গত কয়েকদিনে দলবদলের বাজারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে কেন্দ্র করে। জোর গুঞ্জন রয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে পেতে সৌদি আরবের শীর্ষ কয়েকটি ক্লাব নাকি রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফি ও বেতন দিতে প্রস্তুত। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বাকি প্রস্তাবটি পুরোপুরি বাতিলও করে দেননি। তবে স্প্যানিশ ক্লাবটির কোচ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সবই কেবল উড়ো খবর।
আরও পড়ুন: কোপা আমেরিকার ফরম্যাটে লড়বে রিয়াল মাদ্রিদ-আতালান্তা
গত সোমবার ইএসপিন তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সৌদি আরব থেকে বার্ষিক ৩৫০ মিলিয়ন বেতনের একটি প্রস্তাব পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস। ২০২৭ সাল পর্যন্ত রিয়ালে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও তিনি নাকি এটি বিবেচনা করছেন। আর তাকে ছাড়তে রাজি না হলেও রিয়াল নাকি সৌদি আরবকে জানিয়েছে, তাকে প্রো লিগে নিতে হলে গুনতে হবে ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারের বাই আউট ক্লজ, যা রয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার।
আতালান্তার বিপক্ষে ইউয়েফা সুপার কাপের শিরোপার লড়াইয়ের আগে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেছেন, ভিনিসিয়ুসের রিয়াল ছাড়ার কোনো কারণ নেই। “কিছুই হচ্ছে না। এগুলো স্রেফ গুজব। এই দলবদল শেষ হবে আগামী ৩১ আগস্ট, তার আগ পর্যন্ত জল্পনা-কল্পনা হবেই। অবশ্যই এসব খবর ভিনিসিয়ুসকে প্রভাবিত করবে না। সে এখানে থাকছে, সে এখানেই থাকতে চায়। সে তার সেরাটা দিতে চায় এবং রিয়াল মাদ্রিদকে সাহায্য করতে চায়।”
২০১৮ সালে রিয়ালে যোগ দেন ভিনিসিয়ুস। সময়ের পরিক্রমায় তিনি এখন দলটির আক্রমণভাগের প্রাণ। স্বাদ পেয়েছেন লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ আরও শিরোপার। দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোলও আছে তার।
গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল করেছেন ২৪টি।
১ জুন ২০২৫, ৪:২৪ পিএম
সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াডে তার নাম না দেখে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় তখন তাকে দলের রাখার সুযোগ ছিল না বাফুফের। সেই আক্ষেপ কাটিয়ে শেষ সময়ে এসে কিউবা মিচেলের পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে। ফলে চলতি মাসে এই মিডফিল্ডারের বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের মঞ্চ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন কিউবা।
বর্তমানে ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ড এফসি-এর অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলছেন কিউবা। তার বাবা জামাইকান এবং মা বাংলাদেশি। এই কারণে তিনি ইংল্যান্ড, জামাইকা ও বাংলাদেশ – তিনটি দেশের হয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর মধ্য থেকে তিনি বেছে নেন বাংলাদেশকেই। তার সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বাফুফে শুরু করে তার জন্মসনদ থেকে শুরু করে পাসপোর্ট তৈরির কাজ।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ : টি স্পোর্টসের উদ্যোগে দেশজুড়ে ‘ফ্যান জোন’ |
![]() |
এক ভিডিও বার্তায় সামিত এরপর জানান তার প্রতিক্রিয়া।
“হাই বাংলাদেশ, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছেন। এখন আমিও একজন গর্বিত বাংলাদেশী, ঠিক আপনাদের সবার মত। বাংলাদেশ জাতীয় দলের যাথে যোগ দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আমি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসার জন্য ফ্লাইট ধরব। বাংলাদেশে এসে ভক্তদের দেখার জন্য আমার তর সইছে না। দেখা হবে মাঠে।”
কিউবা তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম সিটির যুব দলের হয়ে। ২০২২ তিনি সান্ডারল্যান্ড এফসি-এর অনূর্ধ্ব-২১ দলে যোগ দেন। প্রতিভার সাক্ষর রেখে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তার সাথে পেশাদার চুক্তি করেচ ক্লাবটি।
চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কিউবার সাথে সাথে যোগাযোগ করে তাকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে তার এজেন্টদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে, কিউবা বাংলাদেশের খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
মেসি-রোনালদোরাও যা পারেননি, তাই করলেন দুয়ে |
![]() |
এরপরই যত দ্রুত সম্ভব তার পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করে দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশেষে রোববার সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ায় কিউবার বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার পথ সুগম হয়।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হবে কিউবার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে যে তাকে নিয়ে আলোচনা ছিল না, তা নয়। তবে উসমান দেম্বেলে, ভিতিনিয়ারা যেভাবে আলো কাড়ছিলেন, তাতে অনেকটাই আড়ালে চলে গিয়েছিলেন ডেজিরে দুয়ে। তবে মোক্ষম সময়েই কেড়ে নিয়েছেন স্পটলাইট। ইন্তার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির ইতিহাস গড়া জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গড়েছেন এমন এক কীর্তি, যা নেই ইতিহাসের গ্রেট সব ফুটবলারদেরও।
ফাইনালের আগেই অবশ্য নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন দুয়ে। ১৫ ম্যাচে নামের পাশে ছিল ১৪ গোল আর ৩ অ্যাসিস্ট। তবে ফাইনালে যেন নিজেকে বিশ্বমঞ্চে মেলে ধরার বাড়তি তাগিদ ছিল তার।
আরও পড়ুন
আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিহাস গড়ার : এনরিকে |
![]() |
আশরাফ হাকিমিকে দিয়ে প্রথম গোল করানোর পর বিরতির আগে নিজেও পান জালের দেখা। এই গোলটি তাকে জায়গা করে অনন্য রেকর্ড বুকে। ১৯ বছর ৩৬২ দিন বয়সে দুয়ে হন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ইতিহাসের চতুর্থ কনিষ্ঠ গোলস্কোরার। তার আগে এই কীর্তি ছিল কেবল প্যাট্রিক ক্লুভার্ট (১৯৯৫) ও কার্লোস আলবার্তোর (২০০৪)।
এই গোল ফরাসি সেনসেশনকে জায়গা করে দেয় রেকর্ডের এমন পাতায়, যেখানে নেই ফুটবল মেসি-রোনালদোরাও।। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ফাইনালে গোল ও অ্যাসিস্ট উভয়ই করা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় দুয়েই।
আর বিরতির পর আরেকটি গোল করে দুয়ে গড়েন নতুন ইতিহাস। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সরাসরি তিন গোলে সরাসরি অবদান (২ গোল, ১ অ্যাসিস্ট) রাখার রেকর্ড সঙ্গী হয় তার।
আরও পড়ুন
আবেগময় ম্যাচে মেয়ের হয়েও শিরোপা জিতলেন এনরিকে |
![]() |
২১ শতকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে দুই বা তার বেশি গোল করা খেলোয়াড়দের ছোট তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন দুয়ে। তার আগে এই কীর্তি ছিল কেবল ছয় জনের। তারা হলেন - হার্নান ক্রেসপো (ইন্তার মিলান, ২০০৪/০৫), ফিলিপ্পো ইনজাগি (এসি মিলান, ২০০৬/০৭), দিয়েগো মিলিতো (এসি মিলান, ২০০৯/১০) , ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৬/১৭) ও গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৭/১৮)।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্তার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির জয় নিশ্চিতের আগে থেকেই ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়েছিল সহিংসতা। প্রথমবারের মত এই শিরোপা জয়ে আনন্দ উদযাপন এক পর্যায়ে দেশটিতে সীমা ছাড়িয়ে গেছে। উদযাপনের এই আবহে দেশজুড়ে অস্থিরতা দেখা দিলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে দুজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
আর নাশকতার দায়ে ৫৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ইন্তারকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হয়েছে পিএসজি। সেটা উদযাপন করতে গিয়ে প্যারিস সহ পুরো ফ্রান্সেই আতশবাজি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থির হয়ে যায়। ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন দাঙ্গায় ২০০টিরও বেশি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিহাস গড়ার : এনরিকে |
![]() |
দক্ষিণ ফ্রান্সের দেক্স শহরে ছুরিকাঘাতে ১৭ বছর বয়সী একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর গ্রেনোবলে মধ্যরাতের পর উদযাপনের সময় একটি পরিবারের চারজন সদস্য গুরুতর আহত হন। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মিউনিখের অ্যালিয়ান্জ অ্যারেনায় ফাইনাল শেষ হতেই রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলসহ বিভিন্ন শহরে উল্লাস করতে জনতা রাস্তায় নেমে আসে। উদযাপনের শুরুতে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করা হলেও দ্রুতই তা রূপ নেয় বিশৃঙ্খলায়। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
পিএসজির ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে ম্যাচের পর ভক্তদের প্রতি জানান আকুতি।
“আমাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় অবশ্যই প্যারিসের জন্য একটা বিশেষ মুহূর্ত। তবে আমি বলতে চাই, আমরা উদযাপন করি, তবে প্যারিসকে যেন ধ্বংস না করি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার মাঝে ফেলে রাখা অসংখ্য বাইকে আগুন জ্বলছে, আবার আতশবাজি ছোঁড়া হচ্ছে ভীড়ের মাঝখানেই। এছাড়া প্যারিসের রিং রোডের সামনে পুলিশের সঙ্গে ভক্তদের সংঘর্ষের ঘটনাও ভিডিওতে ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন
হারলেও ইন্তারের নিবেদন নিয়ে গর্বিত ইনজাগি |
![]() |
ফ্রান্স সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্যারিস জুড়ে প্রায় ৫ হাজার ৪০০ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে। দেশটির প্রশাসন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং উদযাপনের নামে সব ধরণের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।
তারকার হাট বসিয়েও বছরের পর বছর যার দেখা পায়নি, দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই পিএসজিকে সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন লুইস এনরিকে। একটা তারকাহীন, তরুণ দল নিয়েই তিনি চমক দেখিয়ে করেছেন বাজিমাত। এর রহস্য কী? পিএসজি কোচ জানালেন, ইতিহাস গড়ার বাসনাই তাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
ইন্তার মিলানের সাথে ফাইনালের আগেও অবশ্য ইতিহাস গড়ার কথা বলেছিলেন এনরিকে। কারণ, তিনি আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেলেও পিএসজির জন্য তা এতদিন ছিল অধরাই। তবে যাদুর পরশে প্যারিসের ক্লাবটিকে বদলে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সাথে রেকর্ড গড়েছেন ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল জয়ের মধ্য দিয়েও।
আরও পড়ুন
আবেগময় ম্যাচে মেয়ের হয়েও শিরোপা জিতলেন এনরিকে |
![]() |
ফাইনালে ৫-০ গোলে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত এনরিকে মনে করেন, চাপের মুহূর্তে ভেঙে না পড়াই তার দলের মূল শক্তির জায়গা।
“আমি মনে করি মৌসুমের শুরু থেকেই ইতিহাস গড়াই ছিল আমাদের লক্ষ্য। তখন থেকেই আমি খেলোয়াড় আর সমর্থকদের সাথে একটা গভীর সম্পর্ক অনুভব করেছিলাম। এটা ছিল খুব মজবুত একটা সম্পর্ক, যা পুরো মৌসুমজুড়েই ছিল আমাদের চলার পথের শক্তি। আমরা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত এবং চাপকে সবচেয়ে ভালোভাবে সামলাতে পেরেছি বলেই ধরা দিয়েছে এই সাফল্য।”
ফাইনালে ইতিহাস গড়েছেন এনরিকেও। পেপ গার্দিওলার পর মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জেতার কীর্তি এখন তার। এর আগে তিনি ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে। আর এবার দায়িত্ব নিয়েই উঠলেন নতুন উচ্চতায়।
তারকা ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির কাছে এনরিকে তাদের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারিগর।
“আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা সবাই মিলে একটা দারুণ পরিবার তৈরি করেছি। লুইস এনরিকে পিএসজিতে সবকিছু রাতারাতি বদলে দিয়েছেন। তিনি আসার পর থেকে আমাদের ফুটবল দেখার দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে গেছে। তিনি একজন বিশ্বস্ত মানুষ, এই সাফল্য তারই সবচেয়ে বেশি প্রাপ্য।”
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে