৩ মার্চ ২০২৪, ৬:১৩ পিএম
ব্রাহিম দিয়াসের ক্রস থেকে হেড বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠার আগেই জুড বেলিংহাম বুঝতে পারলেন, আগেই ম্যাচের শেষ বাঁশি বেজে গেছে। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে উল্টো লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। কোনোভাবেই এটি মানতে পারছে না রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবটির দাবি, রেফারি তাদের ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়বঞ্চিত করেছে।
লা লিগার ঘটনাবহুল ম্যাচটি তখন ইনজুরি টাইমের শেষের দিকে। ২-২ সমতা থাকা ম্যাচ জেতার মরিয়া চেষ্টায় ডান দিক থেকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে উঁচু করে বল বাড়ান ব্রাহিম। লাফিয়ে হেডে তা জালে পাঠান বেলিংহাম৷ তবে এর কয়েক সেকেন্ড আগেই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজিয়ে ফেলেন রেফারি গিল মানজানো।
আরও পড়ুন: রিয়ালে আসার আগেই বেলিংহামের উদযাপনে মত্ত ব্রাজিলের এনদ্রিক
প্রতিবাদে রিয়ালের সব খেলোয়াড়ে ঘিরে ধড়েন রেফারিকে। বেলিংহামকে দেখা যায় উত্তেজিত হয়ে মানজানোকে কিছু বলতে। এরপরই তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়।
ম্যাচের পর এক বিবৃতিতে রিয়াল বলেছে, “রেফারি গিল মানজানোর একটি নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত মেস্তাল্লায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয় আটকে দিয়েছে।’’
রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এমন কিছু তিনি আগে দেখেননি।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের মধ্যে দুই গোলের লিড নিয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। বিরতির আগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ব্যবধান কমান। এরপর ৭৬তম মিনিটে সমতা টানেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
লিগে ২৭ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল। দুইয়ে থাকা জিরোনার পয়েন্ট ৫৯, তারা ম্যাচ খেলেছে একটি কম। ২৬ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা তৃতীয়৷
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৪:৪৫ পিএম
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৩:১০ পিএম
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৩৬ এম
অ্যাবসুলেট সিনেমা….বার্সেলোনা ইন্তারের ম্যাচের পারফেক্ট হেডলাইন। যেন দম ফেলার নেই ফুসরত। যার শুরু প্রথম মিনিটে, চলেছে ৯০ মিনিট পর্যন্ত। নান্দনিক ফুটবল, ৬ গোলের মোহারণ, আর ১৭ বছর বয়সী এক তরুণের সব আলো কেড়ে নেওয়া। ক্লাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ নাইট যেমন হয় আর কী। যেই রাত ফুটবল সমর্থকদের মনে দাগ কেটে যাবে লম্বা সময়।
দিয়ারিও স্পোর্টসের ফ্রন্ট পেইজ বলছে, সব কিছুই সম্ভব ইয়ামালকে নিয়ে… নিজের শততম ম্যাচটাকে এতটাই রাঙিয়েছেন এই তরুণ। দারুণ একটা গোল, আর তার বা পায়ের জাদুতে ক্ষণে ক্ষণে সমর্থকদের ভাসিয়েছেন উচ্ছ্বাসে, আর নিয়েছেন ইন্তার ডিফেন্ডারদের কঠিন পরীক্ষা। এমনকি ইংল্যান্ডে বসা আর্লিং হলান্ডকে পর্যন্ত বাধ্য করেছেন তাকে নিয়ে পোস্ট দিতে।
এই ম্যাচে নায়ক আছে আরও একজন…ডেঞ্জেল ডামপ্রিস। দুই গোলের সঙ্গে, এক অ্যাসিস্ট সেই সাথে রক্ষণ সামলানোর ধকল তো ছিলই। এত সব তারকার ভিড়ে ডাচ ডিফেন্ডার নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করেই।
আরও পড়ুন
নিষেধাজ্ঞা কাজে লাগিয়ে রুডিগারের অস্ত্রোপচার, শাস্তি এড়ালেন বেলিংহাম |
![]() |
বল দখলের লড়াই, শট অন টার্গেট কিংবা পাস সব খানেই ইন্তার থেকে বেশ এগিয়ে ছিল বার্সা। বার্সার অল অ্যাটাকের জবাবে ইন্তারের অস্ত্র ছিল কাউন্টার অ্যাটাক। যেখানে দলটা ছিল বেশ সফল।
এদিন খেলার বয়স ৩০ সেকেন্ড না হতেই বার্সাকে চমকে দেয় ইন্তার। ডামপ্রিসের পাস থেকে দারুণ এক ব্যাকহিলে বল জালে জড়ান থুরাম। যা আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোল, বার্সার বিপদ বাড়ে ২১ মিনিটে, এবার গোলের খাতায় নাম তোলেন ডামপ্রিস নিজেই। চোখ ধাঁধানো এক ওভারহেড কিকে স্তব্ধ করে দেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে।
স্তব্ধ অলিম্পিক স্টিডিয়ামকে জাগিয়ে তুলতে ইয়ামাল সময় নিয়েছে মোটে তিন মিনিট। ২৪ মিনিটের মাথায় পাঁচ ইন্তার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বা পায়ের আড়াআড়ি এক শটে বল জড়ান জালে। বার্সেলোনা সমর্থকেরা এমন একটা গোল নিশ্চিতই বারেবারে খুঁজে ফিরে দেখবেন।
৩৮ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরায় ফেরান তোরেস। যার পেছনের কারিগর পেদ্রি ও রাফিনিয়া। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের মাপা ক্রস খুঁজে নেয় রাফিনিয়াকে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হেডে সেটা বাডিয়ে দেন ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ানো তোরসের দিকে। সহজ কাজটুকু করতে ভুল করেননি তোরস। তাতে ২-২ এর সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
আরও পড়ুন
কোপা দেল রের ফাইনালে ‘অনিশ্চিত’ লেভানদভস্কি |
![]() |
বিরতি থেকে ফিরেও খেলা চলে একই তালে। ৬৪ মিনিটে আবারও সেই ডামপ্রিস হৃদয় ভাঙে বার্সার। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল এবার হেডে জালে জড়ান ডাচ ডিফেন্ডার। তবে সেই লিড টেকে মোটে ১২০ সেকেন্ট। ইন্তারের সেট পিসের জবাব বার্সাও দিয়েছে সেট পিস থেকেই। কর্নার থেকে আসা বল ইয়ামাল ‘ডামি’ করে ছেড়ে দিলে ফাঁকায় পেয়ে যান রাফিনিয়া। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বুলেট গতির শটে বল পাঠান জালের দিকে। তবে নিজেকে কিছুটা হতভাগা ভাবতেই পারেন রাফিনিয়া। ইয়ান সোমারের পিঠে লেগে বল জালে প্রবেশ করায় গোলটা কাউন্ট হয়েছে আত্মঘাতী গোল হিসেবেl হিসেবে।
৭২ মিনিটে অবশ্য আরও একবার গোলের দেখা পায় ইন্তার। তবে মেখেতেরিয়ানের গোল কাটা পড়ে অফ সাইডে। শেষ দিকে ইয়ামালও দারুণ একটা গোল করেই ফেলছিলেন, তবে পোস্টের বাঁধায় তা শেষ হয়নি। তাতে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল। আর অ্যাবসুলেট সিনেমার পরের পর্বের অ্যাকশন তোলা থাকে সান সিরোর জন্য।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাতারাতি ইন্তার মিলানের চিত্র বদলে গেছে। ট্রেবল জয়ের লড়াইয়ে থাকা দলটির সামনে শঙ্কা শিরোপাহীন থাকারও। গেল সাত দিনে তিন ম্যাচ হেরে টালমাটাল অবস্থায় সেরি আ ক্লাবটি এখন খেলতে ফর্মে থাকা বার্সেলোনার বিপক্ষে। শেষ চারের মহারণের আগে ইন্তার কোচ সিমোন ইনজাগি তাই দলকে দেখতে চান পুরবো ছন্দে। আর সেটা করতে হলে কঠিন সপ্তাহটি ভুলে যেতে হবে বলেই মনে হচ্ছে তার।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে মাঠে নামবে ইন্তার। আর এই ম্যাচের আগে ২০১৭ সালের পর প্রথমবার টানা তিন ম্যাচ হেরেছে মিলানের ক্লাবটি। কোপ্পা ইতালিয়া থেকে বাদ পড়ার পর সেরি আয় দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে নেমে গেছে দুইয়ে।
এক সপ্তাহ আগে একটি ট্রেবল জয়ের আশায় থাকা একটা দলের জন্য এটা বড় ধাক্কাই। বার্সেলোনা ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য ইনজাগি এরপরও ইতিবাচকই থাকার চেষ্টা করলেন। “গত সপ্তাহের সব কিছু ভুলে যান। গত চার বছর ধরে এই খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং তারা সেটা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। এক সপ্তাহের বাজে ফলাফল তা মুছে দিতে পারে না। আমাদের জন্য এটা দারুণ একটা মৌসুম ছিল। আমরা শেষ তিনটি ম্যাচ বিশ্লেষণ করেছি, আমাদের আরও ভালো করতে হবে।”
আরও পড়ুন
দেম্বেলের গোল আর দোনারুম্মার প্রায়শ্চিত্তে ফাইনালের আরও কাছে পিএসজি |
![]() |
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাম্প্রতিক সময়ে ইন্তারের রয়েছে ভালো ইতিহাস। ২০২৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে রানার্সআপ হয় ক্লাবটি। এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয় না হলেও ইনজাগির হাত ধরে যিনি একটি সেরি আ এবং দুটি কোপ্পা ইতালিয়া জিতেছে।
টানা তিন ম্যাচ হেরে বেকায়দায় পড়ে গেলেও দল নিয়ে গর্বিত ইনজাগি। “গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা প্রতিটি শিরোপার জন্য লড়াই করছিলাম, যেখানে কেউ কেউ বলেছিল যে ইতালিয়ান লিগে শীর্ষ চারে থাকাই কঠিন হবে। আপনি আমাকে এই ছেলেদের এবং দল নিয়ে কোনো খারাপ কথা বলতে শুনবেন না।”
কোপা দেল রের ফাইনালে যেভাবে রেফারিকে আক্রমণ করেছেন, তাতে বড় একটা শাস্তি প্রাপ্যই ছিল আন্টোনিও রুডিগারের। শেষ পর্যন্ত ছয় ম্যাচের বিশাল নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার। তবে তাতে খুব ক্ষতি হচ্ছে না তার। শাস্তির এই সময়টা কাজে লাগাতে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করেছেন রুডিগার, যা তাকে প্রায় দুই মাসের জন্য ছিটকে দিতে পারে বলেই খবর।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের ম্যাচ বাকি আছে আর পাঁচটি, সবগুলোই লা লিগায়৷ বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালে রেফারিকে আক্রমণ ও লাল কার্ড দেখার কারণে তিনি যে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, সেটা কার্যকর হবে লা লিগার এই ম্যাচগুলোতেই। ফলে চোটে মাঠের বাইরে থাকার সময়েই পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেলবেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। বাকি ম্যাচটি কার্যকর হবে আবার আগামী মৌসুমে রিয়ালের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে।
আরও পড়ুন
দেম্বেলের গোল আর দোনারুম্মার প্রায়শ্চিত্তে ফাইনালের আরও কাছে পিএসজি |
![]() |
৩-২ গোলে হেরে যাওয়া সেই ফাইনালে লাল কার্ড দেখেছিলেন জুড বেলিংহামও। তবে রেফারির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ইংলিশ মিডফিল্ডারের শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ হয়েছেন লাল কার্ড দেখা রিয়াল অধিনায়ক লুকাস ভাসকেজ। তার শাস্তি দুই ম্যাচের।
তবে রিয়ালের জন্য গেল ২৪ ঘন্টা আরও নানা কারণেই চিন্তার। রুডিগারের পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন চোটে ছিটকে গেছেন দুই ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা ও ফেরলন্ড মন্ডিও। এই মৌসুমে তাদের আর খেলার সম্ভাবনা নেই।
ডেইলি মিররের হেডলাইন প্যারিস চুপ করিয়ে দিল গানারদের, লেকিপ বলছে তারকা হওয়ার আরও কাছে দেমবেলে… দুই দেশের দুই পত্রিকার হেডলাইনে জয়গান পিএসজির। এমিরেটসে গানারদের ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের আরও কাছে ফরাসি ক্লাবটা।
মারদাঙ্গা লড়াই, দুই দলের সমর্থকদের পাগলামো, মিডফিল্ড ব্যাটেলে ম্যাচ জমে হয়েছেছে ক্ষীর। যেখানে শেষ পর্যন্ত নায়ক একজন, ওসমান দেমবেলে। তার একমাত্র গোলই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।
পুরো ম্যাচে দুই দলই লড়েছে সমান তালে। পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলছে। বলের দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও বাকি সব জায়গায়ই দুই দল ছিল সমানে সমান।
আরও পড়ুন
শ্রাবণ বীরত্বে ফেডারেশন কাপের শিরোপা বসুন্ধরা কিংসের |
![]() |
গানারদের শক্তির জায়গা রক্ষণ, যা ভাঙতে রিয়ালকে রীতিমত হিমশিমই খেতে হয়েছিল। তবে লুইস এনরিকের পিএসজি তা করে দেখিয়েছে মোটে চার মিনিটে। কাভারেস্কেলিয়ার একটা পাস, আর দেমবেলের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে শুরুতেই গানারদের চমকে দেয় পিএসজি।
ইফ উই ডোন্ট হ্যাভ দ্য বল, উই ডাই… ম্যাচ শুরুর আগে ডেকলাইন রাইস কথাগুলো বলেছিলেন সতীর্থদের উদ্দেশ্য। কে জানে সেটা হয়তো শুনে নিয়েছে পিএসজি ফুটবলাররাও। তাইতো শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণটা রেখেছে তাদের কাছে। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭৫ শতাংশ বলই ছিল তাদের কাছে, একের পর এক আক্রমণে কাপিয়ে দিয়েছে আর্সেনালকে।
তবে সময়ের সঙ্গে আর্তেতার দলও ফিরে পায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। মিডফিল্ড ব্যাটেলে টেক্কা দেয় পিএসজিকে। ঘুছিয়ে উঠে আক্রমণেও, তবে দোনারুম্মা আর পিএসজির রক্ষণ দেয়াল টপকানোর সুযোগ তাদের মেলেনি প্রথমার্ধ্বে।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই রিয়ালের চাকরি ‘ছাড়ছেন’ আনচেলত্তি |
![]() |
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরতেই মিকেল মেরিনোর গোল। সেট পিসের সেই ক্যালমা। তবে অফ সাইড সেটা টিকতে দেয়নি, লম্বা ভিএআর চেকে হয়েছে বাতিল। তাতে হাফ ছেড়ে বাছে পিএসজি। যদিও এরপর একের পর আক্রমণে তাদের বিপাকে ফেলে আর্সেনাল। ট্রসার্ড, মার্তিনেল্লিদের একের পর এক শট আটকে যায় দোনারুম্মা নামক দেওয়ালের কাছে।
সব মিলিয়ে পাঁচ সেইভ করে যেন প্রাশ্চিত্তই করলেন দুনারুম্মা। দুই দলের আগের দেখায় ২-০ গোলের হার দেখেছিল পিএসজি যেখানে বাজে গোলকিপিংয়ে বেশ সমালোচনায়ই পড়তে হয়েছিল ইতালিয়ান এই গোলকিপারকে, তবে এদিন সেই সমালোচনাকে প্রশংসায় রূপ দিলেন তিনি। সেই সাথে লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলার পর আরও এক ইংলিশ ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন চীনের প্রাচীর হয়ে।
সুযোগ অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে পেয়েছে পিএসজিও। তবে বারকোলা শট যায় বাইরে দিয়ে, আর গঞ্জালো রামোসের শট আটকে গেছে পোস্টের বাঁধায়। তাতে ব্যবধান ১-০ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। আর নাটকের বাকি অংশ তোলা থাকলো পার্ক দ্য প্রিন্সেসের জন্য।
মেহেদী হাসান শ্রাবণ যেন বনে গেলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, আর ভ্যালেরিউ তিতা যেন কার্লো আনচেলত্তি। ফেডারেশন কাপের ট্রফিটা জিতে তার আনন্দের নেই সীমা। মৌসুমের দ্বিতীয় ট্রফিটা জেতার উদ্যাপনে সব সমালোচনা হয়ে গেল ম্লান। ফুটবলাররাও তাকে ঘিরে আনন্দে আত্মহারা, চতুর্থবারের মত ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তুলছে বসুন্ধরার ক্লাবটা।
তিরে এসে আরও একবার তরি ডুবলো আবাহনীর। শিরোপার খুব কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখা হলো না তাদের। ২০২৩ সালে মোহামেডানের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হারের ক্ষতটা যেন আরও একবার ফিরে এলো। তাতে গেল তিন মৌসুমের মধ্যে দুইবারই আকাশী-নীলদের সন্তুষ্ট থাকতে হলো রানার্স আপ হয়েই।
দুই দিনে শেষ হওয়া ১২০ মিনিটের লড়াই ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপাটা ধরে রেখেছে বসুন্ধরা কিংস। সেই সঙ্গে তারা হয়ে গেছে আবাহনী ও মোহামেডানের পর সবচেয়ে বেশি ফেডারেশন কাপ জেতা দলও। কোয়ালিফায়ারের প্রথম লেগে আবাহনীর কাছে শুটআউটে হারের তেতো স্বাদটাই যেন মারুফুল হকের দলকে ফিরিয়ে দিয়েছে তিতার কিংস।
গেল মঙ্গলবার যার শুরু, তার সমাপ্তি ঘটেছে এই মঙ্গলবারে এসে। মাঝে ঝড়ের বাগড়া, রেফারি বিতর্ক, আর কার্ডের বন্যা তো ছিলই। সাথে বদলে যায় স্টেডিয়ামের নামও। এত সব নাটকীয়তার পরও আলাদা করা যায়নি দুই দলকে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই দেখা মেলে সমাপ্তি। যেখানে কিংসের সুপার হিরো শ্রাবণ, আর মনে করিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানোকে।
টেবিল বদলে এদিন ট্রফি উঠেছে পোডিয়ামে। দর্শকের সংখ্যাটা কমলেও শেষ ১৫ মিনিটে উত্তেজনার ছিল না কমতি। যেখানে দশজনের কিংস চাপ সামলে ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। আর সেখানে এমেকার শট ঠেকিয়ে মৌসুমজুড়ে সমালোচনা সঙ্গী হওয়া শ্রাবণই বনে গেছেন নায়ক।
এর আগে গেল মঙ্গলবার ১-১ এর সমতায় ১০৫ মিনিটে আলোক স্বল্পতায় মাঠ ছাড়ে দুই দল। কিংসের হয়ে গোলটা করেছিলেন লেসকানো, আর আবাহনীর হয়ে সমতা টেনেছিলেন ইব্রাহিম।
ফেডারেশন কাপের সেরা ফুটবলারের পুরষ্কারটা উঠেছে তপু বর্মনের হাতে। গোলের সাথে রক্ষণ দুটি সমান তালে সামলানোর পুরষ্কারই পেলেন কিংস অধিনায়ক। তিন গোল করে ইব্রাহিম আর তপু দু’জন আবার সেরা গোলস্কোরারের পুরস্কারটা জিতেছেন। আর দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মিতুল মারমা হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার।
২৩ ঘণ্টা আগে
৩ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে