৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৩:১০ পিএম
কোপা দেল রের ফাইনালে যেভাবে রেফারিকে আক্রমণ করেছেন, তাতে বড় একটা শাস্তি প্রাপ্যই ছিল আন্টোনিও রুডিগারের। শেষ পর্যন্ত ছয় ম্যাচের বিশাল নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার। তবে তাতে খুব ক্ষতি হচ্ছে না তার। শাস্তির এই সময়টা কাজে লাগাতে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করেছেন রুডিগার, যা তাকে প্রায় দুই মাসের জন্য ছিটকে দিতে পারে বলেই খবর।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের ম্যাচ বাকি আছে আর পাঁচটি, সবগুলোই লা লিগায়৷ বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালে রেফারিকে আক্রমণ ও লাল কার্ড দেখার কারণে তিনি যে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, সেটা কার্যকর হবে লা লিগার এই ম্যাচগুলোতেই। ফলে চোটে মাঠের বাইরে থাকার সময়েই পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেলবেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। বাকি ম্যাচটি কার্যকর হবে আবার আগামী মৌসুমে রিয়ালের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে।
আরও পড়ুন
দেম্বেলের গোল আর দোনারুম্মার প্রায়শ্চিত্তে ফাইনালের আরও কাছে পিএসজি |
![]() |
৩-২ গোলে হেরে যাওয়া সেই ফাইনালে লাল কার্ড দেখেছিলেন জুড বেলিংহামও। তবে রেফারির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ইংলিশ মিডফিল্ডারের শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ হয়েছেন লাল কার্ড দেখা রিয়াল অধিনায়ক লুকাস ভাসকেজ। তার শাস্তি দুই ম্যাচের।
তবে রিয়ালের জন্য গেল ২৪ ঘন্টা আরও নানা কারণেই চিন্তার। রুডিগারের পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন চোটে ছিটকে গেছেন দুই ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা ও ফেরলন্ড মন্ডিও। এই মৌসুমে তাদের আর খেলার সম্ভাবনা নেই।
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৩৬ এম
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১:১৮ পিএম
ডেইলি মিররের হেডলাইন প্যারিস চুপ করিয়ে দিল গানারদের, লেকিপ বলছে তারকা হওয়ার আরও কাছে দেমবেলে… দুই দেশের দুই পত্রিকার হেডলাইনে জয়গান পিএসজির। এমিরেটসে গানারদের ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের আরও কাছে ফরাসি ক্লাবটা।
মারদাঙ্গা লড়াই, দুই দলের সমর্থকদের পাগলামো, মিডফিল্ড ব্যাটেলে ম্যাচ জমে হয়েছেছে ক্ষীর। যেখানে শেষ পর্যন্ত নায়ক একজন, ওসমান দেমবেলে। তার একমাত্র গোলই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।
পুরো ম্যাচে দুই দলই লড়েছে সমান তালে। পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলছে। বলের দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও বাকি সব জায়গায়ই দুই দল ছিল সমানে সমান।
আরও পড়ুন
শ্রাবণ বীরত্বে ফেডারেশন কাপের শিরোপা বসুন্ধরা কিংসের |
![]() |
গানারদের শক্তির জায়গা রক্ষণ, যা ভাঙতে রিয়ালকে রীতিমত হিমশিমই খেতে হয়েছিল। তবে লুইস এনরিকের পিএসজি তা করে দেখিয়েছে মোটে চার মিনিটে। কাভারেস্কেলিয়ার একটা পাস, আর দেমবেলের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে শুরুতেই গানারদের চমকে দেয় পিএসজি।
ইফ উই ডোন্ট হ্যাভ দ্য বল, উই ডাই… ম্যাচ শুরুর আগে ডেকলাইন রাইস কথাগুলো বলেছিলেন সতীর্থদের উদ্দেশ্য। কে জানে সেটা হয়তো শুনে নিয়েছে পিএসজি ফুটবলাররাও। তাইতো শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণটা রেখেছে তাদের কাছে। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭৫ শতাংশ বলই ছিল তাদের কাছে, একের পর এক আক্রমণে কাপিয়ে দিয়েছে আর্সেনালকে।
তবে সময়ের সঙ্গে আর্তেতার দলও ফিরে পায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। মিডফিল্ড ব্যাটেলে টেক্কা দেয় পিএসজিকে। ঘুছিয়ে উঠে আক্রমণেও, তবে দোনারুম্মা আর পিএসজির রক্ষণ দেয়াল টপকানোর সুযোগ তাদের মেলেনি প্রথমার্ধ্বে।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই রিয়ালের চাকরি ‘ছাড়ছেন’ আনচেলত্তি |
![]() |
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরতেই মিকেল মেরিনোর গোল। সেট পিসের সেই ক্যালমা। তবে অফ সাইড সেটা টিকতে দেয়নি, লম্বা ভিএআর চেকে হয়েছে বাতিল। তাতে হাফ ছেড়ে বাছে পিএসজি। যদিও এরপর একের পর আক্রমণে তাদের বিপাকে ফেলে আর্সেনাল। ট্রসার্ড, মার্তিনেল্লিদের একের পর এক শট আটকে যায় দোনারুম্মা নামক দেওয়ালের কাছে।
সব মিলিয়ে পাঁচ সেইভ করে যেন প্রাশ্চিত্তই করলেন দুনারুম্মা। দুই দলের আগের দেখায় ২-০ গোলের হার দেখেছিল পিএসজি যেখানে বাজে গোলকিপিংয়ে বেশ সমালোচনায়ই পড়তে হয়েছিল ইতালিয়ান এই গোলকিপারকে, তবে এদিন সেই সমালোচনাকে প্রশংসায় রূপ দিলেন তিনি। সেই সাথে লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলার পর আরও এক ইংলিশ ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন চীনের প্রাচীর হয়ে।
সুযোগ অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে পেয়েছে পিএসজিও। তবে বারকোলা শট যায় বাইরে দিয়ে, আর গঞ্জালো রামোসের শট আটকে গেছে পোস্টের বাঁধায়। তাতে ব্যবধান ১-০ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। আর নাটকের বাকি অংশ তোলা থাকলো পার্ক দ্য প্রিন্সেসের জন্য।
মেহেদী হাসান শ্রাবণ যেন বনে গেলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, আর ভ্যালেরিউ তিতা যেন কার্লো আনচেলত্তি। ফেডারেশন কাপের ট্রফিটা জিতে তার আনন্দের নেই সীমা। মৌসুমের দ্বিতীয় ট্রফিটা জেতার উদ্যাপনে সব সমালোচনা হয়ে গেল ম্লান। ফুটবলাররাও তাকে ঘিরে আনন্দে আত্মহারা, চতুর্থবারের মত ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তুলছে বসুন্ধরার ক্লাবটা।
তিরে এসে আরও একবার তরি ডুবলো আবাহনীর। শিরোপার খুব কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখা হলো না তাদের। ২০২৩ সালে মোহামেডানের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হারের ক্ষতটা যেন আরও একবার ফিরে এলো। তাতে গেল তিন মৌসুমের মধ্যে দুইবারই আকাশী-নীলদের সন্তুষ্ট থাকতে হলো রানার্স আপ হয়েই।
দুই দিনে শেষ হওয়া ১২০ মিনিটের লড়াই ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপাটা ধরে রেখেছে বসুন্ধরা কিংস। সেই সঙ্গে তারা হয়ে গেছে আবাহনী ও মোহামেডানের পর সবচেয়ে বেশি ফেডারেশন কাপ জেতা দলও। কোয়ালিফায়ারের প্রথম লেগে আবাহনীর কাছে শুটআউটে হারের তেতো স্বাদটাই যেন মারুফুল হকের দলকে ফিরিয়ে দিয়েছে তিতার কিংস।
গেল মঙ্গলবার যার শুরু, তার সমাপ্তি ঘটেছে এই মঙ্গলবারে এসে। মাঝে ঝড়ের বাগড়া, রেফারি বিতর্ক, আর কার্ডের বন্যা তো ছিলই। সাথে বদলে যায় স্টেডিয়ামের নামও। এত সব নাটকীয়তার পরও আলাদা করা যায়নি দুই দলকে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই দেখা মেলে সমাপ্তি। যেখানে কিংসের সুপার হিরো শ্রাবণ, আর মনে করিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানোকে।
টেবিল বদলে এদিন ট্রফি উঠেছে পোডিয়ামে। দর্শকের সংখ্যাটা কমলেও শেষ ১৫ মিনিটে উত্তেজনার ছিল না কমতি। যেখানে দশজনের কিংস চাপ সামলে ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। আর সেখানে এমেকার শট ঠেকিয়ে মৌসুমজুড়ে সমালোচনা সঙ্গী হওয়া শ্রাবণই বনে গেছেন নায়ক।
এর আগে গেল মঙ্গলবার ১-১ এর সমতায় ১০৫ মিনিটে আলোক স্বল্পতায় মাঠ ছাড়ে দুই দল। কিংসের হয়ে গোলটা করেছিলেন লেসকানো, আর আবাহনীর হয়ে সমতা টেনেছিলেন ইব্রাহিম।
ফেডারেশন কাপের সেরা ফুটবলারের পুরষ্কারটা উঠেছে তপু বর্মনের হাতে। গোলের সাথে রক্ষণ দুটি সমান তালে সামলানোর পুরষ্কারই পেলেন কিংস অধিনায়ক। তিন গোল করে ইব্রাহিম আর তপু দু’জন আবার সেরা গোলস্কোরারের পুরস্কারটা জিতেছেন। আর দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মিতুল মারমা হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার।
আন্ডারডগ হিসেবে নেমে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে প্রথম লেগে যে ফলাফল ছিল, তা অনেকের কাছেই ছিল অঘটনের শামিল। তবে ফিরতি লেগেও আর্সেনাল প্রমাণ করে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দলটির বিপক্ষে নিজেদের সেরা ফুটবল উপহার দেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে। ফাইনালে যাওয়ার পথে মিকেল আর্তেতার দলের বাধা এখন দুরন্ত ফর্মে থাকা পিএসজি। তবে আর্সেনাল কোচ মনে করেন, রিয়ালকে হারানোর কারণে তাদের আর কাউকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরে মাঠে রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় আর্সেনাল। তবে ফিরতি লেগ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়ত আর পারবে না ইংলিশ ক্লাবটি। তবে এই লড়াইয়েও ২-১ গোলে জিতে যায় আর্সেনাল। শক্তিধর রিয়ালকে যেভাবে দুই লেগে নাকানিচুবানি খাইয়েছে তারা, তাতে শিরোপার জোর দাবিদার হিসেবে নিজেদের রাখতেই পারে লন্ডনের ক্লাবটি।
এর মধ্যে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়া পিএসজির সাথে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের আগেও তাই বাড়তি অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন আর্তেতা।
“আমি মনে করি বার্নাব্যুতে যাওয়া সম্ভবত সেখানকার সামগ্রিক ইতিহাসে, সাম্প্রতিক ইতিহাস এবং সেখানে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার কারণে একটা ইউরোপিয়ান দল হিসেবে আপনার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে পারে। আমি মনে করি আমরা সেই ম্যাচটি (দ্বিতীয় লেগ) খুব খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। আমি মনে করি এটা একটা দলের মাঝে এমন আত্মবিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে, যা আমাদের মত অধিকাংশ দলের আগে কখনই ছিল না।”
আর্সেনালের মত পিএসজিও এখনও পায়নি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ। ফরাসি ক্লাবটি ২০২০ সালে ফাইনালে খেললেও আর্সেনালের জন্য শেষ চারে আসা জায়গা করে নেওয়াটাই ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। ২০০৯ সালের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার দলটি খেলছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।
ফলে রিয়ালকে হারিয়ে উড়তে থাকা আর্সেনালের জন্য বড় পরীক্ষা হতে পারে অচেনা মঞ্চে স্নায়ুচাপ ধরে রাখা। আর সেটা ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন আর্তেতা।
“আমি সবাইকে বলব বর্তমান নিয়েই থাকুন। আমরা খুবই ভাগ্যবান। আমরা যে অবস্থানে আছি, তা অর্জন করার জন্য আমরা অনেক কিছুই করেছি। আমরা অনেক পরিশ্রম দিয়ে, উৎসাহ দিয়ে এটা অর্জন করেছি। কারণ, এই পথচলায় আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং দশ মাস ধরে সর্বোচ্চ স্তরে লড়াই করতে পেরেছি। তাই আমাদের জন্য এটা একটা সুন্দর মুহূর্ত।”
এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে শেষ হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তি অধ্যায়, এই খবর পুরনো হলেও কবে আর কীভাবে সেটা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা রয়েছে চলমান। কারণ, তার এই চাকরি ছাড়ার সাথেই যে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন কোচ হওয়ারও। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই রিয়ালের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) আশা, আগামী জুনে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ পরিচালনা করার লক্ষ্যে এর আগেই আনচেলত্তিকে যথাসময়ে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।
আনচেলত্তি এবং ব্রাজিলের মধ্যে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার ইতিবাচক হয়েছে বলেই খবর। ইএসপিএনের দাবি, ৬৫ বছর বয়সী এই কোচ সিবিএফকে জানিয়েছে দিয়েছেন যে, তার আগমনের ব্যাপারে এখন থেকে পরিকল্পনা শুরু করতে পারেন তারা।
আনচেলত্তির প্রতিনিধি দল ও তার ছেলে ডেভিড আনচেলত্তির সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিবিএফ আশাবাদী, আনচেলত্তি আগামী ২৬শে মে রিও ডি জেনিরোতে থাকবেন। উল্লেখ্য, এর দুই দিন আগে রিয়াল এই মৌসুমে তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে লা লিগায়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রিয়ালের সাথে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ আনচেলত্তি মৌসুম শেষে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে আলোচনায় বসবেন। এও বলা হয়েছে, নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচকে রিয়াল বিদায় জানাতে চায় রাজসিকভাবে। তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি করা হতে পারে ক্লাবের এম্বাসেডরও।
ফলে আনচেলত্তির জন্য সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটা খুব একটা মন্দ হচ্ছে না। কোচ না থাকলেও যে প্রিয় ক্লাবের সাথে যুক্ত থাকছেন তিনি। অন্যদিকে ব্রাজিল তাকে যে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা নাকি দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে লোভনীয় অর্থের চুক্তি হতে যাচ্ছে। সাথে যোগ হচ্ছে একঝাক প্রতিভাবান ফুটবলারদের নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দারুণ এক সুযোগ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের বিদায়ের পর থেকেই বাতাসে ভাসছিল গুঞ্জন। কোপা দেল রের ফাইনালে হারের পর কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়াটা একরকম নিশ্চিতই হয়ে গেছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে তাকে কোচ হিসেবে পেতে চাওয়া ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) জোরেশোরেই চালিয়ে যাচ্ছে আলোচনা। ইএসপিএন তো একধাপ এগিয়ে দাবি করছে, দুই পক্ষের আলোচনা নাকি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। অপেক্ষা কেবল চলতি মৌসুম শেষ হওয়ার।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রিয়ালের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজের সাথে আলোচনায় বসবেন আনচেলত্তি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করলেও দুই পক্ষই এগিয়ে যাচ্ছে যৌথ সম্মতিতে সেটা বাতিলের।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গিয়েও খুশি হতে পারছেন না গার্দিওলা |
![]() |
গত রোববার কোপার ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় রিয়াল। এর আগে আর্সেনালের কাচে ৫-১ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে বিদায় নেয় আনচেলত্তির দল। আর লা লিগায় হাতে পাঁচ ম্যাচ রেখে বার্সেলোনার চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে আছে দুইয়ে।
বাজে এক মৌসুমের পর আনচেলত্তিকে আর ধরে রাখার দিকে রিয়াল যেতে চাচ্ছে না বলেই খবর ইউরোপের সব শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের। ২০২৪ সালে এক দফায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া সিবিএফ তাই ফের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিজ্ঞ এই কোচকে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার। সেই লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে আনচেলত্তির সাথে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে সিবিএফ। অপেক্ষা কেবল রিয়ালের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার।
দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২১ সালে রিয়ালের কোচ হওয়া আনচেলত্তির হাত ধরে রিয়াল পেয়েছে দারুণ কিছু সাফল্য। সব মিলিয়ে দুই মেয়াদে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি লা লিগা জিতে তিনি এরই মধ্যে হয়ে গেছেন রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ। ইএসপিএন তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লা লিগা রিয়ালের শেষ ম্যাচের পরই হয়ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ |
![]() |
গত ১৯ এপ্রিল আনচেলত্তি বলেছিলেন, মৌসুম শেষে তিনি ও ক্লাব তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি রিয়ালের দায়িত্বে থাকবেন কিনা, সেটা নিয়েও তখন জানান অনিশ্চয়তার কথা।
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১৩ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে