দিনের হিসেবে একদিন, তারপরেই বেজে যাবে ইউরো শুরুর ঘণ্টা। ইউরোর উদ্দেশ্যে জার্মানি সেজেছে নতুন রূপে। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর আবারও দেশটিতে যে শুরু হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবল মহরণ। তার আগে কাঁটাছেড়া করে নেওয়া যাক গ্রুপ গুলোর।
এই পর্বে থাকছে গ্রুপ ‘ডি’ :
ফ্রান্স
ইউরোর আরেক ‘হট ফেভারিট’ দল ফ্রান্স। স্কোয়াডের গভীরতা কিংবা শক্তিমত্তার বিচারে ইউরোর এই আসরের সবার চেয়ে এগিয়ে ফ্রান্স। আক্রমণভাগ কিংবা মিডফিল্ডে, ডিফেন্স সবখানেই তারকায় ভরপুর। অবস্থা এমন ফ্রান্সের দূর্বলতা খুঁজে বের করাই এখন মুশকিল কাজ। অবশ্য গেল আসরেও ফ্রান্স এমন শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে বাদ পড়েছে শেষ ষোলো থেকে। বড় অঘটন না ঘটলে দলটাকে আটকানো যে কোনো দলের জন্যই কঠিন কাজ। পরপর দুটি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলা কিলিয়ান এমবাপেরা ইউরোয় এবার মাঠে নামবেন শিরোপার অন্যতম দাবিদার দল হিসেবেই।
নেদারল্যান্ডস
রোনাল্ড কুমান দ্বিতীয় মেয়াদে এখন আছেন ডাচদের দায়িত্ব। দলটাকে ঘুছিয়েও নিয়েছেন ভালোভাবে। শেষ দুই প্রীতি ম্যাচের ফলটাও বেশ ভালো। তবে শেষ মূহর্তে মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ছিটকে যাওয়া কিছুটা হলেও তাদের চিন্তার কারণ হতে পারে। ডিফেন্স লাইনটা বেশ শক্তই তাদের। যেখানে মূল দায়িত্ব থাকবে ফন ডাইকের ওপর। মিডফিল্ড পুরটাই ছিল ডি ইয়ংয়ের ওপর নির্ভর, তার অনুপস্থিতিতে পিএসভির হয়ে দারুণ মৌসুম কাটানো জোই বিরম্যানকে নিতে হতে পারে গুরু দায়িত্ব। শক্তিমত্তা বিবেচনায় গ্রুপের দ্বিতীয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ডাচদের।
পোল্যান্ড
পালা বদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পোল্যান্ড। তার মাঝে চোট সমস্যা পোল্যান্ডের জন্য হতে পারে বড় চিন্তার কারণ। অধিনায়ক রবার্ট লেভানডফস্কি কিংবা করোল সুইডারস্কিকে নিয়ে আছে শঙ্কা। শক্তিমত্তা বিবেচনায় দলটা এই কঠিন গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা যায়।
অস্ট্রিয়া
ইউরোর এই আসরের আরেক ডার্ক হর্স ধরা হচ্ছে অস্ট্রিয়াকে। রালফ রাংনিকের অধীনে দলটা চমক জাগানিয়া ফুটবলই খেলছে। অধিনায়ক ডেভিড আলাভার অনুপস্থিতি তাদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে লাইমার কিংবা সাবিতজারের মতো তরুণরা আছেন এই দলে।
সেই সাথে রাংনিকের হাই প্রেসিং ফুটবল দলটাকে বেশ শক্তিশালীই করে তুলেছে। নেদারল্যান্ডস কিংবা ফ্রান্সের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে তারা।
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১:১৮ পিএম
এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে শেষ হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তি অধ্যায়, এই খবর পুরনো হলেও কবে আর কীভাবে সেটা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা রয়েছে চলমান। কারণ, তার এই চাকরি ছাড়ার সাথেই যে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন কোচ হওয়ারও। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই রিয়ালের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) আশা, আগামী জুনে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ পরিচালনা করার লক্ষ্যে এর আগেই আনচেলত্তিকে যথাসময়ে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।
আনচেলত্তি এবং ব্রাজিলের মধ্যে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার ইতিবাচক হয়েছে বলেই খবর। ইএসপিএনের দাবি, ৬৫ বছর বয়সী এই কোচ সিবিএফকে জানিয়েছে দিয়েছেন যে, তার আগমনের ব্যাপারে এখন থেকে পরিকল্পনা শুরু করতে পারেন তারা।
আনচেলত্তির প্রতিনিধি দল ও তার ছেলে ডেভিড আনচেলত্তির সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিবিএফ আশাবাদী, আনচেলত্তি আগামী ২৬শে মে রিও ডি জেনিরোতে থাকবেন। উল্লেখ্য, এর দুই দিন আগে রিয়াল এই মৌসুমে তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে লা লিগায়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রিয়ালের সাথে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ আনচেলত্তি মৌসুম শেষে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে আলোচনায় বসবেন। এও বলা হয়েছে, নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচকে রিয়াল বিদায় জানাতে চায় রাজসিকভাবে। তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি করা হতে পারে ক্লাবের এম্বাসেডরও।
ফলে আনচেলত্তির জন্য সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটা খুব একটা মন্দ হচ্ছে না। কোচ না থাকলেও যে প্রিয় ক্লাবের সাথে যুক্ত থাকছেন তিনি। অন্যদিকে ব্রাজিল তাকে যে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা নাকি দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে লোভনীয় অর্থের চুক্তি হতে যাচ্ছে। সাথে যোগ হচ্ছে একঝাক প্রতিভাবান ফুটবলারদের নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দারুণ এক সুযোগ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের বিদায়ের পর থেকেই বাতাসে ভাসছিল গুঞ্জন। কোপা দেল রের ফাইনালে হারের পর কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়াটা একরকম নিশ্চিতই হয়ে গেছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে তাকে কোচ হিসেবে পেতে চাওয়া ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) জোরেশোরেই চালিয়ে যাচ্ছে আলোচনা। ইএসপিএন তো একধাপ এগিয়ে দাবি করছে, দুই পক্ষের আলোচনা নাকি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। অপেক্ষা কেবল চলতি মৌসুম শেষ হওয়ার।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রিয়ালের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজের সাথে আলোচনায় বসবেন আনচেলত্তি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করলেও দুই পক্ষই এগিয়ে যাচ্ছে যৌথ সম্মতিতে সেটা বাতিলের।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গিয়েও খুশি হতে পারছেন না গার্দিওলা |
![]() |
গত রোববার কোপার ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় রিয়াল। এর আগে আর্সেনালের কাচে ৫-১ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে বিদায় নেয় আনচেলত্তির দল। আর লা লিগায় হাতে পাঁচ ম্যাচ রেখে বার্সেলোনার চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে আছে দুইয়ে।
বাজে এক মৌসুমের পর আনচেলত্তিকে আর ধরে রাখার দিকে রিয়াল যেতে চাচ্ছে না বলেই খবর ইউরোপের সব শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের। ২০২৪ সালে এক দফায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া সিবিএফ তাই ফের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিজ্ঞ এই কোচকে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার। সেই লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে আনচেলত্তির সাথে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে সিবিএফ। অপেক্ষা কেবল রিয়ালের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার।
দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২১ সালে রিয়ালের কোচ হওয়া আনচেলত্তির হাত ধরে রিয়াল পেয়েছে দারুণ কিছু সাফল্য। সব মিলিয়ে দুই মেয়াদে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি লা লিগা জিতে তিনি এরই মধ্যে হয়ে গেছেন রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ। ইএসপিএন তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লা লিগা রিয়ালের শেষ ম্যাচের পরই হয়ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ |
![]() |
গত ১৯ এপ্রিল আনচেলত্তি বলেছিলেন, মৌসুম শেষে তিনি ও ক্লাব তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি রিয়ালের দায়িত্বে থাকবেন কিনা, সেটা নিয়েও তখন জানান অনিশ্চয়তার কথা।
এফএ কাপের সেমিফাইনালের আগে বলেছিলেন, এটি জিতলে ম্যানচেস্টার সিটি বড় ক্ষতি এড়াতে পারবে। নটিংহাম ফরেস্টকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর অবশ্য তেমন উচ্ছ্বাসে ভাসছেন না পেপ গার্দিওলা। অভিজ্ঞ এই কোচ বলেছেন, এই শিরোপা জয় করলেও তারা নিজেদের মানের কাছাকাছি যেতে পারবেন না।
গত রোববার ওয়েম্বলিতে ফরেস্টকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে টানা তৃতীয়বারের মত এফএ কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সিটি, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেস। প্রিমিয়ার লিগে খোয়ানো সিটি আগেই বাদ পড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কারাবাও কাপ থেকেও। ফলে এফএ কাপই তাদের একমাত্র ভরসা এখন।
আরও পড়ুন
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ‘খুব কাছাকাছি’ আনচেলত্তি |
![]() |
সংবাদ সম্মেলনে সিটির লিগে শীর্ষ পাঁচে থেকে শেষ করা এবং এফএ কাপ জয় একটি সফল মৌসুমে পরিণত করবে কিনা, প্রশ্ন করা হলে গার্দিওলা বলেন, “একেবারেই না।”
সাবেক বার্সেলোনা কোচ এরপর তুলে ধরেন এটা বলার কারণটাও।
“আমাদের জন্য এই মৌসুমটা ভালো যায়নি। আমরা লিভারপুলের চেয়ে এক হাজার মিলিয়ন পয়েন্ট পিছিয়ে আছি। এটা ভালো নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকে তাকান। আমরা কয়টা ম্যাচ জিতেছি? একটি বা দুটি ম্যাচ? আমরা সবসময় একটা মেশিনের মত ছিলাম এবং আমরা দল হিসেবে ভালো ছিলাম না। পরের মৌসুম যাতে ভালো হয়, সেজন্য ক্লাবকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
ফরেস্টের বিপক্ষে সিটির জয়ের দিন একই সময়ে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় লিভারপুল। আর আর্নে স্লটের দল কাজটা করেছে চার ম্যাচ হাতে রেখেই। ৮২ পয়েন্ট নিয়ে তারা যখন শিরোপা উৎসব করছে, তখন গার্দিওলার দলকে লড়তে হচ্ছে সেরা চারে থাকার জন্য৷ আপাতত অবস্থান তৃতীয় (৬১ পয়েন্ট)।
লিভারপুলের জার্সিতে এর আগে একবার স্বাদ পেয়েছিলেন প্রিমিয়ার লিগ জয়ের। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে সেই জয়ের মঞ্চ ও উদযাপন দুটিই ছিল একেবারেই অন্যরকম। এই মৌসুমে ফের লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মোহামেদ সালাহ তাই অনুভব করছেন আবেগের ভিন্নতা। মিশরীয় তারকা মনে করেন, তাদের এবারের জয়টি আগের চেয়ে বেশি স্পেশাল।
এবারের আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে শেষবার লিগ জিতেছিল লিভারপুল। তবে বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারী ছড়িয়ে পড়ার কারণে টানা না খেলে বিরতি দিয়ে মৌসুমের নির্ধারিত সময়ের পর চলেছিল লিগের লড়াই। নানা বাধ্যবাধকতার সাথে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলেই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ফলে ছিল না বাড়তি আনন্দময় আবহ। তবে এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। অ্যানফিল্ডে দর্শকদের উপস্থিতিতে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে দলটি।
আরও পড়ুন
রেফারিকে আক্রমণের পর ক্ষমা চাইলেন রুডিগার |
![]() |
ম্যাচের পরে স্কাই স্পোর্টসকে সালাহ তাই শুনিয়েছেন বাড়তি ভালো লাগার কথা।
“আমাদের ভক্তদের সাথে শিরোপার আনন্দ ভাগাভাগি করা এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। এটা গতবারের তুলনায় (২০২০ সাল) বিশেষ করে ভক্তদের কথা চিন্তা করর শতভাগ ভালো। আর্সেনাল-ক্রিস্টাল প্যালেসের ম্যাচটি দেখার সময় আমি চাইনি খেলেই আমাদের শিরোপা নিশ্চিত হোক। আমি এমন একটি অভিজ্ঞতা চেয়েছি, যা আমাদের আগে ছিল না।”
ম্যাচের পর লিভারপুল কোচ আর্ন স্লট এবং খেলোয়াড়রা প্রায় এক ঘন্টা মাঠে অবস্থান করেন অ্যানফিল্ডের হাউজফুল দর্শকদের সাথে। সালাহকে দেখা যায় হাসি মুখে ঘুরে ঘুরে সমর্থকদের সাথে ছবি তুলতে।
পারফরম্যান্স নিয়েও এই মৌসুমে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন সালাহ। টটেনহ্যাম ম্যাচে একটি গোল করেন এই তারকা ফরোয়ার্ড, যা ছিল লিগে তার ২৮তম গোল। এর মাধ্যমে ম্যানচেস্টার সিটির কিংবদন্তি সার্জিও আগুয়েরোকে ছাড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে বিদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
কোপা দেল রের ফাইনালে ‘অনিশ্চিত’ লেভানদভস্কি |
![]() |
এই মৌসুমে নিজের ও ক্লাবের দারুণ ফর্মের জন্য কোচ স্লটের প্রশংসা করেছেন সালাহ।
“কাজের ব্যাপারেতিনি খুব সৎ। ডাচরা বেশ শক্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। তবে তিনি আমাদের জীবনকে আরও সহজ করেছেন। আমি আনন্দিত যে আমরা এখানে (অ্যানফিল্ডে) লিগ জিতেছি।”
দরকার ছিল কেবল একটা ড্র, তবে অ্যানফিল্ডে প্রথম মিনিট থেকেই টটেনহ্যাম হটস্পারকে চাপে রাখল লিভারপুল। শুরুতে গোল খেলেও আক্রমণের ঢেউ তুলে বিরতির আগেই হল তিন গোল। উৎসবের আমেজে এরপর নিশ্চিত হল বড় জয়, সাথে পাঁচ বছর পর প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ। লিভারপুলের কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই লিগ শিরোপার স্বাদ পেলেন আর্নে স্লট।
অ্যানফিল্ডে রোববারের ম্যাচে লিভারপুল জিতেছে ৫-১ গোলে। ২০১৯-২০ মৌসুমের পর এটি দলটির প্রথম লিগ শিরোপা। ৩৪ ম্যাচে স্লটের দলের ২৫ জয়ে পয়েন্ট ৮২। দুইয়ে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৭।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টটেনহ্যামের বিপক্ষে শেষ ১৬টি হোম ম্যাচে এটি লিভারপুলের ১২তম জয়। এর মধ্যে এই ম্যাচের আগের তিনটিতেও ছিল চার গোলের ব্যবধানে জয়।
আরও পড়ুন
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ‘খুব কাছাকাছি’ আনচেলত্তি |
![]() |
লিভারপুলের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ ২৫ ম্যাচে এটি টটেনহ্যামের ১৭তম হার। লিগে দলটির বিপক্ষে ১৯ ম্যাচ ধরে ক্লিন শিট ধরে রাখতে ব্যর্থ হল স্পার্সরা।
সব মিলিয়ে টটেনহ্যাম এই মৌসুমে লিভারপুলের বিপক্ষে ১৫ টি গোল হজম করেছে। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম দেখায় ৬-৩ গোলের পর লিগ কাপের সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে হেরে যায়।
এই জয়ে চার ম্যাচ হাতে রেখেই গত মৌসুমের চেয়ে লিগে বেশি ম্যাচ জিতল লিভারপুল (২৫)। এরই মধ্যে দলটি অর্জন করে ফেলেছে গত মৌসুমের সমান সংখ্যক পয়েন্ট।
তৃতীয় মিনিটে ডান দিক দিয়ে কাট করে সতীর্থের সাথে পাস দেওয়া-নেওয়া করে শট নিয়েছিলেন, তবে থাকেনি লক্ষ্যে। সাত মিনিট পর ভার্জিল ফন ডাইকের ক্রস থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়ে কোডি গাকপোর শট ফিরিয়ে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক।
নিজেদের বলার মত প্রথম আক্রমণেই লিভারপুলকে চমকে দেয় টটেনহ্যাম। ১২তম মিনিটে ডান দিক থেকে মেডিনসনের ক্রস বক্সের ভেতর খুঁজে নেয় ডমিনিকো সোলানকেকে। নিখুঁত এক হেডারে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করতে ভুল হয়নি তার।
এর খানিক বাদেই সমতা টানে লিভারপুল। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠে ডমিনিক সিজোবস্লাই বাড়ানো বল থেকে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন লুইস দিয়াস, তবে অফসাইডের পতাকা উঠে যায়।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গিয়েও খুশি হতে পারছেন না গার্দিওলা |
![]() |
এরপর সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে দেখা যায়, সিজোবস্লাই অফসাইড ছিলেন না। ফলে গোল পেয়ে যান দিয়াস, আর লিভারপুল পায় ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ।
১৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে মোহামেদ সালাহর পাস থেকে বল জালে পাঠিয়েও হতাশ হতে হয় গাকপোকে, কারণ অফসাইড ছিলেন মিশরীয় তারকা। দ্বিতীয় গোলের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্লটের দলকে।
২৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে রায়ান গ্রাভেনবার্চের কাছ থেকে বল পেয়ে জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোড়াল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।
৩৪তম মিনিটে লিভারপুল শিবিরে আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে গোলের দেখা পান গাকপো। এখানেও জড়িয়ে ম্যাক অ্যালিস্টারের নাম। তার কর্নার থেকে বল পেয়ে ১৫ গজ দূর থেকে দারুণ ফিনিশিং দেন এই ডাচ ফরোয়ার্ড৷ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ ম্যাচের মধ্যে এটি তার প্রথম গোল।
বিরতির পরও একচেটিয়া আক্রমণ চালিয়ে যায় লিভারপুল৷ সেই ধারায় ৬৩তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন সালাহ। এরপর ডেসটিনি উদোগুয়ের আত্মঘাতী গোলে বিশাল হার নিশ্চিত হয় টটেনহ্যামের।
গত সেপ্টেম্বরে নটিংহাম ফরেস্টের কাছে ১-০ ব্যবধানে হারার পর থেকে লিভারপুল তাদের শেষ ২৯টি প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটি খেলায় কমপক্ষে একবার স্কোর করেছিল। এবার সেটা তারা নিয়ে গেল ৩০ ম্যাচে। ২০০১-০২ মৌসুমে আর্সেনালের ৩৮ ম্যাচে টানা গোলের পর এটাই সবচেয়ে বেশি এক টানা গোলের রেকর্ড।
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে