লা লিগায় কয়েক রাউন্ড বাকি থাকতেই অনেকেই শিরোপা দেখছেন বার্সেলোনার হাতেই। রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে তাদের চার পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সাথে এতে যোগ হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দলের লম্বা চোটের মিছিল। তবে আশা ছাড়ছেন না ইতালিয়ান কোচ। তিনি বরং মনে করেন, মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতেই শিরোরার লড়াইয়ের মীমাংসা হবে।
তবে চলতি মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে অভিজ্ঞতা ভীষণ তেতোই রিয়ালের। লা লিগায় প্রথম সাক্ষাতে হারের পর হান্সি ফ্লিকের দলের কাছে ফাইনালে হারতে হয়েছে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রের ফাইনালেও। ফলে ১১ মে-তে দুই দলের পরের ম্যাচেও ফেভারিট ধরা হচ্ছে বার্সেলোনাকে। সেল্টা ভিগোকে টেনেটুনে ৩-২ গোলে হারিয়েও তাই লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার কাজটা বেশ কঠিনই রিয়ালের জন্য।
আরও পড়ুন
ব্রাজিল নয়, জাতীয় দলে রাফিনিয়ার প্রথম পছন্দ ছিল ইতালি! |
![]() |
সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি অবশ্য শেষ চেষ্টাটা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। “অবশ্যই আমাদের আশা টিক্র আছে। আমি বলব না যে রবিবারের ম্যাচটি (এল ক্লাসিকো) পার্থক্য গড়ে দেবে। তবে সেটা প্রায় সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে... আমরা যদি ম্যাচটা জিততে পারি, তাহলে আমরা বার্সেলোনার চেয়ে একট পয়েন্ট পিছিয়ে থাকব। লিগ এরপরও বার্সেলোনার হাতেই থাকবে, তবে আমাদের সামনেও একটা সুযোগ থাকবে।”
আনচেলত্তি আশাবাদী হলেও তিন এল ক্লাসিকোতে যে পারফরম্যান্স রিয়ালের, তাতে কাজটা বেশ কঠিনই। তিন লড়াইয়ে তার দল হজম করেছে ১২ গোল (৪-০, ৫-২ ও ৩-২)। স্পষ্টতই ম্যাচগুলোতে ভুগেছে রিয়ালের ডিফেন্স। আর নিয়মিত ডিফেন্ডারদের সবাই এই মূহুর্তে চোটে ছিটকে যাওয়ায় রক্ষণভাগ ভীষণ নাজুক হয়ে গেছে আনচেলত্তির দলের। সেল্টার বিপক্ষে তাই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে এক সময়ে জেগেছিল ড্র করার সম্ভাবনা।
এরপরও বার্সেলোনা ম্যাচ নিয়ে ইতিবাচক রিয়াল কোচ।
“আমরা গত সপ্তাহে তাদের বিপক্ষে খেলেছি, আর ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই ছিল। আমরা জয়ের খুব কাছাকাছিই ছিলাম। আমাদের খুব সিরিয়াস একটা ম্যাচ খেলতে হবে। আমরা নিজেদের ওপর পূর্ণ আস্থা নিয়েই খেলব।”
প্রথম লেগে বার্সেলোনা তিন গোল হজম করায় রক্ষণভাগ নিয়ে একটা চিন্তা ছিলই। ঘরের মাঠে উজ্জীবিত ইন্তার মিলান কাউন্টার এটাকে শুরুটা করল দুর্দান্ত। বিরতির আগেই দুই গোল খেয়ে কোনঠাসা হয়ে গেল হান্সি ফ্লিকের দল। দারুণ এক কামব্যাকে একে একে তিন গোল দিয়ে এক পর্যায়ে বার্সেলোনাই পাচ্ছিল জয়ের সুবাস। তবে এই ইন্তার যে হার মানার নয়। ইনজুরি ও অতিরিক্ত সময়ের দুই গোলে শেষ হাসি হাসল সিমোনে ইনজাগির দল।
সান সিরোতে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ইন্তার। দুই লেগ মিলিয়ে ইতালিয়ান ক্লাবটি জিতেছে ৭-৬ ব্যবধানে। ২০২৩ সালের পর আবারও দলটি খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ থাকবে আর্সেনাল বা পিএসজি।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের ভালো একটি সুযোগ তৈরি করেছিল বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে গতিতে ইন্তার ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বক্সে প্রবেশ করেন ইয়ামাল, অপেক্ষায় ছিলেন ট্যাপ-ইনের। তবে পাস না বাড়িয়ে গোলের জন্য শট নিয়ে ব্যর্থ হন ফেররান তরেস।
ম্যাচের প্রথম দিকে বার্সেলোনার অফসাইড ট্র্যাপ এড়িয়ে আক্রমণে যেতে বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছিল ইন্তারকে। এই ম্যাচের আগে চলতি মৌসুমে এই ম্যাচের আগে ৭৪ বার প্রতিপক্ষকে অফসাইডে ফেলেছে দলটি।
১৭তম মিনিটে আলেসান্দ্রো বাস্তোনি ইন্তারের বক্স থেকে বলের দখল নিয়ে লম্ব ক্রস বাড়ান, বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্সকে বিপদে ফেলে বল নিয়ে ফেদেরিকো দিমার্কো পাস দেন লাউতারোকে। তবে তার শট লক্ষ্যে থাকেনি আর, এর আগে ক্লিয়ার হয়ে যায়।
মিনিট তিনেক বাদে ডান দিক থেকে কাট করে বক্সে প্রবেশ করে নিকোলা বারেল্লার নেওয়া জোরাল শট কোনোমতে সেভ করে ওয়েচেজ সেজনি। তবে বার্সেলোনার অফসাইড ট্র্যাপ পার করে শেষ পর্যন্ত ইন্তারের লিড নেওয়ায় ভূমিকা রাখেন প্রথম লেগে জোড়া গোল করা ডেনজেল ডামফ্রিস।
পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে তড়িৎ গতিতে বল পেয়ে ডান দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করেন তিনি। বার্সেলোনার রক্ষণভাগের চেয়ে বক্সে ইন্তারের খেলোয়াড়ই বেশি। সেজনি এগিয়ে এসে ক্লিয়ার করতে গেলে তাকে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকায় থাকা লাউতারোকে পাস দেন ডামফ্রিস, যেখান থেকে জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৩ ম্যাচে এটি লাউতারোর ৯ নম্বর গোল। এই গোলটি ইন্তারের জন্য গুরুত্বছিলপূর্ণ ছিল, কারণ এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগে গোল দিয়ে এই লড়াইয়ের আগে ১০ ম্যাচের একটিতেও হারেনি সেরি আর ক্লাবটি। আর সব মিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের শেষ ৪৯টি হোম ম্যাচে মাত্র একটিতে আগে গোল করে হারের রেকর্ড ছিল ইন্তারের।
ওই গোলের খানিক বাদে ইন্তারের বক্সের ভেতর পেদ্রির শট প্রতিপক্ষের একজনের হাতে লাগলে ওঠে পেনাল্টির দাবি। তবে রেফারি তা নাকোচ করে দেন।
৩৬তম মিনিটে বিরতির আগে নিজেদের সেরা সুযোগটা পায় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে ইন্তারের কয়েকজন খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে পেছনে ফেলে ডান দিক থেকে একটা শট নেন, যা শেষ চলে যায় অল্পের জন্য পোষ্টের বাইরে দিয়ে। অল্পের জন্য ট্যাপ-ইন করতে ব্যর্থ হন তরেস।
তবে একের পর এক আক্রমণে ইন্তারকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন ইয়ামাল, যাকে নিয়ে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন দলটির কোচ সিমোনে ইনজাগি। ডাবল মার্কিং করে তার পরিকল্পনা ছিল ইয়ামালকে আটকানোর।
তবে কাজটা ক্রমেই কঠিন থেকে কঠিন হয়ে ওঠে। ৩৯তম মিনিটে ফের গতি দিয়ে ডি-বক্সে প্রবেশ করেন ইয়ামাল। তবে ছয় গজের ভেতর শেষ সময়ে দুর্দান্ত এক স্লাইড ট্যাকেল করে সেযাত্রায় দলকে রক্ষা করেন বাস্তোনি।
এরই মাঝে ম্যাচের ধারার বিপরীতে পেনাল্টি হজম করে বসে বার্সেলোনা। লাউতারোকে আটকাতে বক্সের ভেতর ফাউল করেন পাউ কুবার্সি। ঠাণ্ডা মাথায় বাঁদিকে বল জালে পাঠান হাকান কালহানোগলু।
দুই গোল খেয়ে বেশ চাপে পড়ে যাওয়া বার্সেলোনা বিরতির আগে মাত্র ছয়টি শট থেকে একটি রাখতে পারে লক্ষ্যে। ৫১তম মিনিটে ফের ইন্তার বল জালে পাঠালেও এবার আর গোল মেলেনি অফসাইডের কারণে।
এর ঠিক দুই মিনিট পর বার্সেলোনার ক্যামব্যাকের সূচনা করেন এরিক গার্সিয়া। জটলার মধ্যে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক ভলিতে সান সিরোতে স্তব্ধতা নিয়ে আসেন তিনি। সেই গোলের রেশ না কাটতেই আরও একটি গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন। তবে ছয় গজ থেকে নেওয়া তার শট পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে ফিরিয়ে দেন ইয়ান সোমের।
তবে আরেকটি রেমোনটাডার স্বপ্নের বিভর বার্সেলোনা আক্রমণের ঢেউয়ে বেসামাল ইন্তার বেশিক্ষণ পারেনি সামাল দিতে। বাঁদিক থেকে জেরার্ড মার্তিনের দারুণ এক ক্রস থেকে ডাইভিং হেডে গোল করেন দানি ওলমো।
ছন্দহীন ইন্তার ৬৮তম মিনিটে বড় বিপদেই পড়তে যাচ্ছিল। আগুয়ান ইয়ামালকে ফাউল করে শুরুতে পেনাল্টি উপহার দিয়ে ফেলেছিলেন হেনরিখ মিখিতারিয়ান। তবে রেফারি পরে নিজের সিদ্ধান্ত বদলান ভিএআরে দেখে, যেখানে দেখা যায় ফাউলটি করা হয়েছিল ঠিক বক্সের বাইরে।
৭৯তম মিনিটে কাট করে বক্সের ভেতর থেকে গতিময় এক শট নেন ইয়ামাল, তবে পোষ্টের নিয়ে আস্থার পরিচয় দেন সোমের। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৫ স্কোরলাইনে লড়াই যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর দিকে, তখনই চিত্রে হাজির পুরো ম্যাচে প্রায় অচেনা ছন্দে থাকা রাফিনিয়া।
৮৭তম মিনিটে মিলান শিবিরকে হতাশায় ভাসিয়ে বার্সেলোনাকে ফের এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করে তার নেওয়া প্রথম শট ফিরিয়ে দেন সোমের, তবে ফিরতি বল পেয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠাতে আর ভুল হয়নি তার।
এই গোলের মধ্য দিয়ে দুর্দান্ত এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রাফিনিয়া। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৩টি গোলের সাথে তার নামের পাশে রয়েছে ৮টি অ্যাসিস্ট। এক মৌসুমে গোলে অবদান রাখার ক্ষেত্রে তার সমান (২১টি) রয়েছে কেবল সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর, ২০১৩-১৪ মৌসুমে।
এই গোলের পর বার্সেলোনার জয় যখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন মিলান শিবিরে আশার আলো নিয়ে আসেন ফ্রান্সেস্কো এসেরবি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজের ২০তম মৌসুমে একটি গোলও না করা অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার প্রথম গোলের জন্য বেছে নেন সেরা উপলক্ষ্য।
ডান দিক থেকে স্কিলের প্রদর্শনী দেখিয়ে বক্সের ভেতর ক্রস বাড়ান ডামফ্রিস। রক্ষণ ছেড়ে স্ট্রাইকার বনে যাওয়া এসেরবি বল রিসিভ করে কিছুটা সময় নিয়ে জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি এক শটে বল পাঠান জালে, যা চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না সেজনির।
ম্যাচের এমন সময়ে গোল, স্বাভাবিকভাবে বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে দলের সাথে মেতে ওঠেন এসেরবিও। উদযাপন করার সময় তিনি জার্সি খুলে ফেলেন এবং এজন্য তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। তবে তাতে আর কীইবা আসে যায়!
এই গোলের মধ্য দিয়ে ২০১১ সালের এপ্রিলে শালকের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে রায়ান গিগসের পর এসেরবি (৩৭ বছর ৮৫ দিন) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে দ্বিতীয় বয়স্ক খেলোয়াড় (৩৭ বছর ১৪৮ দিন) হিসেবে জালের দেখে পেয়েছেন।
জয়ের সুবাস পেতে পেতে এমন একটা গোল খেয়ে বসলে একটা দলের মানসিকতায় তাতে আসতে পারে বড়সড় আঘাত। বার্সেলোনার ক্ষেত্রেও হয় ঠিক তাই। তার ফলশ্রুতিতে অতিরিক্ত সময়ের নবম মিনিটে ফের গোল পেয়ে যায় ইন্তার।
ডান দিক থেকে উঠে মার্কাস থুরাম দাভিদ ফ্রাত্তেসিকে পাস বাড়ান। ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার বক্সের ভেতরে মেহেদি তারেমির সাথে ওয়ান-টু খেলে এরপর প্লেসিং শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।
এটি ছিল এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বার্সেলোনার হজম করা ২৪তম গোল, যা এক আসরে ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল খাওয়ার রেকর্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের জন্য মরিয়া বার্সেলোনা খেলে অল আউট ফুটবল। ইয়ামালের ক্রস থেকে বদলি নামা রবার্ট লেভানদভস্কির হেড অল্পের জন্য থাকেনি লক্ষ্যে।
পাল্টা আক্রমণ থেকে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে ফ্রাত্তেসির শট ঠেকান সেজনি। ১১৪তম মিনিটে গোলের সেরা সুযোগটা নষ্ট করেন ইয়ামাল। অনেকটা নিচে নেমে বলের দখল নিয়ে লেভানদভস্কি পাস দেন ইয়ামালকে। গতিতে সবাইকে পেছনে ফেলে তরুণ এই উইঙ্গার নেন শট, যা এক হাতে কোনোমতে আটকে ইন্তার শিবিরে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন সমের।
বাকি সময়ে বার্সেলোনার একের পর আক্রমণ সামাল দেওয়ার মাঝে সুযোগ তৈরি করে ইন্তারও। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেনি শট কোনো দলই। তাতে দুই বছরে মধ্যে নিজেদের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে জায়গা করে নেয় ইন্তার।
বয়স মাত্র ১৪, এরই মধ্যে বিখ্যাত বাবাকে অনুসরণ করে খেলে ফেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মত ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলে। এবার পর্তুগাল যুব দলেও ডাক পেলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বড় ছেলে ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়র। প্রথমবারের মত জায়গা করে নিয়েছেন দেশটির অ-১৫ দলে।
ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়র বাবার মত ক্লাব পর্যায়ে এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসরকে, বয়সভিত্তিক দলে। খেলেনও ফরোয়ার্ড পজিশনে। এবার বাবার মত ছেলেও এগিয়ে যাচ্ছেন পর্তুগাল দলের হয়ে খেলার জন্য।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে ‘চায়’ রিয়াল |
![]() |
উচ্ছ্বসিত রোনালদো ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি দিয়ে স্টোরিতে লিখেছেন, “তোমাকে নিয়ে গর্বিত।”
পর্তুগাল অ-১৫ দল এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার ভ্লাটকো মার্কোভিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরে খেলার জন্য, যা চলবে আগামী ১৩ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত।
টুর্নামেন্টে রোনালদো জুনিয়ররা চারটি ম্যাচ খেলবে। প্রথম তিনটি ম্যাচ যথাক্রমে জাপান (১৩ মে), গ্রীস (১৪ মে) এবং ইংল্যান্ড (১৬ মে)। চতুর্থ এবং ফাইনাল ম্যাচটির প্রতিপক্ষ কারা হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি, সিনিয়র রোনালদোও পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। এরপর ২০০৩ সালে সিনিয়র দলে অভিষেক হয় তার। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড ২১৯টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩৬টি গোল, যা আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন
অ্যানফিল্ড-রোম ‘ট্র্যাজেডি’ পেছনে ফেলতে পারবে বার্সেলোনা? |
![]() |
রোনালদোর অধিনায়কত্বেই পর্তুগাল জিতেছেন নিজেদের ইতিহাসের প্রথম মেজর শিরোপা (২০১৬ ইউরো)। এরপর জেতে ইউয়েফা নেশন্স লিগও। এবার পালা তার ছেলের।
লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণাটা যখন দিয়েছেন, তখন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড কেবল বলেছেন এই মৌসুম শেষেই তার বিদায়ের কথা। তবে এবার ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষেই ক্যালেন্ডারে যোগ হয়েছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। আর সেই কারণেই তার সম্ভাব্য পরবর্তী ঠিকানা হতে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ বেশি অপেক্ষা করতে রাজি নয়। ইংলিশ ডিফেন্ডারকে এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তারা দলভুক্ত করতে চাচ্ছে বলেই খবর।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএনকে জানিয়েছে, জুনেই আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের দলে টানার জন্য কাজ করছে রিয়াল। এজন্য ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে তাকে ক্লাব ছাড়তে দেওয়ার জন্য লিভারপুলের সাথে আলোচনায় যাওয়ার পরিকল্পনাও নাকি আছে তাদের।
আরও পড়ুন
অ্যানফিল্ড-রোম ‘ট্র্যাজেডি’ পেছনে ফেলতে পারবে বার্সেলোনা? |
![]() |
লিভারপুল গত সোমবার জানায়, আলেকজান্ডার-আর্নল্ড তাদেরকে তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই গ্রীষ্মে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। সেই মোতাবেক ৩০ জুন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তিনি অ্যানফিল্ড ছেড়ে চলে যাবেন।
তবে আগামী ১৪ জুন থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হওয়ায় আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে জুলাইয়ের আগে দলে পেতে চাচ্ছে রিয়াল। ২৬ বছর বয়সী এই রাইট-ব্যাকের সাথে এরই মধ্যে মৌখিক সম্মতিতে পৌঁছে গেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। দুই পক্ষই তার ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে লিভারপুল ছাড়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
আর সেটা সফল করতে চুক্তির মেয়াদ শেষের আগে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডেকে নেওয়ার জন্য লিভারপুলকে নাকি গ্রহণযোগ্য একটা ফি দিতেও রাজি রিয়াল।
দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাওয়ের লম্বা চোটের পর গত জানুয়ারিতেও আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল রিয়াল। তবে সেই দফায় তাদের হতাশ করে লিভারপুল। তবে এবার খেলোয়াড় নিজেই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ায় ক্লাবটির সামনে রিয়ালের সাথে তাকে আগেভাগে ছেড়ে দেওয়াটাই হতে পারে যৌক্তিক সমাধান।
আরও পড়ুন
ব্রাজিল নয়, জাতীয় দলে রাফিনিয়ার প্রথম পছন্দ ছিল ইতালি! |
![]() |
ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের রিয়ালের প্রথম ম্যাচ আগামী ১৮ জুন, প্রতিপক্ষ সৌদি প্রো লিগ চ্যাম্পিয়ন আল হিলাল। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ২২ জুন (পাচুকা) ও ২৬ জুন (সালজবার্গ)।
ফরম্যাট বদলে গেছে, বদলে গেছে কোচ থেকে শুরু করে দলের বড় একটা অংশ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচ বলেই বার্সেলোনা ভক্তদের মনে ফিরে আসছে দুটি তিক্ত অভিজ্ঞতা। প্রথম লেগে বড় জয় পাওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ার ঘটনা যে সহজেই ভোলার নয়। রোমা ও লিভারপুলের বিপক্ষে সেই দুই লড়াইয়ে প্রথম লেগে তাও ছিল বড় জয়। সেখানে এবার ইন্তার মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগে হান্সি ফ্লিকের দল করেছে ড্র। দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও তাই শেষ হাসি হাসতে হলে অতীতের সেই ‘ভূত’ তাড়ানো কিছুটা হলেও কঠিন হতে পারে বার্সেলোনার জন্য।
শুরুটা ছিল রোমাকে দিয়ে। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের নিয়ে গড়া বার্সেলোনার সেই দল শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরে মাঠে হেসেখেলেই জেতে ৪-১ গোলে, যেখানে দুটি ছিল আবার আত্মঘাতী গোল। তিন গোলে এগিয়ে থাকায়, আর সাথে দল হিসেবে রোমার সেই সময়ের সেরা পর্যায়ে না থাকা মিলিয়ে বার্সেলোনার সেমিফাইনাল নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল। তবে বিধিবাম!
আরও পড়ুন
ব্রাজিল নয়, জাতীয় দলে রাফিনিয়ার প্রথম পছন্দ ছিল ইতালি! |
![]() |
ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে প্রথম লেগে গোল করা এদিন জেকো শুরুতেই গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দেন। ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামা বার্সেলোনা অতিরিক্ত ডিফেন্সিত হতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হজম করে বসে আরও দুই গোল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪। তবে সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিপক্ষের মাঠে গোলের হিসেবে এগিয়ে বার্সাকে কাঁদিয়ে সেমিতে চলে যায় রোমাই।
এই ঘটনা যে স্রেফ ‘ফ্লুক’ ছিল না, তা প্রমাণ করতে যেন বার্সেলোনা মঞ্চস্থ করে প্রায় একই রকমের আরেকটি পারফরম্যান্স। সেমিফাইনালে কাম্প নাউয়ে প্রথম লেগে লিভারপুলকে কোনঠাসা করে মেসির দুটি ও সুয়ারেজের এক গোলে দলটি জয় পায় ৩-০ ব্যবধানে। আগের বছর রোমার কাছে ওই হারের পরও দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনা ফাইনালে খেলার পক্ষেই ভোট ছিল বেশি।
তবে আরও একবার তিন গোলের লিড নিয়ে ভজকট পাকিয়ে ফেলে বার্সেলোনা। ৫৩ মিনিট পর্যন্ত অ্যানফিল্ডে এক গোল হজম করলেও এরপরই খেই হারায় তারা। একে একে তিনটি গোল করে বসে লিভারপুল। রোমার বিপক্ষে সেই হারের তরতাজা স্মৃতির কারণেই কিনা, এই অর্ধে প্রতিটি গোল হজক করার সাথে সাথে যেন আরও মলিন ফুটবল উপহার দিতে থাকে বার্সেলোনা। তারই প্রতিশ্রুতিতে আসে বহুল চর্চিত সেই ‘কর্নার টেকেন কুইকলি’ খ্যাত গোলটি, যেখানে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অপ্রস্তুত থাকার সুযোগ নিয়ে আচমকাই গোল করে লিভারপুল। ৪-৩ গোলে হারের পর বিধ্বস্ত মেসি-পিকেদের চেহারাই বলে দিচ্ছিল, কীভাবে কি হয়ে গেল সেটা যেন তারা ঠাওরই করতে পারছেন না।
বুধবার মিলানে যে ইয়ামাল-পেদ্রিদেরও একই অভিজ্ঞতা হবে না, ঠিক এই মুহূর্তে জোর গলায় সেটা বোলার অবস্থা নেই বার্সেলোনার বড় সমর্থকেরও। রণটা খুব স্পষ্ট, সাম্প্রতিক ফর্ম কিছুটা খারাপ গেলেও গোটা মৌসুমে ইন্তার খেলছে দুর্দান্ত ফুটবল। তাছাড়া নকআউট পর্বে কোনো দলকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এর সাথে যোগ হবে প্রথম লেগে তিন গোল খাওয়া এবং দুটি নকআউট পর্বের ম্যাচে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও বাদ পড়ার ভুলে যাওয়ার স্মৃতি।
তবে এবার ভিন্ন কিছু হওয়ার বার্তাও আছে বার্সেলোনার এই দলে। দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই দলটিকে রাতারাতি বদলে দেওয়া হান্সি ফ্লিকের কাছে ইতিবাচক ফুটবলই শেষ কথা। দল ৩-৪ গোলে জিতলেও তাই তিনি আক্ষেপ করেন শেষের দিকে মিস করা একটি গোল নিয়ে। দল লিড নিলে ব পিছিয়ে থাকলেও তিনি খেলান হাই প্রেসিং ফুটবল। ফলে ৯০ মিনিট জুড়ে এই দলটিকে আটকে রাখা প্রায় অসম্ভব এক লড়াই হতে পারে ইন্তারের জন্য।
আরও পড়ুন
লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের |
![]() |
এর সাথে যোগ করতে হবে লামিন ইয়ালাম আতঙ্ক, যিনি প্রথম লেগে রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছেন ডিফেন্ডারদের। গোলও করেন একটি। সাথে আছেন সেরা ফর্মে থাকা রাফিনিয়া। আর চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে বদলি হিসেবে মাঠে ফেরার ভালো সম্ভাবনাই আছে তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভনদভস্কির, যাকে ছাড়াই কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ফ্লিকের দল।
সব মিলিয়ে অতীতের ভূত ফিরে আসার সম্ভাবনা যেমন আছে, বার্সেলোনার সামনে তেমনি সুযোগ আছে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার। ফ্লিকের দল কী সেটা করতে পারবে? উত্তর জানা যাবে যার কয়েক ঘণ্টা পরই।
বিষয়টি চমকপ্রদই বটে। অভিষেকের পর থেকেই ব্রাজিল জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। অথচ সেই রাফিনিয়া কিনা অভিষেকের আগে সন্দিহান ছিলেন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা নিয়েই! বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, ইতালির হয়ে খেলার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন তিনি।
রাফিনিয়ার বাবা রাফায়েল দায়াস বেলোলি ইতালীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তার ছেলে ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্য হন। এমনকি বার্সেলোনার তারকার এখন রয়েছে ইতালিয়ান পাসপোর্টও। আজ্জুরিদের পক্ষ থেকে ব্রাজিল দলে অভিষেকের আগে বেশ চেষ্টা করা হলে তাতে সায় ছিল রাফিনিয়ারও। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। ফলে ব্রাজিলকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন এখন।
আরও পড়ুন
লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের |
![]() |
কীভাবে ইতালির হয়ে খেলার খুব কাছাকাছি গিয়েও সিদ্ধান্ত বদল করেন, সোমবার সাংবাদিক ইসাবেলা প্যাগলিয়ারিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছেন রাফিনিয়া।
“আমি ইতালি জাতীয় দলের ডাকে সাড়া দেওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম। ইতালির ইউরো ২০২০ দলে আমারও থাকার কথা ছিল। আমি দলে জায়গা পাওয়ার পথেই ছিলাম। তবে পাসপোর্টটা সময় মত হাতে না আসায় সেটা আর হয়নি। সেই সময়ে ইতালি জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আমার খোঁজ নিত। জর্জিনিয়ো আমাকে সারাক্ষণ ফোন করত। সেই সময়েও আমার মনে এক শতাংশ আশা ছিল যে আমি ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলব আর সেটাই হয়েছে পরে। কারণ, ভাগ্যক্রমে আমার ইতালিয়ান পাসপোর্টটা সময়মতো প্রস্তুত হয়নি।”
রাফিনিয়া যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন, সেই সময়ে তিনি প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডের হয়ে খেলছিলেন। এরপর ২০২২ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। যদি ২০২১ সালে ইতালির হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে রাফিনিয়া হতেন সেই স্কোয়াডের দ্বিতীয় ব্রাজিল-ইতালির পাসপোর্টধারী খেলোয়াড়। রবের্তো মানচিনির ইউরো জয়ী স্কোয়াডে থাকা মিডফিল্ডার জর্জিনিয়োর বাবা জন্মসূত্রে ব্রাজিলিয়ান।
ইতালির ডাকে সাড়া না দেওয়া রাফিনিয়া ওই বছরই প্রথম ডাক পান ব্রাজিল দলে। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে অভিষেক হয় ২৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের। এর এক সপ্তাহ পর উরুগুয়ের বিপক্ষে করেন জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোল। এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের হয়ে ৩৩টি ম্যাচ খেলে ১১টি গোল করেছেন প্রতিভাবান এই ফুটবলার।
পিএসএলের মাঝেই আইপিএলে চুক্তিবদ্ধ মিচেল ওয়েন |
![]() |
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে