চোটের কারণে খেলতে পারেননি তারকা ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানদভস্কি। মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচে কয়েকজনকে বিশ্রামও দিয়েছেন হান্সি ফ্লিক। সেই কারণেই কিনা, লা লিগার এই ম্যাচটিতে আক্রমণের ঢেউ তুলেও জালের দেখা পেতে গলগধর্ম অবস্থা হয়ে গিয়েছিল দলটির। শেষ পর্যন্ত ত্রাতা হয়েছেন দানি ওলমো, এনে দিয়েছেন জয়। আক্রমণে এমন মলিন পারফরম্যান্স স্বত্ত্বেও খুব একটা হতাশ নন বার্সেলোনা কোচ।
বিরতির পর ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ওলমো, যা বার্সেলোনাকে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে দিয়েছে। যদিও কাজটা মোটেও সহজ ছিল না, কারণ এই একটা গোল পেতে মোট ৪০টি শট নিতে হয়েছে দলটির খেলোয়াড়দের। লা লিগায় এর আগে ২০১১ সালে রিয়াল জারাগোজার বিপক্ষেও রেকর্ড ৪০টি শট নিয়ে একটি গোলের দেখা পেয়েছিল বার্সেলোনা।
তবে ম্যাচের পর ফ্লিককে দেখা গেছে ইতিবাচক সুরেই। “সব মিলিয়ে ৪০টার মত শট ছিল, হয়ত সব লক্ষ্যে ছিল না। তবে ৪০টা শট তো ছিল। আমরা যেভাবে খেলেছি, সেটা আসলেই ভালো ছিল। আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। অবশ্যই আমরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি, তবে এত এত পরিবর্তনের পর একটা ক্লিন শিট ধরে রাখা, ১-০ গোলে জেতা… দল আজকে যেভাবে খেলেছে আমাকে এর প্রশংসা করতেই হবে।”
প্রথমার্ধে যেভাবে বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হচ্ছিল, তাতে শঙ্কা জাগছিল ড্রয়ের। প্রথম ৪৫ মিনিটেই দলটি গোলের জন্য নেয় ২৪টি শট। পোষ্টের নিচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক লিও রোমান, যিনি মোট ১২টি সেভ করেছেন।
এছাড়াও গোলপোস্টে বাধাপ্রাপ্ত হয় গাভির শট। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৪৬ সেকেন্ডের মাথায় দারুণ এক ফিনিশিংয়ে গোল করেন ওলমো। এই মৌসুমে বার্সেলোনার পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ১০ বা তার বেশি গোল করেছেন এই স্প্যানিশ উইঙ্গার।
কার্লো আনচেলত্তি বারবার রিয়াল মাদ্রিদে থাকার কথা বলে গেলেও চলমান রয়েছে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা। এর মূল কারণ ক্লাবটির তাকে ছাঁটাই করার সম্ভাবনা। আর অতীতে এই ইতালিয়ানকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) চাচ্ছে সুযোগটা কাঝে লাগাতে। ইএসপিএনের দাবি, ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন আনচেলত্তিই।
২০২৪ সালে নিয়োগ পাওয়া দরিভাল জুনিয়রের কোচিংয়ে ব্রাজিলের সময়টা কাটেনি একেবারেই ভালো। কোপা আমেরিক্র পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাজে ফর্মের কারণে গত মাসে তাকে বরখাস্ত করে সিবিএফ। তিনি কোচ হওয়ার আগেও আলোচনায় ছিলেন আনচেলত্তি। সেটা আগে সফল না হলেও সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এবার বেশ আশাবাদী অভিজ্ঞ এই কোচকে পাওয়ার ব্যাপারে।
আর পেছনে মূল কারণ রিয়ালের এই মৌসুমের পারফরম্যান্স। কোপা দেল রের ফাইনালে জায়গা করে নিলেও লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা কমই। সাথে যোগ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে আর্সেনালের কাছে ৫-১ গোলে স্রেফ উড়ে যাওয়ার তেতো অভিজ্ঞতা। তাই ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও এই মৌসুম শেষের আগে বা পরেই আনচেলত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তায় আছে রিয়াল। তার জায়গা নিতে পারেন লেভারকুসেন কোচ জাবি আলোনসো।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে যে, গেল কয়েক সপ্তাহে সিবিএফ প্রতিনিধি এবং আনচেলত্তির প্রতিনিধি টিমের মধ্যে আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে। কাজটা এগিয়ে নিতে একজন এজেন্ট এবং দুজন ব্রাজিলিয়ান মধ্যস্থতাকারী মাদ্রিদে অবস্থান করছেন। তারা আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড আনচেলত্তি এবং কোচের প্রতিনিধিদের সাথে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে, রিয়ালের ডাগআউটে আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সিবিএফ বা আনচেলত্তি কেউই কোনও সিদ্ধান্তের পথে হাঁটবেন না।
২০২২ সালে তিতের বিদায়ের পর থেকে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে সিবিএফ সভাপতি এডনালদো রদ্রিগেজের প্রথম পছন্দ হিসেবে বারবার উঠে আসছে আনচেলত্তির নাম। এবার জোর সম্ভাবনা দেখার কারণ বাতসে ভেসে বেড়ানো গুঞ্জন, যেখানে বলা হচ্ছে কোপা দেল রের ফাইনালে হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে আনচেলত্তির।
আগামী রোববার বার্সেলোনার সাথে ফাইনাল তাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সিবিএফ। আর আনচেলত্তি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি বলেছেন,
“এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। আমরা মৌসুমের শেষে এটি নিয়ে কথা বলব।”
আধুনিক ফুটবলে খেলোয়াড়দের ধূমপান বা মদ্যপানের বিষয়টি নিয়ে এত খোলামেলা কথা বলাটা বেশ অস্বাভাবিক ঘটনাই। তবে বার্সেলোনার গোলরক্ষক ওজসিয়েচ সেজেসনি দেখালেন ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্তই৷ নিজের ধূমপানের প্রতি আসক্তির স্বীকারোক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ভক্তদের তাকে অনুসরণ না করার আকুতিও জানিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী সেজেসনি চলে গিয়েছিলেন অবসরে। তবে গত অক্টোবরে অবসর থেকে ফিরে যোগ দেন বার্সেলোনায়। ২৫ ম্যাচ খেলে হারের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র একবার, যা পোলিশ গোলরক্ষককে বার্সেলোনার সমর্থকদের কাছে করে তুলেছে ভীষণ জনপ্রিয়। তবে ধূমপান করার কথা স্বীকার করার পর থেকে সমর্থকরা নিয়মিতভাবে ‘সেজেসনি ফুমাডোর’ (ধূমপায়ী সেজেসনি) বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেজেসনি অবশ্য জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পেরে খুশি।
“ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে যদি বলেন, দয়া করে কেউ আমাকে অনুসরণ করবেন না। ধূমপান করবেন না। আমি এই লড়াইয়ে হেরে গেছি। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন থেকে আমার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল, যা আমার জন্য খুবই নেতিবাচক। আর আমি সেটা জানতাম। তবে এটার কাছে হেরে গেছি তাই যারা এই অনুষ্ঠান দেখছেন, তাদের বলব আমি যা করেছি আপনারা তা করবেন না।”
সেজেসনির এই অকপট স্বীকারোক্তি বেশ অবাক করা ঘটনাই। কারণ, সচরাচর খেলোয়াড়রা পেশাদারিত্বের তাগিদেই ভীষণ ব্যক্তিগত এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন। স্পর্শকাতর হওয়ায় এমন সব তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসলে খেলোয়াড়দের স্পন্সর বাতিলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে।
এসব উপেক্ষা করেও কেন ধূমপানের বিষয়টি মেনে নিলেন, সেই প্রশ্নে সেজেসনি বলেন, “কারণ আমি রাজনীতিবিদ নই।”
ক্লাবের মালিকানায়া যুক্ত হয়ে দেখেছিলেন বড় স্বপ্ন। তবে ব্রাজিল গ্রেট রোনালদো দি নাজারিও’র জন্য ক্রমেই তা রুপ নিচ্ছে একরাশ হতাশায়। চলতি মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তার মালিকানার ক্লাব রিয়াল ভায়াদোলিদ লা লিগা থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেছে।
ব্রাজিলের ২ বারের বিশ্বকাপ জয়ী স্ট্রাইকার রোনালদোর মালিকানায় যুক্ত হওয়ার পর সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বার রেলিগেশনের শিকার হল ভায়াদোলিদ। লা লিগায় নিজেদের শেষ ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই হেরে যাওয়া ক্লাবটি পয়েন্ট টেবিলে আছে সবার নিচে। ৩৩ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ১৬, জয় চারটি।
রোনালদোর জন্য এটা বড় একটা দুঃসংবাদই। কারণ, চলতি বছরই তিনি বাধ্য হয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। এবার তার ক্লাবও নেমে গেল পরের ধাপে।
যদিও ভায়াদোলিদের মলিন এই পারফরম্যান্সের পেছনে ক্লাবের সমর্থকরা বড় দায় দেখেন রোনালদোরই। তাদের দাবি, ক্লাবটির প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেন না সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। খেলা দেখতে মাঠে আসেন কম, যা ক্ষুব্ধ করেছে তাদের। গুঞ্জন রয়েছে, নিজের অংশের মালিকানা বিক্রির নাকি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রোনালদোর।
যে কারণেই হোক, ভায়াদোলিদের জন্য পুরো মৌসুমটাই ছিল হতাশাময়। গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন দুই কোচ দিয়েগো কোকা এবং পাওলো পেজোলানো। এরপর থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড় ল্যাভারো রুবিও।
ভায়াদোলিদ গত সাত বছরে এর আগে প্রথমবার রেলিগেটেড হয়েছিল ২০২০-২১ মৌসুমে। এরপর আবার ২০২২-২৩ মৌসুমে। দুইবারই অবশ্য পরের মৌসুমে ফের লা লিগায় ফিরে এসেছিল তারা। এবারও ক্লাবটির আশা থাকবে তেমন কিছুরই।
হেতাফের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। প্রথমে চোট খুব একটা গুরতর মনে না হলেও , রিপোর্ট দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। বৃহস্পতিবার রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ওয়েবয়াইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুঁচকির চোটে পড়েছেন কামাভিঙ্গা।
এই চোটে কতদিন কামাভিঙ্গা মাঠের বাইরে থাকবে তা নিশ্চিত করেনি রিয়াল। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ফরাসি এই মিডফিল্ডারকে।। তাতে তার মৌসুম মোটামুটি শেষই বলা যায়। তবে নিজেকে ফিট করে তুলতে পারলে ক্লাব বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যেতে পারে কামাভিঙ্গাকে।
চোট অবশ্য কামাভিঙ্গার জন্য নতুন না। চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে চারবার চোটে পড়েছেন তিনি। খেলেছেন সব মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচ, মিনিটের হিসেবে ২০০০ থেকে কিছুটা বেশি।
একই দিনে চোটে পড়েছেন ডেভিড আলাবাও। তার বদলি হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন কামাভিঙ্গা। এরপর তার পরিণিতিও একই।
চোটের হানা রিয়ালে চলছে মৌসুমজুড়ে। এসিএল চোটে এর আগে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এদের মিলিতাও, দানি কার্ভাহালের। এছাড়া কিলিয়ান এমবাপেও বেশ কয়েকবার পড়েছেন চোটে। দানি সেবায়স, মেন্দিরাও বাদ যায়নি চোটের থাবা থেকে।
চলতি বছর হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৫ তম আসর স্থগিত করা হয়েছে। সূচি বদলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২০২৬ সালে। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই নিশ্চিত করেছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।
চলতি বছরের জুন-জুলাইতে শ্রীলঙ্কায় বসার কথা ছিল এবারের সাফ। তবে টুর্নামেন্ট স্পনসর ও কতৃপক্ষ প্রতিযোগিতাকে আরও জমজমাট করার লক্ষ্যে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আয়োজনের চিন্তা করছে। যার জন্য আরও কিছু দিন সময় দরকার বলেই মানছে তারা। তাই পেছানো হয়েছে টুর্নামেন্টের সময়-সূচি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, “আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং স্পোর্টস ফাইভ (কমার্শিয়াল রাইটস হোল্ডার) মনে করছে যে, টুর্নামেন্টটি সঠিকভাবে আয়োজনের জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন। তাই এই টুর্নামেন্টটি ২০২৬ পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে জাঁকজমকভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে।”
তবে আগামী বছর আবার রয়েছে বিশ্বকাপ। তাই নির্দিষ্ট সময় এখনো ঠিক করতে পারেনি তারা, “২০২৬ সাল ফিফা বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি উপযুক্ত সময় ও ভেন্যু নির্ধারণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের সব অংশীদার, সমর্থক, গণমাধ্যম এবং সদস্য অ্যাসোসিয়েশনকে অনুরোধ করছি আমাদের পাশে থাকার জন্য, যাতে এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতাটি নিখুঁতভাবে আয়োজন করা যায়।”
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে