২০ এপ্রিল ২০২৫, ৫:১০ পিএম
গত্ মার্চের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের ১৮তম সভায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলতে উৎসাহিত করতে ম্যাচ ফি ৬ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ওয়ানডে ম্যাচে ম্যাচ ফি ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ম্যাচ ফি ২ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের বর্তমান ম্যাচ ফি পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেশ কয়েক বছর একই অঙ্কে আটকে ছিল। সেই জটটা কাটিয়ে ম্যাচ ফি বাড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ। বর্ধিত ম্যাচ ফি কার্যকর হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ থেকেই।
তবে এই বছর তুলনামূলক কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকায় ম্যাচ ফি থেকে বড় অঙ্ক আয়ের তেমন সম্ভাবনা নেই খেলোয়াড়দের। চলতি বছর যে ক্রিকেটার তিন ফরম্যাটের সব কটি ম্যাচ খেলবেন, ম্যাচ ফি থেকে তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আইসিসির চলমান এফটিপিতে আগামী বছরে দ্বিপাক্ষিক সফসূচিতে আছে ৮ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে এবং ১২টি টি-টোয়েন্টি। সবগুলো ম্যাচে প্লেয়ার্স লিস্টে একাদশে থাকলে ম্যাচ ফি খাত থেকে ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পাবেন একজন ক্রিকেটার! সব ম্যাচ না খেললেও ম্যাচ ফি থেকে কারো কারো আয় কোটি টাকা স্পর্শ করবে।
ক্রিকেটারদের বর্ধিত ম্যাচ ফি কার্যকর হলে এই বছর ৪ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি থেকে বিসিবিকে খরচ করতে হবে ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। বিগত বছরে ম্যাচ ফি'র অঙ্কে এই খাতে খরচ হওয়ার কথা ছিল ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই খাতে বিসিবিকে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সর্বশেষ সভায় এই হিসাবটাই অনুমোদিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচ ফি প্রবর্তনের অতীত খুব বেশি দিনের নয়। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদার পর টিম স্পন্সর কোকা কোলা ১ কোটি টাকা অর্থায়ন করায় পরের বছর থেকে বিসিবি প্রবর্তন করেছে ম্যাচ ফি।
শুরুতে টেস্ট ম্যাচের ম্যাচ ফি ১ হাজার মার্কিন ডলার, ওয়ানডে ৫০০ মার্কিন ডলার ধার্য করেছে বিসিবি। ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়েছে শম্বুক গতিতে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে টেস্টের ম্যাচ ফি এক লাফে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করে দীর্ঘ পরিসরের ফরমেটে সুফল পেয়েছে বিসিবি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধিসহ সুযোগ সুবিধা উন্নীত করতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আন্দোলনে টনক নড়ে বিসিবির। সেই থেকে ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। সাকিবের ওই আন্দোলনে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি টেস্টে ৬ লাখ, ওয়ানডে ম্যাচে ৩ লাখ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
২০২০ থেকে ২০২৪-এই চার বছর ম্যাচ ফি এই অঙ্কে ছিল আটকে। ম্যাচ ফি বর্ধিত করার দাবিতে এবার আর আন্দোলন করতে হয়নি ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের সুরক্ষা দিতে বিসিবি নিজ থেকেই উদ্যোগী হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানদের ম্যাচ ফি ৩৩% এবং টোয়েন্টি-২০-তে ২৫% বৃদ্ধি করেছে।
বর্ধিত ম্যাচ ফি-তে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে ইতোমধ্যে বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
“পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। টেস্ট ক্রিকেটারদের ম্যাচ বৃদ্ধির পরিমাণটা একটু বেশি। এর মধ্য দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা ধরে রাখতে চাই।“
বর্ধিত ম্যাচ ফি-তে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সের গ্রাফটা উর্ধ্বমূখী হলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে বিসিবি।
১৬ জুন ২০২৫, ৩:২৭ পিএম
১৬ জুন ২০২৫, ২:০২ পিএম
ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বরাবরই শান্তির পক্ষে বার্তা দিয়ে আসছেন৷ অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন চ্যারিটি কার্যক্রমেও। তারই ধারায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিয়ে একটি বিশেষ উপহার দিয়েছেন পর্তুগাল কিংবদন্তি। আর সেটা হাতে পেয়ে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ট্রাম্প।
চলতি সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন কানাডার ক্যালগেরি শহরে পৌঁছান জিসেভেন নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য, তখন তার হাতে রোনালদোর সাক্ষরিত পর্তুগালের জার্সি তুলে দেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা। তিনি ট্রাম্পকে জানান, জার্সিতে একটি বিশেষ বার্তা রয়েছে। এরপর বার্তাটি ট্রাম্পকে পড়ে শোনানো হয়,
“প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য উপহার, শান্তির জন্য খেলছি, সিআর৭।”
বার্তাটি শুনে ট্রাম্প বলেন, “দুর্দান্ত, আমি এটাই পছন্দ করি। শান্তির জন্য খেলা।
”জার্সিটি উঁচিয়ে ধরে ট্রাম্প আরও বলেন,“তারা বলে যে তিনিই সর্বকালের সেরা।”
ট্রাম্পকে পাঠানো রোনালদোর স্বাক্ষরিত জার্সি গ্রহণের মুহূর্তের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন মার্গো মার্টিন, যিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী ও যোগাযোগ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ ও হুমকির ঘটনায় বড় শাস্তিই পেলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। স্পেনের একটি আদালত এসব ঘটনায় চার ব্যক্তিকে ১৪ থেকে ২২ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানাও দিয়েছে।
আলোচিত ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কোপা দেল রে-তে ম্যাচে রিয়াল ও আতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচের আগে। রিয়াল মাদ্রিদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডের বাইরে ভিনিসিয়ুসের নামে একটি রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরা একটি পুতুলকে একটি সেতুর সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন একদল আতলেতিকো সমর্থক। সেই পুতুলের পাশে লেখা হয়, “মাদ্রিদ ভিনিসিয়ুসকে ঘৃণা করে।”
আরও পড়ুন
রোনালদোর জার্সি উপহার, ট্রাম্প বললেন ‘সর্বকালের সেরা’ |
![]() |
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে লা লিগার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের পর তদন্ত শেষে চার জনকে গ্রেফতার করে স্প্যানিশ পুলিশ। সোমবার মাদ্রিদের একটি আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে।
এরপর লা লিগা এক বিবৃতিতে জানায়,
“একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ঘৃণামূলক আচরণের অপরাধে, আর অতিরিক্ত ৭ মাস হুমকির অপরাধে। তিনি এই ঘটনার ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছেন, যার ফলে এই ঘটনার প্রভাব আরও বেড়ে যায়।”
বাকি তিন অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই ৭ মাস বর্ণবাদের ঘৃণামূলক অপরাধে ও ৭ মাস হুমকির দায়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন। সব অভিযুক্তই ভিনিসিয়ুস, রিয়াল মাদ্রিদ, লা লিগা ও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন, যার ফলে তাদের শাস্তি কিছুটা কমেছে।
কারাদণ্ড ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ। নিচে তা তুলে ধরা হল :
১. প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১ হাজার ৮৪ ইউরো এবং অন্য তিনজনকে ৭২০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সিটিতে যোগ দিয়ে ব্যালন ডি'অরের স্বপ্ন দেখছেন শেরকি |
![]() |
২. চার জনকেই ভিনিসিয়ুস, তার বাসস্থান অথবা রিয়াল মাদ্রিদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডের (ভালদেবাবাস) ১,০০০ মিটারের মধ্যে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
৩. লা লিগা বা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের আওতাভুক্ত যে কোনো ম্যাচের ৪ ঘণ্টা আগে থেকে ম্যাচ শেষের ৪ ঘণ্টা পর পর্যন্ত কোনো স্টেডিয়ামে প্রবেশে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৪. অভিযুক্তদের ভিনিসিয়ুসের সাথে যেকোনোভাবে যোগাযোগ করা নিষিদ্ধ।
শাস্তির এই শর্তগুলো কারাদণ্ড শেষ হওয়ার চার বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ফরাসি ফুটবলে নিজের প্রতিভার জানান দিয়ে নাম লিখিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। পেপ গার্দিওলার দলে যোগ দিয়ে বড় স্বপ্নই দেখছেন ফ্রান্সের উদীয়মান মিডফিল্ডার রায়ান শেরকি। তার বিশ্বাস, সিটির জার্সিতেই পূরণ হবে তার ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্ন।
২১ বছর বয়সী শেরকি সম্প্রতি ফরাসি ক্লাব লিওঁ থেকে ৩৬.৬ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফিতে যোগ দিয়েছেন সিটিতে। স্বপ্নের মত কাটানো গত মৌসুমে তিনি জিতেছেন ইউরোপা লিগের মৌসুম সেরা উদীয়মান ফুটবলারের খেতাব। জায়গা করে নেন ইউরোপা লিগের মৌসুমের সেরা একাদশেও। ছিলেন লিগ ওয়ানের শীর্ষ অ্যাসিস্ট করা খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন
৫৮ বছর বয়সে ফুটবল মাঠে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন জাপানের কাজুয়োশির |
![]() |
বর্তমানে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে সিটির সাথে ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন শেরকি। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে শোনান ব্যালন ডি’অর জয়ের আশার কথা। “আপনি যদি রদ্রিকে দেখেন, সে এখানে খেলেই কিন্তু ব্যালন ডি’অর জিতেছে। তাই এটা তো পরিষ্কার যে, ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলে এটা সম্ভব। আমি এখানে এসেছি জেতার জন্যই। আর আমি জানি ক্লাবও সবকিছু জিততে চায়। তাই এটাই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো সুযোগ।”
গত মৌসুমে লিওঁর হয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েই মূলত সিটি সহ অন্যান্য শীর্ষ ক্লাবের নজরে আসেন শেরকি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচে গোল করেন ১২টি, আর অ্যাসিস্ট ২০টি।
আর এই কারণেই শেরকিকে বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সম্ভাবনাময় তরুণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। চলতি মাসেই স্পেনের বিপক্ষে হয়েছে ফ্রান্স জাতীয় দলের অভিষেক। আর সিটির হয়ে অভিষেক হয়ে যেতে পারে আগামী বুধবার ফিলাডেলফিয়ায় মরক্কোর ক্লাব উইদাদ এসির বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে।
পেশাদার ক্যারিয়ারের যে বয়স, সেই বয়সে অনেকেই চলে যান অবসরে। তবে জাপানের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজুয়োশি 'কিং কাজু' মিওরা ৫৮ বছরেও যেন থামবার পাত্র নন। ৫৮ বছর বয়সে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন পেশাদার ক্যারিয়ারের ৪০তম মৌসুমে।
সম্প্রতি আতলেতিকো সুজুকার হয়ে ওয়াইএসসিসি ইয়োকোহামার বিপক্ষে জাপান ফুটবল লিগ (চতুর্থ স্তর) ম্যাচে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে এই মৌসুমে প্রথমবার খেলেন কাজুয়োশি। ম্যাচের শেষের দিকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামেন তিনি। তার দল জেতে ২-১ গোলে।
২০২৪ সালের জুনে ১৮ মাসের ধারের চুক্তিতে সুজুকায় যোগ দেন কাজুয়োশি। তবে জানুয়ারিতে পাওয়া চোটের কারণে এই মৌসুমে গত সপ্তাহের আগ পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ফুটবলার। গত রবিবারের ম্যাচে অবশেষে হয়েছে তার প্রত্যাবর্তন।
আরও পড়ুন
গাড়ি বিক্রেতা-ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে গড়া অকল্যান্ডের অদ্ভুত ক্লাব বিশ্বকাপ যাত্রা |
![]() |
ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কাজুয়োশি বলেন,
“আমি আবারও মাঠে নিজের সেরাটা দেখাতে চাই। সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাদের সহায়তা পেয়ে আমি আবার ফিরতে পেরেছি। এখন এই জায়গা থেকে আমি আরও গতি বাড়াতে চাই।”
কাজুয়োশি সেই ১৯৮৬ সালে ব্রাজিলের সান্তোস ক্লাবের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে জাপানের ভার্দি কাওয়াসাকির হয়ে জিতেছেন টানা দুটি জে-লিগ শিরোপা। লম্বা এক ক্যারিয়ারে খেলেছেন ব্রাজিল, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের বিভিন্ন ক্লাবে। আর জাপান জাতীয় দলের হয়ে ৮৯ ম্যাচে করেছেন ৫৫ গোল।
৩২ দলের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আগেও যেমন ছিল, আসর শুরুর পরও তা চলছে সমানভাবেই। বায়ার্ন মিউনিখ ও নিউজিল্যান্ডের সেমি-প্রফেশনাল দল অকল্যান্ড সিটির মধ্যকার একপেশে ম্যাচের পর প্রশ্নটা জোড়াল হয়েছে আরও। তবে ফুটবলের বিশ্বায়নের দিক চিন্তা করলে ব্যাপারটা দারুণ কিছুই বটে। কলেজের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে মেকানিকদের নিয়ে গড়া একটা দল খেলছে বায়ার্নের মত শীর্ষ ক্লাবের বিপক্ষে, এটা তো কেবল স্বপ্নেই সম্ভব!
ক্লাব বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন বিশাল ব্যবধানে জয় আগে দেখা যায়নি। কিন্তু চলমান ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই সেটিই ঘটিয়েছে বায়ার্ন। জার্মান জায়ান্টরা ১০-০ গোলে স্রেফ উড়িয়ে দিল অকল্যান্ড সিটিকে - যা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড।
বিরতির আগেই ৬ গোল করে ফেলা বায়ার্ন যেভাবে ছেলেখেলা করছিল প্রতিপক্ষকে নিয়ে, তাতে ১২-১৫টা গোল হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। জামাল মুসিয়ালা হ্যাটট্রিকে শেষ পর্যন্ত তারা জিতেছে ‘মাত্র’ ১০ গোলে।
পুরো ম্যাচে গোলের জন্য বায়ার্ন শট নিয়েছে ৩১টি, অন টার্গেট ১৭টি। আর অকল্যান্ড? গোটা ম্যাচে মাত্র ১টা শটই নিতে পেরেছে তারা। সেটাও বা কম কি! এতোটা একপেশে লড়াইয়ে তাদের কাছ থেকে এর বেশি আশা করাটাও যে বোকামির শামিল।
আরও পড়ুন
সিটিতে যোগ দিয়ে ব্যালন ডি'অরের স্বপ্ন দেখছেন শেরকি |
![]() |
সব জায়গাতেই যে দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। বায়ার্নের স্কোয়াডের বার্ষিক আয় ৯৫১.৫ মিলিয়ন ইউরো, আর অকল্যান্ড স্কোয়াডের আয়? মাত্র ৪৮৮.০০০ ইউরো!
স্কোয়াডের দলগত ট্রান্সফার মূল্য হিসাবে বায়ার্নের নামের পাশে রয়েছে যেখানে প্রায় ৯০৪ মিলিয়ন ইউরো, সেখানে অকল্যান্ডের মূল্য মাত্র ৪.৫৮ মিলিয়ন ইউরো!
অকল্যান্ডের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়ের আয় মাত্র ৬৬ ইউরো। সেখানে বায়ার্নের তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের এক সপ্তাহের বেতন (৪.০০০০ ইউরো) পেতে অকল্যান্ডের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়ের লাগবে ১১৭ বছর!
পেশাদার সব ফুটবলার নিয়ে যেখানে গড়া বায়ার্নের স্কোয়াড, সেখানে অকল্যান্ডের আছেন অপেশাদার সব খেলোয়াড়, যারা অন্য কাজের ফাঁকে খেলেন ক্লাবের হয়ে। লেফট-ব্যাক নাথান লোবো ক্লাব বিশ্বকাপ চলাকালীন হোটেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিচ্ছেন। দলের অন্য খেলোয়াড়রা কেউ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, কেউ কোকা-কোলার সেলস বিক্রয় প্রতিনিধি, কেউবা আবার গাড়ি বিক্রেতা।
এরপরও জানতে চান দুই দলের র্যাঙ্কিং ব্যবধান? বায়ার্ন আছে ৬ নম্বরে। আর অকল্যান্ড ৫ হাজার ৭৪তম স্থানে।
আরও পড়ুন
৫৮ বছর বয়সে ফুটবল মাঠে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন জাপানের কাজুয়োশির |
![]() |
বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব আর সেমি-প্রফেশনাল একটি দলের মাঝে এত এত ব্যবধানের প্রভাব তাই মাঠেও ছিল বিস্তর। তবু অকল্যান্ড সিটির জন্য এটা ছিল একটি স্বপ্নের রাত, যেখানে ১০ গোল খেলেও তারা ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় কিছু খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলার সুযোগ তো পেয়েছে, যা তাদের কাছে একটা স্বপ্নই ছিল এতদিন ধরে। এটাই হয়ত এই ক্লাব বিশ্বকাপের স্বার্থকতা।
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
৩০ দিন আগে
৩০ দিন আগে