নানা কারণে এই মৌসুমে লা লিগার সাথে বাকযুদ্ধ চলছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার। দুই দলই লিগ কতৃপক্ষকে দুষেছে বাজে সূচির জন্য। এর বাইরে রিয়াল আবার অভিযোগ দায়ের করেছে খোদ লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাসের বিরুদ্ধে, যেখানে দোষী হলে চাকরিও চলে যেতে পারে তার। তবে অতীতের মতোই হুংকার দিয়েছেন তিনি। যথারীতি পাল্টা অভিযোগ চাপিয়েছেন দুই ক্লাবের বিপক্ষে।
সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ফর স্পোর্ট (টিএডি)-তে একটি অভিযোগ দায়ের করে, যেখানে হাই কমিটির সাবেক প্রধান মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল গ্যালান দাবি করেছেন, যদি তেবাসকে টিএডি দোষী সাব্যস্ত করে, তাহলে তাকে বরখাস্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে লা লিগার একটি ইভেন্টে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তেবাস বলেছনে, তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন।
“না, আমি এটা নিয়ে চিন্তিত নই। আমার মনে হয় আমি শাস্তি পাব। আমি বরং টিএডি-তে আমার বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা নিয়ে আমি আরও বেশি চিন্তিত। (রিয়ালের সাথে) মিটিংয়ে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই করা হয়েছে যা ঠিক ছিল না।”
তেবাসের বিরক্তি কেবল রিয়ালের দিকেই থেমে ছিল না অনুষ্ঠানে। সম্প্রতি বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিক সরাসরি লা লিগাকে ঠাসা সূচির জন্য একহাত নেন। তার দাবি, অন্য লিগ ক্লাবগুলোর কথা চিন্তা করলেও ব্যতিক্রম লা লিগা এবং তারা যা যা করে তা ভিত্তিহীন।
ফ্লিককেও তাই ছাড় দেননি তির্যক মন্তব্যের জন্য পরিচিত তেবাস।
“আমরা ফ্লিককে মনে করিয়ে দিতে চাই যে তিনি খুবই বাজে আচরণ করেছেন। আমার প্রশ্ন, তারা কেন ইউয়েফার কাছে এসব বলে না? কেন সব দোষ লিগকেই দেওয়া হয়? তিনি কেন ইউয়েফার কাছে গিয়ে এসব বলতে পারেন না? কেন ইউয়েফাকে সব খেলা বুধবারেই রাখতে হয়? আমাদের লিগের ২০টি দল এবং দ্বিতীয় বিভাগের ২২টি ক্লাবকেও রক্ষা করতে হয়। সবার যাতে ভালো হয়, আমরা সেটাই করি।”
মৌসুম জুড়ে প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলে শিরোপার সুবাস আগে থেকেই পাচ্ছে লিভারপুল। টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়া। হারলেও থাকবে আরও সুযোগ। এমন সহজ সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও কোচ আর্নে স্লট বলছেন, তাদের কাজ বাকি আছে আরও।
আগামী রোববার টটেনহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিভারপুল। গত বুধবার রাতে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে আর্সেনালের ২-২ গোলে ড্রয়ের ফলে স্লটের দলের শিরোপা নিশ্চিতে এই ম্যাচে প্রয়োজন কেবল হার এড়ানো। আর সেটা হলেই দলটি জিতবে নিজেদের ২০তম লিগ শিরোপা, যা স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়, স্টাফ, ভক্ত সর্বোপরি ক্লাবের জন্য রোমাঞ্চকর এক মঞ্চ।
তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে স্লট লড়াইয়ে কোনো ছাড় না দেওয়ার কথাই বললেন। “আমরা জানি, এখনও কাজ বাকি আছে। (চ্যাম্পিয়ন হতে) আমাদের কমপক্ষে একটি পয়েন্ট দরকার। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমাদের ভক্তরা যখন স্টেডিয়ামে আসবে, তখন তারা আমাদের সেভাবেই সমর্থন দেবে, যেভাবে তারা পুরো মৌসুমে দিয়েছে। তবে আমাদের এখনও একটি পয়েন্ট দরকার, এটা ভুলে গেলে চলবে না।”
লিগে ৩৩ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট লিভারপুলের। দুইয়ে থাকা আর্সেনালের ৩৪ ম্যাচে পয়েন্ট ৬৭। ফলে খুব বড় মিরাকেল না ঘটলে কয়েক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা ঘরে তুলবে সালাহ-ফন ডাইকরা।
পাঁচ বছর পর লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রোমাঞ্চ অনুভব করছেন স্লটও। “এটা একটা বিশাল দায়িত্ব। আমরা খুব ভালোভাবেই জানি এই ক্লাবটি শেষবারের মতো কোভিডের সময় লিগ জিতেছিল। সুতরাং সবাই রবিবারের অপেক্ষায় আছে।”
এই মৌসুমে লিভারপুলের দায়িত্ব নিয়েছেল স্লট। তার আগে লম্বা সময় দায়িত্বটা সামলান অভিজ্ঞ জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
কার্লো আনচেলত্তি বারবার রিয়াল মাদ্রিদে থাকার কথা বলে গেলেও চলমান রয়েছে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা। এর মূল কারণ ক্লাবটির তাকে ছাঁটাই করার সম্ভাবনা। আর অতীতে এই ইতালিয়ানকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) চাচ্ছে সুযোগটা কাঝে লাগাতে। ইএসপিএনের দাবি, ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন আনচেলত্তিই।
২০২৪ সালে নিয়োগ পাওয়া দরিভাল জুনিয়রের কোচিংয়ে ব্রাজিলের সময়টা কাটেনি একেবারেই ভালো। কোপা আমেরিক্র পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাজে ফর্মের কারণে গত মাসে তাকে বরখাস্ত করে সিবিএফ। তিনি কোচ হওয়ার আগেও আলোচনায় ছিলেন আনচেলত্তি। সেটা আগে সফল না হলেও সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এবার বেশ আশাবাদী অভিজ্ঞ এই কোচকে পাওয়ার ব্যাপারে।
আর পেছনে মূল কারণ রিয়ালের এই মৌসুমের পারফরম্যান্স। কোপা দেল রের ফাইনালে জায়গা করে নিলেও লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা কমই। সাথে যোগ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে আর্সেনালের কাছে ৫-১ গোলে স্রেফ উড়ে যাওয়ার তেতো অভিজ্ঞতা। তাই ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও এই মৌসুম শেষের আগে বা পরেই আনচেলত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তায় আছে রিয়াল। তার জায়গা নিতে পারেন লেভারকুসেন কোচ জাবি আলোনসো।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে যে, গেল কয়েক সপ্তাহে সিবিএফ প্রতিনিধি এবং আনচেলত্তির প্রতিনিধি টিমের মধ্যে আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে। কাজটা এগিয়ে নিতে একজন এজেন্ট এবং দুজন ব্রাজিলিয়ান মধ্যস্থতাকারী মাদ্রিদে অবস্থান করছেন। তারা আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড আনচেলত্তি এবং কোচের প্রতিনিধিদের সাথে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে, রিয়ালের ডাগআউটে আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সিবিএফ বা আনচেলত্তি কেউই কোনও সিদ্ধান্তের পথে হাঁটবেন না।
২০২২ সালে তিতের বিদায়ের পর থেকে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে সিবিএফ সভাপতি এডনালদো রদ্রিগেজের প্রথম পছন্দ হিসেবে বারবার উঠে আসছে আনচেলত্তির নাম। এবার জোর সম্ভাবনা দেখার কারণ বাতসে ভেসে বেড়ানো গুঞ্জন, যেখানে বলা হচ্ছে কোপা দেল রের ফাইনালে হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে আনচেলত্তির।
আগামী রোববার বার্সেলোনার সাথে ফাইনাল তাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সিবিএফ। আর আনচেলত্তি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি বলেছেন,
“এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। আমরা মৌসুমের শেষে এটি নিয়ে কথা বলব।”
আধুনিক ফুটবলে খেলোয়াড়দের ধূমপান বা মদ্যপানের বিষয়টি নিয়ে এত খোলামেলা কথা বলাটা বেশ অস্বাভাবিক ঘটনাই। তবে বার্সেলোনার গোলরক্ষক ওজসিয়েচ সেজেসনি দেখালেন ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্তই৷ নিজের ধূমপানের প্রতি আসক্তির স্বীকারোক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ভক্তদের তাকে অনুসরণ না করার আকুতিও জানিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী সেজেসনি চলে গিয়েছিলেন অবসরে। তবে গত অক্টোবরে অবসর থেকে ফিরে যোগ দেন বার্সেলোনায়। ২৫ ম্যাচ খেলে হারের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র একবার, যা পোলিশ গোলরক্ষককে বার্সেলোনার সমর্থকদের কাছে করে তুলেছে ভীষণ জনপ্রিয়। তবে ধূমপান করার কথা স্বীকার করার পর থেকে সমর্থকরা নিয়মিতভাবে ‘সেজেসনি ফুমাডোর’ (ধূমপায়ী সেজেসনি) বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেজেসনি অবশ্য জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পেরে খুশি।
“ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে যদি বলেন, দয়া করে কেউ আমাকে অনুসরণ করবেন না। ধূমপান করবেন না। আমি এই লড়াইয়ে হেরে গেছি। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন থেকে আমার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল, যা আমার জন্য খুবই নেতিবাচক। আর আমি সেটা জানতাম। তবে এটার কাছে হেরে গেছি তাই যারা এই অনুষ্ঠান দেখছেন, তাদের বলব আমি যা করেছি আপনারা তা করবেন না।”
সেজেসনির এই অকপট স্বীকারোক্তি বেশ অবাক করা ঘটনাই। কারণ, সচরাচর খেলোয়াড়রা পেশাদারিত্বের তাগিদেই ভীষণ ব্যক্তিগত এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন। স্পর্শকাতর হওয়ায় এমন সব তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসলে খেলোয়াড়দের স্পন্সর বাতিলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে।
এসব উপেক্ষা করেও কেন ধূমপানের বিষয়টি মেনে নিলেন, সেই প্রশ্নে সেজেসনি বলেন, “কারণ আমি রাজনীতিবিদ নই।”
ক্লাবের মালিকানায়া যুক্ত হয়ে দেখেছিলেন বড় স্বপ্ন। তবে ব্রাজিল গ্রেট রোনালদো দি নাজারিও’র জন্য ক্রমেই তা রুপ নিচ্ছে একরাশ হতাশায়। চলতি মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তার মালিকানার ক্লাব রিয়াল ভায়াদোলিদ লা লিগা থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেছে।
ব্রাজিলের ২ বারের বিশ্বকাপ জয়ী স্ট্রাইকার রোনালদোর মালিকানায় যুক্ত হওয়ার পর সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বার রেলিগেশনের শিকার হল ভায়াদোলিদ। লা লিগায় নিজেদের শেষ ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই হেরে যাওয়া ক্লাবটি পয়েন্ট টেবিলে আছে সবার নিচে। ৩৩ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ১৬, জয় চারটি।
রোনালদোর জন্য এটা বড় একটা দুঃসংবাদই। কারণ, চলতি বছরই তিনি বাধ্য হয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। এবার তার ক্লাবও নেমে গেল পরের ধাপে।
যদিও ভায়াদোলিদের মলিন এই পারফরম্যান্সের পেছনে ক্লাবের সমর্থকরা বড় দায় দেখেন রোনালদোরই। তাদের দাবি, ক্লাবটির প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেন না সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। খেলা দেখতে মাঠে আসেন কম, যা ক্ষুব্ধ করেছে তাদের। গুঞ্জন রয়েছে, নিজের অংশের মালিকানা বিক্রির নাকি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রোনালদোর।
যে কারণেই হোক, ভায়াদোলিদের জন্য পুরো মৌসুমটাই ছিল হতাশাময়। গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন দুই কোচ দিয়েগো কোকা এবং পাওলো পেজোলানো। এরপর থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড় ল্যাভারো রুবিও।
ভায়াদোলিদ গত সাত বছরে এর আগে প্রথমবার রেলিগেটেড হয়েছিল ২০২০-২১ মৌসুমে। এরপর আবার ২০২২-২৩ মৌসুমে। দুইবারই অবশ্য পরের মৌসুমে ফের লা লিগায় ফিরে এসেছিল তারা। এবারও ক্লাবটির আশা থাকবে তেমন কিছুরই।
হেতাফের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। প্রথমে চোট খুব একটা গুরতর মনে না হলেও , রিপোর্ট দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। বৃহস্পতিবার রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ওয়েবয়াইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুঁচকির চোটে পড়েছেন কামাভিঙ্গা।
এই চোটে কতদিন কামাভিঙ্গা মাঠের বাইরে থাকবে তা নিশ্চিত করেনি রিয়াল। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ফরাসি এই মিডফিল্ডারকে।। তাতে তার মৌসুম মোটামুটি শেষই বলা যায়। তবে নিজেকে ফিট করে তুলতে পারলে ক্লাব বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যেতে পারে কামাভিঙ্গাকে।
চোট অবশ্য কামাভিঙ্গার জন্য নতুন না। চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে চারবার চোটে পড়েছেন তিনি। খেলেছেন সব মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচ, মিনিটের হিসেবে ২০০০ থেকে কিছুটা বেশি।
একই দিনে চোটে পড়েছেন ডেভিড আলাবাও। তার বদলি হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন কামাভিঙ্গা। এরপর তার পরিণিতিও একই।
চোটের হানা রিয়ালে চলছে মৌসুমজুড়ে। এসিএল চোটে এর আগে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এদের মিলিতাও, দানি কার্ভাহালের। এছাড়া কিলিয়ান এমবাপেও বেশ কয়েকবার পড়েছেন চোটে। দানি সেবায়স, মেন্দিরাও বাদ যায়নি চোটের থাবা থেকে।
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে