জানি আপনারা অনেকেই ভাবছেন বা হতাশ হচ্ছেন এই যে কেন আমি আগে এটা নিয়ে আগে কথা বলিনি। তবে সবসময়ই আমার ইচ্ছা ছিল দলের স্বার্থের প্রতি আমার পুরো মনোযোগ ধরে রাখা, যা আমি গত ২০ বছর ধরে করে এসেছি।”
লিভারপুলের একাডেমির থেকে উঠে আসা আলেকজান্ডার-আর্নল্ড খুব দ্রুতই সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। তার বিদায়ের পর এই মৌসুমে এটি আর্ন স্লটের অধীনেও তা অব্যাহত রয়েছে। ক্লাবটির হয়ে এবার সহ দুইবার প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন ইংলিশ ডিফেন্ডার, সাথে রয়েছে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ আরও কিছু শিরোপা।
চলতি মৌসুমে লিভারপুলের কয়েক ম্যাচ হাতে রেখে লিগ জেতায় বড় অবদান রাখা আলেকজান্ডার-আর্নল্ড সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৪১টি, গোল করেছেন ৪টি। আর লিভারপুল ক্যারিয়ারে তার ম্যাচের সংখ্যা ৩৫২টি।
ইংলিশ ও স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের জোর দাবি, রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য এরই মধ্যে সম্মত হয়েছেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, যার মেয়াদ হতে পারে পাঁচ বছরের।
বার্সেলোনার এই দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কে? অধিকাংশের ভোট পড়বে লামিন ইয়ামালের দিকেই। বাকিদের একটা বড় অংশ থাকবে রাফিনিয়া বা রবার্ট লেভানদভস্কির। তবে টনি ক্রুসের মত একজনের চোখ তো খুঁজে বেড়াবে এমন কাউকে, যিনি পাদপ্রদীপের আলোয় না থেকে মূল কাজটা করে দেবেন। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডারের কাছে তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হচ্ছেন পেদ্রি। নিজের পজিশনে তাকে বিশ্ব সেরাও মানছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার।
বার্সেলোনার প্রতিভাবান এই দলে এত এত খেলোয়াড়দের ভিড়, তাতে আসলে প্রায়ই আড়ালে থেকে যান পেদ্রি। চোটের কারণে গত মৌসুমে নিজের সেরা ছন্দে না থাকলে এবার বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের লক্ষ্য রেখে চলেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গোলের পর গোল করে স্পটলাইটটা অবশ্য পাচ্ছেন ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা। তবে মাঝ মাঠে পেদ্রি নিজের কাজটা ঠিকঠাক করছেন বলেই গোলের সামনে ফরোয়ার্ডরা আছেন সেরা ছন্দে।
তবে মুন্দো দেপার্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রুস বললেন, গুরুত্ব বিবেচনায় পেদ্রিই সেরা।
“আমার চোখে পেদ্রির মত একজন খেলোয়াড় এমনকি ইয়ামাল, রাফিনিয়া বা লেভানদভস্কির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের খেলোয়াড়রাই পার্থক্য গড়ে দেয়, অথবা ম্যাচটাকে সেই জায়গায় নিয়ে যায়। এই পজিশনে আমার চোখে পেদ্রি এই মুহূর্তে পেদ্রিই সেরা। আপনি যদি এই মানের একজন খেলোয়াড়কে ছাড়া মাঠে নামেন, তাহলে সেটা চোখে পড়বেই। পেদ্রি হাতেগোনা কয়েকজন মিডফিল্ডারদের একজন, যে কিনা অল্প জায়গার মধ্যেও ড্রিবল করে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। পেদ্রির মত একজন খেলোয়াড় ম্যাচের সব পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করবে।”
এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৪টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন পেদ্রি। নিজে করেছেন ৬টি গোল, আর করিয়েছে ৭টি। মাঠে থেকেছেন ৪ হাজার মিনিটের বেশি। গোল করার চেয়ে মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রের কঠিন কাজটা করছেন বলেই ফ্লিক তাকে যতোটা সম্ভব খেলিয়ে যাচ্ছেন।
জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ক্রুসের কাছে ঠিক এই কারণেই রয়েছে পেদ্রির বাড়তি কদর।
“আপনি যার বিপক্ষেই খেলুন না কেন, পেদ্রি যদি না খেলে তাহলে আপনি তার শূন্যতা টের পাবেন। সে শুধু গোল বা অ্যাসিস্টই করে না। সে সব পরিস্থিতিতে একটা সমাধান বের করে দেয়। এই মৌসুমে পেদ্রি যা যা করছে, সেটা আমার নজরে এসেছে। কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই সে প্রতি ম্যাচে ৫২ বার প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলেছে। আর লা লিগায় প্রতি ম্যাচে সে ৫৯ বার কাজটা করেছে। সে প্রতি ম্যাচে প্রায় ১১-১২ জন ডিফেন্ডারকে ডুয়েলে হার মানায়, একজন মিডফিল্ডারের জন্য এটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।”
বুন্দেসলিগায় রেলিগেশন এড়ানোর লড়াইয়ে থাকা হাইডেনহিমের গোলরক্ষক কেভিন মুলার ও বোচুম ফরোয়ার্ড ফিলিপ হফম্যান চোট থেকে সেরে উঠছেন। দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল দুজনকেই।
গত শনিবার হাইডেনহাইম এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বোচুমের ইব্রাহিমা সিসোসকোর সাথে সংঘর্ষে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন মুলার। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ার আগে লম্বা সময় ধরে তাকে মাঠে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
আর হাইডেনহাইমের মারভিন পিয়েরিংয়ারের সাথে সংঘর্ষে পাঁজরের হাড় ভেঙেছে হাফম্যামের। বোচুম জানিয়েছে, তার চোটটি বেশ গুরুতর ছিল।
দুজনের মধ্যে এই মৌসুমে খেলার সম্ভাবনা আছে কেবল হফম্যানের। তিনি দুই ম্যাচ মিস করবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে মুলার হাইডেনহাইমের হয়ে আবার কবে খেলবেন, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
তাদের চোট পাওয়ার ম্যাচটি ড্র হয় ০-০ স্কোরলাইনে। পয়েন্ট টেবিলে হাইডেনহাইম আছে ১৬তম স্থানে, আর বোচুম ১৮তম।
লম্বা একটা চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে ছিল না তেমন জড়তা। করেছেন দারুণ কিছু সেভও। রিয়াল ভায়াদলিদের বিপক্ষে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হলেও বড় ম্যাচে এখনই তার ওপর ভরসা করতে চাচ্ছেন না বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। মৌসুমের বাকি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে গোলবার সামলানোর দায়িত্ব তাই তিনি দিচ্ছেন ওজেসিচ সেজনিকে।
অথচ মৌসুমের প্রথম ভাগে টের স্টেগানের চোটের সময় সেজনি খেলার মধ্যেই ছিলেন না। অবসরে থাকা সাবেক পোলিশ গোলরক্ষককে বার্সেলোনা দলে টেনেছিল মূলত তার শূন্যতা পূরণের জন্য। তবে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলটির ট্রেবল জয়ের লড়াইয়ে সেজনি রাখছেন বড় অবদান। সাত মাস পর ফেরা টের স্টেগান সম্পূর্ণ ফিট হয়ে দলে ফিরলেও দলের প্রথম গোলরক্ষকের জায়গাটা তাই তার দখলেই থাকছে।
ভায়াদলিদের বিপক্ষে লা লিগার ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচের পর ফ্লিক নিশ্চিত করে দেন দুই গোলরক্ষকের অবস্থান।
“সামনে আমরা দেখব মার্ক কেমন করে, আজ (শনিবার) সে ভালো করেছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবং (লা লিগায়) রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোলপোস্টের নিচে সেজনিই থাকবে।”
সম্প্রতি কোপা দেল রে জয়ী বার্সেলোনার পরবর্তী পরীক্ষা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। ইন্তার মিলানের সাথে প্রথম লেগ ড্র হয়েছিল ৩-৩ গোলে। এই সপ্তাহে ফিরতি লেগের লড়াইয়ের পর আগামী ১১ মে ফ্লিকের দল লা লিগায় খেলবে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে।
এই কারণেই পয়েন্ট টেবিলের ২০তম স্থানে থাকা ভায়াদলিদের বিপক্ষে ৯ পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে এক গোল খেয়ে চাপে পড়ে গেলেও বিরতির পর রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেজের গোলে জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করে বার্সেলোনা।
দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তাই সন্তুষ্ট ফ্লিক।
“আমি হতাশ নই, আপনি যখন অনেক পরিবর্তন করেন, খেলোয়াড়দের পক্ষে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়, তারা সবাই তরুণ। আমি তাদের বিশ্বাস রাখি। দলে অনেক পরিবর্তন আনা হলে লেভেলটা এক থাকে না। লক্ষ্য ছিল তিনটি পয়েন্ট এবং আমি খুশি যে আমরা সেটা পেয়েছি।”
৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৮ দিন আগে