২০ এপ্রিল ২০২৫, ৫:১০ পিএম
গত্ মার্চের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের ১৮তম সভায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলতে উৎসাহিত করতে ম্যাচ ফি ৬ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ওয়ানডে ম্যাচে ম্যাচ ফি ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ম্যাচ ফি ২ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের বর্তমান ম্যাচ ফি পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেশ কয়েক বছর একই অঙ্কে আটকে ছিল। সেই জটটা কাটিয়ে ম্যাচ ফি বাড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ। বর্ধিত ম্যাচ ফি কার্যকর হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ থেকেই।
তবে এই বছর তুলনামূলক কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকায় ম্যাচ ফি থেকে বড় অঙ্ক আয়ের তেমন সম্ভাবনা নেই খেলোয়াড়দের। চলতি বছর যে ক্রিকেটার তিন ফরম্যাটের সব কটি ম্যাচ খেলবেন, ম্যাচ ফি থেকে তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আইসিসির চলমান এফটিপিতে আগামী বছরে দ্বিপাক্ষিক সফসূচিতে আছে ৮ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে এবং ১২টি টি-টোয়েন্টি। সবগুলো ম্যাচে প্লেয়ার্স লিস্টে একাদশে থাকলে ম্যাচ ফি খাত থেকে ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পাবেন একজন ক্রিকেটার! সব ম্যাচ না খেললেও ম্যাচ ফি থেকে কারো কারো আয় কোটি টাকা স্পর্শ করবে।
ক্রিকেটারদের বর্ধিত ম্যাচ ফি কার্যকর হলে এই বছর ৪ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি থেকে বিসিবিকে খরচ করতে হবে ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। বিগত বছরে ম্যাচ ফি'র অঙ্কে এই খাতে খরচ হওয়ার কথা ছিল ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই খাতে বিসিবিকে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সর্বশেষ সভায় এই হিসাবটাই অনুমোদিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচ ফি প্রবর্তনের অতীত খুব বেশি দিনের নয়। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদার পর টিম স্পন্সর কোকা কোলা ১ কোটি টাকা অর্থায়ন করায় পরের বছর থেকে বিসিবি প্রবর্তন করেছে ম্যাচ ফি।
শুরুতে টেস্ট ম্যাচের ম্যাচ ফি ১ হাজার মার্কিন ডলার, ওয়ানডে ৫০০ মার্কিন ডলার ধার্য করেছে বিসিবি। ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়েছে শম্বুক গতিতে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে টেস্টের ম্যাচ ফি এক লাফে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করে দীর্ঘ পরিসরের ফরমেটে সুফল পেয়েছে বিসিবি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধিসহ সুযোগ সুবিধা উন্নীত করতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আন্দোলনে টনক নড়ে বিসিবির। সেই থেকে ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। সাকিবের ওই আন্দোলনে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি টেস্টে ৬ লাখ, ওয়ানডে ম্যাচে ৩ লাখ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
২০২০ থেকে ২০২৪-এই চার বছর ম্যাচ ফি এই অঙ্কে ছিল আটকে। ম্যাচ ফি বর্ধিত করার দাবিতে এবার আর আন্দোলন করতে হয়নি ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের সুরক্ষা দিতে বিসিবি নিজ থেকেই উদ্যোগী হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানদের ম্যাচ ফি ৩৩% এবং টোয়েন্টি-২০-তে ২৫% বৃদ্ধি করেছে।
বর্ধিত ম্যাচ ফি-তে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে ইতোমধ্যে বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
“পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। টেস্ট ক্রিকেটারদের ম্যাচ বৃদ্ধির পরিমাণটা একটু বেশি। এর মধ্য দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা ধরে রাখতে চাই।“
বর্ধিত ম্যাচ ফি-তে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সের গ্রাফটা উর্ধ্বমূখী হলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে বিসিবি।
আধুনিক ফুটবলে খেলোয়াড়দের ধূমপান বা মদ্যপানের বিষয়টি নিয়ে এত খোলামেলা কথা বলাটা বেশ অস্বাভাবিক ঘটনাই। তবে বার্সেলোনার গোলরক্ষক ওজসিয়েচ সেজেসনি দেখালেন ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্তই৷ নিজের ধূমপানের প্রতি আসক্তির স্বীকারোক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ভক্তদের তাকে অনুসরণ না করার আকুতিও জানিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী সেজেসনি চলে গিয়েছিলেন অবসরে। তবে গত অক্টোবরে অবসর থেকে ফিরে যোগ দেন বার্সেলোনায়। ২৫ ম্যাচ খেলে হারের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র একবার, যা পোলিশ গোলরক্ষককে বার্সেলোনার সমর্থকদের কাছে করে তুলেছে ভীষণ জনপ্রিয়। তবে ধূমপান করার কথা স্বীকার করার পর থেকে সমর্থকরা নিয়মিতভাবে ‘সেজেসনি ফুমাডোর’ (ধূমপায়ী সেজেসনি) বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেজেসনি অবশ্য জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পেরে খুশি।
“ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে যদি বলেন, দয়া করে কেউ আমাকে অনুসরণ করবেন না। ধূমপান করবেন না। আমি এই লড়াইয়ে হেরে গেছি। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন থেকে আমার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল, যা আমার জন্য খুবই নেতিবাচক। আর আমি সেটা জানতাম। তবে এটার কাছে হেরে গেছি তাই যারা এই অনুষ্ঠান দেখছেন, তাদের বলব আমি যা করেছি আপনারা তা করবেন না।”
সেজেসনির এই অকপট স্বীকারোক্তি বেশ অবাক করা ঘটনাই। কারণ, সচরাচর খেলোয়াড়রা পেশাদারিত্বের তাগিদেই ভীষণ ব্যক্তিগত এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন। স্পর্শকাতর হওয়ায় এমন সব তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসলে খেলোয়াড়দের স্পন্সর বাতিলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে।
এসব উপেক্ষা করেও কেন ধূমপানের বিষয়টি মেনে নিলেন, সেই প্রশ্নে সেজেসনি বলেন, “কারণ আমি রাজনীতিবিদ নই।”
ক্লাবের মালিকানায়া যুক্ত হয়ে দেখেছিলেন বড় স্বপ্ন। তবে ব্রাজিল গ্রেট রোনালদো দি নাজারিও’র জন্য ক্রমেই তা রুপ নিচ্ছে একরাশ হতাশায়। চলতি মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তার মালিকানার ক্লাব রিয়াল ভায়াদোলিদ লা লিগা থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেছে।
ব্রাজিলের ২ বারের বিশ্বকাপ জয়ী স্ট্রাইকার রোনালদোর মালিকানায় যুক্ত হওয়ার পর সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বার রেলিগেশনের শিকার হল ভায়াদোলিদ। লা লিগায় নিজেদের শেষ ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই হেরে যাওয়া ক্লাবটি পয়েন্ট টেবিলে আছে সবার নিচে। ৩৩ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ১৬, জয় চারটি।
রোনালদোর জন্য এটা বড় একটা দুঃসংবাদই। কারণ, চলতি বছরই তিনি বাধ্য হয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। এবার তার ক্লাবও নেমে গেল পরের ধাপে।
যদিও ভায়াদোলিদের মলিন এই পারফরম্যান্সের পেছনে ক্লাবের সমর্থকরা বড় দায় দেখেন রোনালদোরই। তাদের দাবি, ক্লাবটির প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেন না সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। খেলা দেখতে মাঠে আসেন কম, যা ক্ষুব্ধ করেছে তাদের। গুঞ্জন রয়েছে, নিজের অংশের মালিকানা বিক্রির নাকি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রোনালদোর।
যে কারণেই হোক, ভায়াদোলিদের জন্য পুরো মৌসুমটাই ছিল হতাশাময়। গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন দুই কোচ দিয়েগো কোকা এবং পাওলো পেজোলানো। এরপর থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড় ল্যাভারো রুবিও।
ভায়াদোলিদ গত সাত বছরে এর আগে প্রথমবার রেলিগেটেড হয়েছিল ২০২০-২১ মৌসুমে। এরপর আবার ২০২২-২৩ মৌসুমে। দুইবারই অবশ্য পরের মৌসুমে ফের লা লিগায় ফিরে এসেছিল তারা। এবারও ক্লাবটির আশা থাকবে তেমন কিছুরই।
হেতাফের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। প্রথমে চোট খুব একটা গুরতর মনে না হলেও , রিপোর্ট দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। বৃহস্পতিবার রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ওয়েবয়াইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুঁচকির চোটে পড়েছেন কামাভিঙ্গা।
এই চোটে কতদিন কামাভিঙ্গা মাঠের বাইরে থাকবে তা নিশ্চিত করেনি রিয়াল। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ফরাসি এই মিডফিল্ডারকে।। তাতে তার মৌসুম মোটামুটি শেষই বলা যায়। তবে নিজেকে ফিট করে তুলতে পারলে ক্লাব বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যেতে পারে কামাভিঙ্গাকে।
চোট অবশ্য কামাভিঙ্গার জন্য নতুন না। চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে চারবার চোটে পড়েছেন তিনি। খেলেছেন সব মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচ, মিনিটের হিসেবে ২০০০ থেকে কিছুটা বেশি।
একই দিনে চোটে পড়েছেন ডেভিড আলাবাও। তার বদলি হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন কামাভিঙ্গা। এরপর তার পরিণিতিও একই।
চোটের হানা রিয়ালে চলছে মৌসুমজুড়ে। এসিএল চোটে এর আগে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এদের মিলিতাও, দানি কার্ভাহালের। এছাড়া কিলিয়ান এমবাপেও বেশ কয়েকবার পড়েছেন চোটে। দানি সেবায়স, মেন্দিরাও বাদ যায়নি চোটের থাবা থেকে।
চলতি বছর হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৫ তম আসর স্থগিত করা হয়েছে। সূচি বদলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২০২৬ সালে। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই নিশ্চিত করেছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।
চলতি বছরের জুন-জুলাইতে শ্রীলঙ্কায় বসার কথা ছিল এবারের সাফ। তবে টুর্নামেন্ট স্পনসর ও কতৃপক্ষ প্রতিযোগিতাকে আরও জমজমাট করার লক্ষ্যে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আয়োজনের চিন্তা করছে। যার জন্য আরও কিছু দিন সময় দরকার বলেই মানছে তারা। তাই পেছানো হয়েছে টুর্নামেন্টের সময়-সূচি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, “আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং স্পোর্টস ফাইভ (কমার্শিয়াল রাইটস হোল্ডার) মনে করছে যে, টুর্নামেন্টটি সঠিকভাবে আয়োজনের জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন। তাই এই টুর্নামেন্টটি ২০২৬ পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে জাঁকজমকভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে।”
তবে আগামী বছর আবার রয়েছে বিশ্বকাপ। তাই নির্দিষ্ট সময় এখনো ঠিক করতে পারেনি তারা, “২০২৬ সাল ফিফা বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি উপযুক্ত সময় ও ভেন্যু নির্ধারণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের সব অংশীদার, সমর্থক, গণমাধ্যম এবং সদস্য অ্যাসোসিয়েশনকে অনুরোধ করছি আমাদের পাশে থাকার জন্য, যাতে এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতাটি নিখুঁতভাবে আয়োজন করা যায়।”
বেশ নাটক জমিয়ে চার লিগ থেকে চার দল কেটেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকেট। লা লিগা থেকে বার্সেলোনা, লিগ আঁ থেকে পিএসজি, প্রিমিয়ার লিগ থেকে আর্সেনাল এবং সিরি’আ থেকে ইন্তার মিলান। মজার ব্যাপার চার দলের মাঝে তিন দলেরই সুযোগ ছিল ট্রেবল জেতার। বুধবার রাতে সেই সংখ্যা কমেছে এক। ইন্তার মিলান বাদ পড়েছে ট্রেবল জেতার তালিকা থেকে।
কোপা ইতালিয়ায় ইন্তার হার দেখেছে এসি মিলানের কাছে। তাতে ট্রেবল জেতার যেই স্বপ্ন সিমন ইনজাগি দেখছিল তা ভেস্তেই গেল। অবশ্য এখন তাদের লিগ জেতা নিয়েও আছে বেশ শঙ্কা। লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা হার দেখেছিল বলনিয়ার সঙ্গে। তাতে ৩৩ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৭১। নাপলির পয়েন্টও সমান তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে আছে ইন্তার।
ট্রেবল জেতার দৌড়ে এই মৌসুমে এখন আছে কেবল বার্সেলোনা ও পিএসজি। পরিস্থিতি বিবেচনায় বার্সা থেকে কিছুটা এগিয়ে আছে লুইস এনরিকের দল। এরই মধ্যে তারা জিতে নিয়েছে লিগ আঁ এর শিরোপা। তাতে বেশ চাপ মুক্ত থাকার সুযোগই পাচ্ছে পিএসজি। সেই সাথে তারা পৌঁছে গেছে ফ্রেন্স কাপের ফাইনালেও। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ রেঁস। অঘটন না ঘটলে উড়তে থাকা পিএসজির হাতেই শিরোপাটা উঠার কথা।
অন্যদিকে বার্সেলোনার জন্য কাজটা তুলনামূলক কিছুটা জটিল। লা লিগায় তারা ধরে রেখেছে শীর্ষস্থান। ৩৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৬, সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭২। ম্যাচ বাকি পাঁচটা, চার পয়েন্টে এগিয়ে হান্সি ফ্লিকের দল। তবে এখানে আছে বড় একটা মারপ্যাঁচ। বাকি থাকা পাঁচ ম্যাচের মধ্যে একটা আবার বার্সেলোনাকে খেলতে হবে রিয়ালের বিপক্ষে। যেই ম্যাচের ফল মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে পুরো লিগের হিসেব-নিকেশ।
তার আগে অবশ্য ট্রেবল জেতার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে বার্সেলোনাকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। সেখানেও তাদের জন্য বাধা সেই রিয়াল মাদ্রিদই। কোপা দেল রের ফাইনালে শনিবার রাতে লড়বে দুই দল। যেখানে হার দেখলে ট্রেবল জেতার স্বপ্নটা ভেস্তে যাবে তাদেরও।
অবশ্য নিয়তির খেল দুই দলের ট্রেবল জেতার স্বপ্নটা এনে দিতে পারে একই বিন্দুতে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পিএসজি খেলবে আর্সেনালের বিপক্ষে, আর বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ইন্তার মিলান। নিজেদের ম্যাচে যদি দুই দলই জয় পায় তাহলে ফাইনালে দেখা মিলবে বার্সা-পিএসজি লড়াই। একই সঙ্গে রিয়ালকে টপকে লা লিগা আর কোপা দেলরে বার্সেলোনা জিতে নিতে পারলে, আর রেঁসকে হারিয়ে পিএসজি ফ্রেন্স কাপ জিততে পারলে ট্রেবল জেতার মঞ্চটা তৈর হবে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে