নতুন ফরম্যাটে চলতি মৌসুম থেকে আয়োজিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। প্রথম মৌসুমেই নতুন ফরম্যাট আমেজ ছড়াচ্ছে। শেষ দিনে একসঙ্গে হয়েছে ১৮ ম্যাচ। জমজমাট লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জন্ম দেয়নি তেমন অঘটন। বাদ পড়ার শঙ্কা তৈরি হলেও ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির মতো ইউরোপিয়ান জায়ন্টরা শেষ পর্যন্ত জায়গা করে নিয়েছে নকআউট পর্বে।
নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী প্রতিটা দল খেলেছে আট ম্যাচ করে। গ্রুপের হিসেব বদলে ৩৬ দলের টেবিল আকারে লড়েছে দলগুলো। যেখান থেকে সেরা আট দল জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোতে। টেবিলের নয় থেকে ২৪-এ থাকা ক্লাবগুলো জায়গা করে নিয়েছে প্লে অফে। যেখান থেকে আট দল যাবে শেষ ষোলোতে। আর ২৫ থেকে ৩৬-এ থাকা ক্লাবগুলো বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে।
শেষ ষোলো নিশ্চিত যাদের-
সরাসরি শেষ আটে জায়গাটা আগেই নিশ্চিত করেছিল লিভারপুল আর বার্সেলোনা। শেষ দিন নজর ছিল শীর্ষস্থানের দিকে। পিএসভির সাথে হেরেও শেষ পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছে আর্নে স্লটের দল। অন্যদিকে আতালান্তার বিপক্ষে ২-২ এর ড্রতে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে শেষ করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের তিন ও চার নম্বরে যথাক্রমে আর্সেনাল ও ইন্তার মিলান। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ছয় নম্বরে থাকা লেভারকুসেনের পয়েন্ট ১৬। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় সাত ও আট নম্বরে অবস্থানে লিঁল ও অ্যাস্টন ভিলা।
শীর্ষ আট দল-
লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্তার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, লেভারকুসেন, লিঁল, আ্যস্টন ভিলা।
প্লে-অফে জায়গা পেলো যারা-
অন্যদিকে প্লে অফে টিকে থাকার লড়াইটা হয়েছে জমজমাট। যেখানে শেষ পর্যন্ত গোল ব্যবধানই গড়ে দিয়েছে দলগুলোর ভাগ্য।
১৫ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে অবস্থান আতালান্তার। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ১০ নম্বরে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এরপরেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ ও এসি মিলান। তাদের পয়েন্টও সমান ১৫।
১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বর অবস্থানে ডাচ ক্লাব পিএসভি। ১৫ নম্বরে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ১৩। সমান পয়েন্ট বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ট ও ফেয়েনুর্দেরও। এখানেও দলগুলোর মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে গোলের হিসেব-নিকেশ।
১২ পয়েন্ট নিয়ে ইয়্যুভেন্তুস আছে ২০ নম্বরে, একই সমান পয়েন্ট নিয়ে ২১ নম্বরে সেলটিক। শেষ তিন দলের পয়েন্ট সমান ১১। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ২২ নম্বরে সিটি এরপরে অবস্থান স্পোর্টিং সিপি ও ক্লাব ব্রুজের।
৯ থেকে ২৪-
আতালান্তা, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, পিএসভি, পিএসজি, বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ট, ফেয়েনুর্দ, য়্যুভেন্তুস, সেলটিক, ম্যানচেস্টার সিটি, স্পোর্টিং সিপি, ক্লাব ব্রুজ।
৯ জুন ২০২৫, ৮:২০ পিএম
৯ জুন ২০২৫, ৭:১৪ পিএম
৯ জুন ২০২৫, ৫:৪৩ পিএম
৯ জুন ২০২৫, ১:৫৮ পিএম
নানা বাস্তবতায় চলতি বছরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পারফরম্যান্সে গতি এসেছে বেশ। আত্মবিশ্বাসও তাই বেড়ে গেছে বেশ। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের সাথে ড্র করা বাংলাদেশ তাই শক্তিশালী সিঙ্গাপুরের সাথেও সমানে সমান লড়াইয়ের আশা নিয়েই এগোচ্ছে। কোচ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা স্পষ্ট বললেন, এই ম্যাচে জয় ছাড়া আর কোনো চিন্তা নেই তাদের।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতোই। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাছাইয়ের লড়াই ঘিরে তাই পুরো দেশেই তৈরি হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী রোমাঞ্চ। এর পেছনে বড় অবদান বিদেশী লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, শমিত সোম ও ফাহমিদুল ইসলামদের দলে অন্তর্ভুক্তি। দলের শক্তি তাতে যেমন বেড়েছে, সাথে যোগ হয়েছে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাসও।
সেটা সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা শোনালেন ইতিবাচকতার সুর।
“আমরা মনে করি ম্যাচটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে আমাদের লক্ষ্য একটাই, তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া। কারণ এখানে কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই পরের রাউন্ডে যাবে। আমাদের দলের সেই সামর্থ্য আছে এবং আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।”
বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ে গত মার্চের হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় হামজার। এবার দলে নতুন সংযোজন কানাডা অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলা মিডফিল্ডার শমিত সোম ও ইতালির ঘরোয়া ফুটবল খেলা স্ট্রাইকার ফাহমিদুল ইসলাম। শোম বাদে বাকি দুজন খেলেছিলেন গত ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে৷ এরপর ছিল ঈদের বিরতি।
কোচ কাবরেরা মনে করেন, তারা সিঙ্গাপুরের মহারণের জন্য শতভাগ প্রস্তুত।
“এটা ঠিক যে প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে সময় কম ছিল। তবে আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর আমরা সেই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।”
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে আরও রয়েছে। প্রত্যেকটি দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ ড্র করায় পয়েন্ট টেবিলে সবাই এখন সমানে সমান। বাছাইয়ের সূচি ঘোষণার সময় বাংলাদেশকে এই গ্রুপে পিছিয়ে রাখা হলেও হামজাদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল এখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নই দেখছে।
কোচের সাথে বনিবনা না হওয়ায় বড় সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন রবার্ট লেভানদভস্কি। অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, বার্সেলোনার হয়ে লম্বা এক মৌসুমের পর তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত। সাথে কোচের সাথে মতের অমিলের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিজেকে পোল্যান্ড জাতীয় দলের বাইরে রাখছেন তিনি।
গেল মৌসুমের শেষের দিকে হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো মিস করেন লেভানদভস্কি। এরপর চোট কাটিয়ে ফিরে ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার খেলেন তিনটি ম্যাচ। তবে এই মাসে মোলডোভার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে দেখা যায়নি লেভানদভস্কিকে। এর প্রেক্ষিতে পোল্যান্ডের কোচ প্রোবিয়ের্জ তাকে অধিনায়কের পদ থেকেও সরিয়ে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন ইন্তার মিলান মিডফিল্ডার পিয়োত্র জিয়েলিনস্কিকে।
সোমবার সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে লেভানদভস্কি স্পষ্ট করেন তার অবস্থান।
“চোট থেকে ফিরেই আমি কোচকে আমি জানিয়েছিলাম যে, আমি শারীরিকভাবে ঠিক নেই, আর মানসিকভাবেও ক্লান্ত বোধ করছি। বর্তমান পরিস্থিতি আর কোচের ওপর আস্থা হারানোর কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তিনি যতদিন দায়িত্বে থাকবেন, ততদিন আমি আর পোল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলব না। আশা করি আমি আবারও দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাবো।”
পোল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫৮টি ম্যাচ খেলা লেভানদভস্কি দেশটির সর্বোচ্চ গোলস্কোরারও (৮৫ গোল)৷ আর তাই তার জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ানো দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের জন্য বড় এক ধাক্কাই।
উল্লেখ্য, পোল্যান্ডের কোচ হিসেবে ২০২৩ সালে ফার্নান্দো সান্তোসের জায়গায় দায়িত্ব নেন প্রোবিয়ের্জ। তার কোচিংয়ে দলটি ইউরো ২০২৪-এর মূল পর্বে জায়গা করে নিলেও টুর্নামেন্টে বিদায় নেয় গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না জিতেই।
ক্লাবে সতীর্থ হিসেবে পান উসমান দেম্বেলেকে, যিনি আছেন ব্যালন ডি’অর জেতার লড়াইয়ে। সেখানে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি, সেই লামিন ইয়ামালের স্পেনকে ইউয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে হারিয়ে তাই বাড়তি খুশির উপলক্ষ্য পাচ্ছেন নুনো মেন্দেস। তার মতে, এই ম্যাচ জিতে পর্তুগালের হয়ে শিরোপা জেতার পাশাপাশি ইয়ামালের ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনাও শেষ করে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাতে মিউনিখের ফাইনালে ২-২ গোলে সমতার টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয়বারের মত নেশন্স লিগের শিরোপা নিশ্চিত করে পর্তুগাল। ম্যাচে একটি গোল করার পাশাপাশি স্প্যানিশ সেনসেশন ইয়ামালকে কার্যত নিস্প্রভ রাখেন মেন্দেস। অন্যদিকে স্পেন হেরে যাওয়ায় অনেকটাই কমে গেছে ইয়ামালের বর্ষসেরা হওয়ার আশা। আর ফেভারিট এখন মেন্দেসের পিএসজি সতীর্থ দেম্বেলে, যিনি ট্রেবল জয়ের পাশাপাশি পার করেছেন দারুণ এক মৌসুম।
মেন্দেস তাই জাতীয় দলের সাফল্যের পরও টেনে আনলেন দেম্বেলের প্রসঙ্গ। “(ক্লাবে) আমি উসমান দেম্বেলের সাথে খেলি। তার জন্য এই মৌসুমটা ছিল অসাধারণ। লামিন ইয়ামালও দারুণ খেলেছে, কিন্তু দেম্বেলে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবে, ইয়ামাল খেলবে না। আমি তার জন্য খুবই খুশি। বার্সেলোনায় অনেক চোট সমস্যা ছিল তার, কিন্তু পিএসজিতে সে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সে অসাধারণ একজন খেলোয়াড় আর দারুণ একজন মানুষও। আমি তাকে খুবই পছন্দ করি। আমরা সবাই চাই সে ব্যালন ডি’অর জিতুক।”
ফাইনালের আগে নেশন্স লিগের আগের প্রতিটি ম্যাচেই গোল বা অ্যাসিস্ট করেছিলেন ইয়ামালা। সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে সামলানোর কঠিন দায়িত্ব ছিল মেন্দেসের সামনে। সেই দায়িত্ব তিনি পালন করেন সম্ভাব্য সেরা উপায়েই। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে হন ম্যাচ সেরাও।
ব্যাপারটা তাই বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে মেন্দেসকে। “আমি ইয়ামালকে আটকে দিয়েছি। এটা ছিল আমার অনেকগুলো কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে একটি। আমি গোটা মৌসুমে দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু আজ (ফাইনালে) আমি ইয়ামালকে আটকে দিতে পেরেছি, আর তাকে সেরা খেলাটা খেলতে দেইনি। এটা দলকে সাহায্য করেছে এবং শিরোপা জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি খুবই খুশি।”
নরওয়ের কাছে হারের পরই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল অবস্থান। শেষ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ লুচিয়ানো স্পালেত্তিকে ছাঁটাই করেছে ইতালীয় ফুটবল ফেডারেশন (এফএইজিসি), রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এ ঘোষণা দেন অভিজ্ঞ এই কোচ। তবে সোমবার মোলদোভার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে আরও একবার দেখা যাবে বলেও নিশ্চিত করেছেন স্পালেত্তি।
গত শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নরওয়ের কাছে ৩-০ গোলের হেরে যায় ইতালি। এতে ইতালির বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই জের ধরে তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রবের্তো মানচিনির স্থলাভিষিক্ত হন স্পালেত্তি। তার কোচিংয়ে ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপ খেলতে ব্যর্থ হওয়া ইতালি ইউরো ২০২৪-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তবে সেখানে আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি আজ্জুরিরা। গ্রুপ পর্ব থেকে টেনেটুনে শেষ ষোলোয় উঠলেও, সেখানে সুইজারল্যান্ডের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে ২০০৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
সদ্য শেষ হওয়া নেশন্স লিগে অবশ্য ভালোই খেলেছিল ইতালি। পরে তৃতীয় স্থান অর্জন করা ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। আবার গ্রুপ পর্বে তাদের একমাত্র হারটিও এসেছিল এই ফ্রান্সের বিপক্ষেই। শেষ পর্যন্ত গোল পার্থক্যের কারণে স্পালেত্তির দল ফাইনালসে যেতে পারেনি।
সবশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নরওয়ের বিপক্ষে হারের পর ইতালি আর সময় নষ্ট না করে বিদায় করে দেয় স্পালেত্তিকে। ইতিমধ্যে নতুন কোচ নিয়োগ নিয়েও চলছে জোর গুঞ্জন। ইতালিয়ান মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, সাবেক এসি মিলান ও বর্তমানে আল নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন। তালিকায় আরও আছেন অভিজ্ঞ কোচ ক্লাউদিও রানিয়েরিও, যিনি সম্প্রতি রোমার দায়িত্ব পালন শেষে কোচ হিসেবে অবসরে গেছেন। তবে ৭৩ বছর বয়সী এই কোচ যদি স্বদেশের জাতীয় দলের চাকরির প্রস্তাব পান, তাহলে তার অবসর থেকে ফেরার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ক্লাব ফুটবলে জিতেছেন সম্ভাব্য সব শিরোপাই। ব্যক্তিগত অর্জনের পাল্লাও বেশ ভারি। এরপরও জাতীয় দলের হয়ে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কিছু একটা জয়ের তীব্র বাসনা এখনও ফুটে ওঠে স্পষ্টভাবেই। ইউয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে জয়ের পর তাই ধরে রাখতে পারেননি চোখের জল। এই অর্জন এতোটাই আবেগময় তার কাছে। পর্তুগাল কিংবদন্তি বলেছেন, দেশের হয়ে জেতার চেয়ে আর কিছু বড় নয় তার কাছে।
রোনালদোর ক্যারিয়ার শুরুর আগে একবারও মেজর টুর্নামেন্ট ফাইনাল না খেলা পর্তুগাল এখন পর্যন্ত খেলেছেন চারবার। সবশেষটি এসেছে ইউয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে, যেখানে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত এই শিরোপা জয় করেছে দলটি। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রোনালদো ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই কাদেন অঝোরে। কোনোভাবেই যেন পারছিলেন না উপচে পড়া আবেগকে ধারণ করতে।
ফাইনালের পর রোনালদোর জানান তার প্রতিক্রিয়া, যেখানে মিশে থাকে দেশের প্রতি তার গর্ব ও প্রাপ্তির আনন্দ।
“পর্তুগালের হয়ে কিছু জেতা আমার জন্য সবসময়ই বিশেষ কিছু। আমি ক্লাবের হয়ে অনেক শিরোপা জিতেছি, কিন্তু দেশের জার্সিতে জেতার চেয়ে আসলে বড় কিছুই নেই। আমার এই অশ্রু কৃতজ্ঞতার, এটা দায়িত্ব পূরণের আনন্দ। যখনই পর্তুগালের কথা চলে আসে, সেটা সবসময়ই আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতি। এই প্রজন্মের খেলোয়াড়দের অধিনায়ক হতে পারা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার। জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জেতা সবসময়ই ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন।”
পুরো আসরে ভালো ছন্দে থাকলেও ফাইনালে রোনালদো ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। এর মাঝেও অবশ্য অবদান রাখেন বিরতির পর, ৬১তম মিনিটে তার গোলেই ২-২ সমতা টানে পর্তুগাল, যা পড়ে গড়ায় টাইব্রেকারে। ৪০ বছর বয়সী রোনালদো অবশ্য চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ৯০ মিনিটের কিছুক্ষণ আগেই।
ম্যাচের পর রোনালদো জানালেন, তার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আরও চালিয়ে যাওয়ার!
“এটা এখন আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময়। আমি চোটে ছিলাম, ওয়ার্ম আপের সময় থেকেই আঘাতটা টের পাচ্ছিলাম। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা গেছি খেলার জন্য। আমি নিজেকে যতোটা সম্ভব উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কারণ জাতীয় দলের জন্য আপনাকে এটা করতেই হবে।”“এটা যে কী আনন্দের ব্যাপার, বলে বোঝানো যাবে না। বিশেষ করে এই প্রজন্মের জন্য, যাদের এমন একটি বড় ট্রফি পাওনা ছিল, তাদের পরিবারের জন্যও। এটা দারুণ ব্যাপার। এই জয় আমাদের জাতির জন্য বড় এক পাওয়া। আমরা হয়তো ছোট একটি দেশ, কিন্তু আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়।”
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি ছিল রোনালদো ও পর্তুগালের তৃতীয় ট্রফি। এর আগে অর্জনের খাতায় ছিল ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০১৯ সালের নেশন্স লিগ শিরোপা। বলার অপেক্ষা রাখে না, দীর্ঘ এক ক্যারিয়ারে রোনালদোর হাত ধরে পর্তুগাল ফুটবলও চলে গেছে ভিন্ন উচ্চতায়।
দেশের জার্সিতে এত এত অর্জনে বাড়তি আনন্দ তাই রোনালদোর।
“এটা যে কী আনন্দের ব্যাপার, বলে বোঝানো যাবে না। বিশেষ করে এই প্রজন্মের জন্য, যাদের এমন একটি বড় ট্রফি পাওনা ছিল, তাদের পরিবারের জন্যও। এটা দারুণ ব্যাপার। এই জয় আমাদের জাতির জন্য বড় এক পাওয়া। আমরা হয়তো ছোট একটি দেশ, কিন্তু আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়।”
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে